আইন ও অধিকার

ভারতের পুনর্বাসন কাউন্সিল আইন, ১৯৯২

পুনর্বাসন পেশাদারদের প্রশিক্ষণের জন্য এবং একটি কেন্দ্রীয় পুনর্বাসন রেজিস্টার সংরক্ষণের জন্য ভারতের পুনর্বাসন কাউন্সিল তৈরি করতে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। এই আইনে পুনর্বাসন পেশাদার বলতে বোঝায় :

• ১) অডিওলজিস্ট স্পিচ থেরাপিস্ট
• ২) ক্লিনিক্যাল মনোবিদ
• ৩) শ্রবণ এবং হেয়ারমোল্ড প্রযুক্তিবিদ
• ৪) পুনর্বাসন ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রযুক্তিবিদ
• ৫) প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ শিক্ষক
• ৬) বৃত্তিমূলক কাউন্সিলার এবং কর্মসংস্থান আধিকারিক
• ৭) বহুবিধ পুনর্বাসন থেরাপিস্ট এবং প্রযুক্তিবিদ
• ৮) পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার অন্য কোন পেশাদারদের এই বিভাগে নেওয়া যায় তা ঠিক করবে।

পরবর্তী কালে আইনটিতে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয় এবং সংশোধিত আইনের নাম হয় ভারতের পুনর্বাসন কাউন্সিল আইন (সংশোধিত) ২০০০।

আরও তথ্যের জন্য দেখুন --- http://vikaspedia.in/health/nrhm/national-health-programmes-1/rci-act-1992

প্রতিবন্ধকতা আইন

১৯৯৬ সালে (১৯৯৬-এর গেজেট নম্বর ১) তৈরি প্রতিবন্ধকতা আইনের উদ্দেশ্য হল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিষেবা প্রদান, সুবিধা তৈরি এবং তাদের উৎপাদন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং দেশের নাগরিক হিসাবে অন্যদের সঙ্গে সমান ভাবে সক্রিয় করার লক্ষ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্যের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা। প্রতিবন্ধকতা যাতে তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় এবং দেশের এক জন নাগরিকের মতোই তিনি যাতে তাঁর ক্ষমতা অনুযায়ী স্বাভাবিক অবদান রাখতে পারেন, সে জন্য সরকারের (কেন্দ্র এবং রাজ্য) দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছে প্রতিবন্ধকতা আইন।

আরও তথ্যের জন্য দেখুন --- http://ayjnihh.nic.in/aw/awareness/schemes1.html

পিডব্লুডি আইন ১৯৯৫ (দি পারসন্স ইউথ ডিসএবিলিটিজ)

(সম-সুযোগ, অধিকার রক্ষা এবং পূর্ণ অংশগ্রহণ) আইন ১৯৯৫

এই আইন এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবন্ধী মানুষের পূর্ণ অংশগ্রহণ ও সমতার ঘোষণা কার্যকর করার লক্ষ্যে তৈরি।

১৯৯৩ থেকে ২০০২, এই এক দশককে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবন্ধী মানুষদের দশক ঘোষণার জন্য একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৯৯২ সালে ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর বেজিং-এ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কমিশন আয়োজিত এই বৈঠকে অঞ্চলের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক কাজকর্মে পূর্ণ অংশগ্রহণ এবং সমতার লক্ষ্যে একটি ঘোষণা গৃহীত হয়। এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ভারতও অন্যতম। সে কারণে এই ঘোষণাপত্রকে প্রয়োগের দায়িত্বও তার রয়েছে। সে লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে পিডব্লুডি আইন ১৯৯৫।

আরও তথ্যের জন্য দেখুন --- http://www.unipune.ac.in/dept/Education_Extension/www/PWD.htm