কার্যকর ভাবে শহরের দরিদ্র জনসংখ্যার কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে মন্ত্রক জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে দু’টি নতুন উপ-মিশন এনএইচএম (২০১৭ সাল পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছ) এবং একটি নতুন উপ-মিশন এনইউএইচএম আরম্ভ করার প্রস্তাব দেয়। এনএইচএমের স্টিয়ারিং গ্রুপ তার কাজের বিস্তার ঘটিয়ে এনইউএইচএমে-র শীর্ষ কমিটি হিসাবেও কাজ করতে পারবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুযোগসুবিধা প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের নিয়মবিধির আওতায় থেকে প্রতিটি পুরসভা, মিউনিসিপ্যালিটি, নোটিফায়েড এরিয়া কমিটি এবং টাউন পঞ্চায়েত পরিকল্পনার এক একটি ইউনিট হবে। মিউনিসিপ্যালিটি, নোটিফায়েড এরিয়া কমিটি এবং টাউন পঞ্চায়েতের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা এনইউএইচএমের উপ-মিশনের জন্য সার্বিক জেলা স্বাস্থ্য কর্ম পরিকল্পনার অংশ হতে পারবে। শহর অঞ্চলের জন্য বিস্তৃত নিয়ম অনুযায়ী পুরসভার আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। এনএইচএম-এর অধীনে যে প্রশাসনিক কাঠামো এবং ব্যবস্থা রয়েছে তা এনএউএইচএম উপ-মিশনের চাহিদা পূরণ করা হবে।
এনইউএইচএস-এর আওতায় সব রাজ্যের রাজধানী, জেলা সদর এবং ৫০,০০০ বেশি জনসংখ্যার শহর/নগর পড়বে। এই মিশন মুখ্যত জোর দেবে বস্তিবাসী এবং অন্যান্য প্রান্তিক মানুষ, যেমন রিকশাচালক, হকার, রেল এবং বাস স্টেশনের কুলি, গৃহহীন মানুষ ও পথ শিশু এবং নির্মাণ শ্রমিকদের উপর।
সব রাজ্যের ক্ষেত্রে এই মিশনের জন্য কেন্দ্র-রাজ্য তহবিলের অনুপাত হবে ৭৫:২৫। তবে সিকিম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এবং জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য তহবিলের অনুপাত হবে ৯০:১০। সমগ্র কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রাজ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠাবে এবং মন্ত্রক তা অনুমোদন করবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/24/2020