স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কাজকর্ম ও সংস্থাপনাগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন একান্ত জরুরি। গৃহস্থ বাড়ি, সমষ্টি এবং সকলের জন্য শৌচাগারের পূর্ণ সদ্ব্যবহার, নিয়মিত দেখভাল এবং উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এই কাজ সম্ভব করে তোলা যেতে পারে। একই সঙ্গে শহরাঞ্চলের স্থানীয় পৌরসংস্থাগুলিকেও শক্তিশালী করে তোলা প্রয়োজন, যাতে অনাময় সংক্রান্ত পরিষেবা তারা ঠিকমতো দিতে পারে।
দেশে উপযুক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ধাপে ধাপে কাজ করলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়। শহরাঞ্চলের জন্য জাতীয় অনাময় নীতি অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি খাতে বিনিয়োগ যে কোনও ধরনের বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে তা শোধন ও অপসারণের কাজও নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তজার্তিক স্তরে বহু সংস্থাই জল ও স্বাস্থ্যবিধির বহু কার্যকর সাজসরঞ্জাম ও কৃৎকৌশল উদ্ভাবন করেছে। সুলভ ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তজার্তিক সংস্থাগুলি যে সমস্ত ব্যয়সাশ্রয়ী পদ্ধতি ও কৃৎকৌশল উদ্ভাবন করেছে তা ব্যাপক ভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
শহরের দরিদ্র মানুষ বা পাকাপাকি ভাবে আশ্রয়ের বন্দোবস্ত নেই এ ধরনের মানুষরা অর্থনৈতিক কারণ ছাড়াও আরও নানা রকম প্রতিবন্ধকতার জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সমাজের বঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের এই অভাব ও প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শহরের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত জাতীয় নীতিতে এ কথাও সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, এ খাতে বরাদ্দের অন্তত কুড়ি শতাংশ যেন শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যয় করা হয়। একই সঙ্গে গ্রামের অধিবাসীরা যাতে তাদের বসবাসের জায়গায় শৌচাগার নির্মাণ করে নিতে পারে, সে জন্য ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।
ছোট শহরগুলির পক্ষে নোংরা জলের শোধন তো দূরে থাক, উপযুক্ত নালা বা নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব। এই কাজে প্রয়োজন মূলধন বিনিয়োগ, যার সাহায্যে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব।
সূত্র : যোজনা, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019