অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

সুসংহত রোগ নজরদারি প্রকল্প (ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সারভেল্যান্স প্রোগ্রাম)

সুসংহত রোগ নজরদারি প্রকল্প (ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সারভেল্যান্স প্রোগ্রাম)

২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় চালু হয়েছিল সুসংহত রোগ নজরদারি প্রকল্প। রোগ ছড়ানোর আগেই তাকে সনাক্ত করা এবং দ্রুত তার প্রাদুর্ভাব এড়ানোর লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু হয়েছিল। পরবর্তীকালে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দু’বছর বাড়িয়ে মার্চ ২০১২ পর্যন্ত করা হয়। এনসিডিসি-তে কেন্দ্রীয় নজরদারি ইউনিট এবং চিহ্নিত ৯ রাজ্যের (উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের ফান্ড ও বাকি ২৬ রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য ঘরোয়া বাজেট থেকে ফান্ড দেওয়া হয়। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও এনআরএইচএম-এর অধীনে এই প্রকল্প চলছে। ৬৪০ কোটি টাকা ঘরোয়া বাজেট থেকে।

  • সব রাজ্য/জেলাগুলিতে(এসএসইউ/ডিএসইউ) নজরদারি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নজরদারি ইউনিট (সিএসইউ) স্থাপন করা হয়েছে এবং দিল্লিতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ কন্ট্রোল স্থাপন করা হয়েছে।
  • রাজ্য/জেলা নজরদারি দল এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দলের (আরআরটি) প্রশিক্ষণ ৩৫ রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সম্পন্ন হয়েছে।
  • আইটি নেওয়ার্কের মাধ্যমে রাজ্য/জেলা দফতরের ৭৭৬ অঞ্চল এবং ডেটা এন্ট্রি, প্রশিক্ষণ, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত আলোচনার জন্য প্রধান ইনস্টিটিউট স্থাপন সম্ভব হয়েছে জাতীয় ইনফরমেটিক্স সেন্টার (এনআইসি) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) সহায়তায়।
  • মহামারিপ্রবণ রোগ প্রকল্পে সাপ্তাহিক রোগ নজরদারি তথ্য সংগ্রহ করা হয় সাব সেন্টার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল সহ সমস্ত হাসপাতাল থেকে রিপোর্টিং ইউনিউটের মাধ্যমে। বর্তমানে ৯০ শতাংশের বেশি জেলা সাপ্তাহিক জেলা রিপোর্ট পাঠানো হয় ই-মেইল/পোর্টালের (www.idsp.nic.in) মাধ্যমে। রোগের প্রবণতা নির্ণয়ের জন্য সাপ্তাহিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এসএসএই/ডিএসইউ। কোনও রোগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা লক্ষ্য পড়লেই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য আরআরটি দ্বারা তদন্ত করা হয়।
  • রাজ্য/জেলাকে অবিলম্বে প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
  • ২০০৮ সালে আইডিএসপি-র অধীনে মিডিয়া স্ক্যানিং এবং যাচাই সেল তৈরি করা হয়। রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা গেলে এটি সংশ্লিষ্ট রাজ্য/জেলাকে মিডিয়ার মাধ্যমে সর্তক করে দেয় এবং যাচাই ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য বলে।
  • ২০০৮ সালে একটি ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার চালু করা হয় রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্কতা পাওয়ার জন্য। এই টোল ফ্রি টেলিফোন নম্বর হল ১০৭৫। তথ্য পাওয়া গেলেই সংশ্লিষ্ট রাজ্য/জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয় দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য।
  • মহামারি প্রবণ রোগ নির্ণয়ের জন্য ৫০ জেলা ল্যাবরেটরিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ল্যাবগুলিকে চুক্তির ভিত্তিতে মাইক্রোবায়োলজিস্ট সরবরাহ করা হয় এবং বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
  • ৯ রাজ্যে একটি রেফারেল ল্যাব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে এবং রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহরে অন্যান্য ল্যাবকে কেন্দ্র করে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বাকি ২৬ জেলা/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এই নেটওয়ার্কের বাস্তবায়ন ঘটানো হবে। বিহার, অসম, ওড়িশা, ত্রিপুরা, কেরল, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে মোট ২৩ মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবকে সংশ্লিষ্ট জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
  • জেলা এবং রাজ্য স্তরে এপিডেমোলজি, মাইক্রোবায়োলজি এবং এন্টোমোলজি ক্ষেত্রে পেশাদারদের অপ্রাপ্যতা বিষয়টি বিবেচনা করে রাজ্য এবং জেলা হেড কোয়ার্টারে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারদের নিয়োগ করছে এনআরএইচএম।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন : http://idsp.nic.in

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate