বিভিন্ন এলাকায় বাস স্ট্যান্ড এবং বাজার ছাড়াও সমষ্টির জন্য নির্মিত শৌচাগার ব্যবহার করে থাকেন প্রধানত জমিজমা নেই এ রকম মানুষ এবং যাদের এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় কাজের সূত্রে যাতায়াত করতে হয় তারাই। এ ছাড়াও জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে সমষ্টির জন্য শৌচাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ ছাড়াও পেট্রল পাম্প, রেস্তোরাঁ এবং ধাবায় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা আবশ্যিক করতে সরকারি তরফে নির্দেশ জারি করা উচিত।
রাজ্য জেলা তথা পূর্ণ স্যানিটেশনের চাহিদা সম্পর্কে রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন করে তোলারও প্রয়োজন রয়েছে, যাতে স্যানিটেশনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে রাজনৈতিক দিক থেকে ভালো রকম সমর্থন আদায় করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এই কর্মসূচি রূপায়ণে পর্যাপ্ত অর্থের ব্যবস্থা করতেও রাজনৈতিক সায় ও সমর্থন পাওয়ার বিষয়টিও বিশেষ ভাবে জরুরি।
প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে যাতে স্যানিটেশনের সুযোগ সম্প্রসারিত হয় তা নিশ্চিত করা প্রত্যেক গ্রামপঞ্চায়েতের সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের একটি বাধ্যতামূলক কাজ।এই মর্মে রাজ্য সরকারগুলির সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকা প্রয়োজন।
এই অভিযানকে সফল করে তুলতে স্কুল পড়ুয়াদেরও উৎসাহিত করা উচিত। তারা হয়ে উঠতে পারে পরিবর্তনের দূত। কারণ এই অভিযানে তাদের ভূমিকা ও অবদান কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রাথমিক পর্বে তারা শুধুমাত্র নিজেদের জীবনেরই পরিচ্ছন্নতার নীতি প্রয়োগ করবে না, একই সঙ্গে তারা এই বার্তা বহন করে নিয়ে যাবে সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে। শুধু তাই নয়, দেশের কোনও স্কুলই যাতে পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত ‘আমার বিদ্যালয়—আমার কন্ঠস্বর—শিশুদের জন্য মুক্ত সংসদ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বারবার এ কথাই উঠে এসেছে যে স্কুলে স্যানিটেশন ও বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের অভাবই স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ। কোনও কোনও শিশু এই পরিচ্ছন্নতার অভাবে স্কুলে অসুস্থও হয়ে পড়ে। তাই অভিভাবকরা তাদের স্কুলে পাঠাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
সূত্র : যোজনা, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/12/2019