ভৌগোলিক দূরত্ব, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ও অবস্থান ইত্যাদি অবলম্বন করে শৌচাগারের ব্যবহার সম্পর্কে সমীক্ষা ও গবেষণার কাজ খুব একটা হয়েছে তা নয়। শৌচাগার বা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সেরে ফেলার উপায় সম্পর্কে স্থান ও অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য এবং ২০১১ সালের সিং, পাঠক, চৌহান এবং ২০১২ সালের কুমার, সিং ও রাইয়ের সমীক্ষার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা অসংগত নয়।
শহর ও গ্রামাঞ্চলের অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা বা শৌচাগারের অপ্রতুলতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। বিশেষ করে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সেরে ফেলার অভ্যেসের যে একটি নেতিবাচক ও অস্বাস্থ্যকর দিক ও প্রভাব রয়েছে তা ২০০২ ও ২০০৯ সালে যথাক্রমে কর্ণ ও হরদ এবং জর্জের সমীক্ষা প্রতিবেদনেই স্পষ্ট হয়। যদি কয়েকটি গৃহস্থ বাড়ির লোকজন খোলা জায়গায় প্রাকৃতিক কাজকর্ম করার অভ্যাস বা তাগিদ থেকে বিরত না হয় তা হলে তা থেকে রোগজীবাণু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সন্নিহিত ও পারিপার্শ্বিক এলাকার বসবাসের স্থানগুলিতে। প্রতিটি জেলা হল রাজ্য প্রশাসনের এক একটি অংশ যা গড়ে ওঠে বেশ কিছু শহর ও গ্রাম নিয়ে। জেলা ভেদে মোট বসবাসকারীর সংখ্যা কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ্য হতে পারে। তাই জেলাভিত্তিক শৌচাগারের ব্যবহার সম্পর্কে কোনও মতামত বা সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর ক্ষেত্র খুবই সীমিত। স্পষ্টতই জেলা পর্যায়ে শৌচাগার ব্যবহারের বিষয়টিকে শুধুমাত্র ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বিচার করলে চলবে না, বরং স্থান এবং অবস্থান ভেদে শৌচাগারের চাহিদা এবং জোগানের পারস্পরিক সম্পর্কের নিরিখেই তা ভেবে দেখতে হবে। সামাজিক প্রথা রীতিনীতি ও আচরণের উপর শৌচাগারের চাহিদা অনেকাংশে নির্ভর করে আর শৌচাগার নির্মাণের চাহিদা পূরণে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কর্তাব্যক্তিরা। এ ব্যাপারে বর্তমানে বিভিন্ন জেলার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে চার ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। তা থেকেই জেলা পর্যায়ে একটি সুস্পষ্ট বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায়।
সুত্রঃ যোজনা জানুয়ারী ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/20/2020