ডায়বিটিস, ক্যানসার, স্ট্রোক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত কারণে মারা যাচ্ছে দেশের ২৬ শতাংশ মানুষ। এদের বয়স ৩০-৭০-এর মধ্যে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
অ-সংক্রামক রোগের স্ট্যাটাস রিপোর্ট যে তথ্য উঠে এসেছে তা রীতিমতো কপালে ভাজ ফেলবে। আগামী ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি মারা যাবে এই ধরণের অসুখে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২০১২ সালে প্রায় ৮৫ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন অ-সংক্রামক রোগে। যদি এই মুহূর্তে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে মুত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই রিপোর্ট।
সাধারণ ভাবে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে যে ধররনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় অসংক্রমক রোগে ক্ষেত্রে ততটা নেওয়া হয়। ফলে যথেষ্ঠ সচেতনতার অভাবে শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে ডায়বিটিস ক্যান্সার বা হৃদরোগের মতো অসংক্রমক রোগ। অনেক আবার এই ধরনের অসংক্রমক রোগকে তেমন গুরুত্ব দেন না। প্রথামিক অবস্থায় এই ধররনের অসংক্রমক রোগগুলি সেভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে না, তাই অনেকে এদের এড়িয়ে যান। ভাবেন বোধহয় সামান্য কিছু ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে এড়িয়ে গিয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলেন তারা। যেমনটা হৃদরোগের সমস্যার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। বুকে ব্যাথা হলে আমরা ধরে নি বোধহয় গ্যাস অম্বল থেকে হচ্ছে। কিন্তু শুধু পেটে গ্যাস হলে বুকে ব্যাথা হয় না তার পেছনে অন্য কোনও কারণ থাকে আমরা এই ব্যাথাকে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে সাধারণ কিছু গ্যাস-অম্বলের ওষুধ খেয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসরা জানাচ্ছেন এই ব্যাথা স্ট্রোটে পূর্বলক্ষণ হতে পারে। তাই বুকে ব্যাথা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
ভারতে মৃত্যুর খতিয়ান অনুযায়ী ২০১৪-এ সমস্ত ধরনের মৃত্যুর মধ্যে ৬০ শতাংশ হয়েছে অ-সংক্রামক রোগে। এর মধ্যে ৩০-৭০ বছর বয়সিদের ২৬ শতাংশ মারা গেছে চারটি অ-সংক্রামক অসুখে। রিপোর্টে বলা হয়েছে সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিকারের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা।
সূত্র : আইএএনএস
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/1/2020