অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ওয়াই ফাই বিকিরণ শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়

ওয়াই ফাই বিকিরণ শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়

এখন তো জীবন মানেই ইন্টারনেট, তবে তা ব্যবহারের জনপ্রিয় প্রযুক্তি হল ‘ওয়াই ফাই’। কিন্তু এই প্রযুক্তি যে মানবশরীরের জন্য নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করছে সে খেয়াল আমাদের অনেকেরই নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওয়াই ফাই বিকিরণের নানা ক্ষতিকর প্রভাব মানবদেহের ক্ষতি করেই চলেছে। বিশেষ করে শিশু শরীরে এর ক্ষতির প্রভাব আরও বেশি। ঘরের মধ্যে থাকা মোডেম ও রাউটারগুলি থেকে বের হয়ে আসা বিকিরণ ঘরের বাতাসকে দূষিত করে তুলছে। শিশু ও গর্ভবতী নারীর জন্য এই বিকিরণ আরও মারাত্মক। তাই বাড়িতে শিশু ও গর্ভবতী নারী থাকলে ওয়াই ফাই ডিভাইস সেখানে না থাকাই বাঞ্ছনীয়।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দিনের অনেকটা সময় ওয়াই ফাই রেডিয়েশনের মধ্যে থাকলে অনিদ্রার সমস্যা অবশ্যই হতে পারে। ঘুমের সময় অবশ্যই ওয়াই ফাই বন্ধ রাখা উচিত। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যাঁরা এই বিকিরণের মধ্যে থাকেন, তাঁদের এনার্জি লেভেন অনেক কম। বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, স্কুলে পড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ‘ওয়াই ফাই’-এর কুপ্রভাব আরও বেশি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে মনসংযোগের অভাব দেখা দেওয়ার কারণ এই বিকিরণ। পুরুষদের স্পার্ম ও ডিএনএ-তে এই বিকিরণের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। কোষের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় ওয়াই ফাই বিকিরণ। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের বিকিরণও সমান ক্ষতিকর।
বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, যতটা সম্ভব কমানো উচিত এর ব্যবহার। ওয়াই ফাই চালু করলেই তার বিকিরণের প্রভাবে অনেকের হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। হার্টের দুর্বলতা থাকলে তো ‘সোনায় সোহাগা’। এর মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণের মধ্যে থাকলে মাথাব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। প্রথমে বোঝা না গেলেও পরের দিকে তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
ভাঙা পরিবারের প্রভাব কন্যা শিশুর মধ্যে বেশি পড়ে
বাবা-মা আলাদা হয়ে গেলে বা পরিবার ভেঙে গেলে শিশুদের মনে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে—একথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু সেই প্রভাব যে মনের কোন গভীরে পৌঁছতে পারে, সে বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই।
সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণা শেষে জানা গেছে, এর প্রভাব কন্যাশিশুদের মধ্যে বেশি পড়ে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস।
গবেষকরা দেখেছেন, পরিবারের কন্যা শিশুটির মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে বেশি স্পর্শকাতর হয়। আর এ কারণে পরিবারের শিশুদের মাঝে মেয়ে শিশুটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর প্রভাব পড়ে তার মানসিকতার ওপর। এ বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের গবেষক ডক্টর অ্যান্ড্রিয়া বেলার। তিনি বলেছেন, ‘নারীদের স্বাস্থ্য পারিবারিক কাঠামোতে বেশি সংবেদনশীল হয়।’ তিনি আরও জানান, ‘আমরা দেখেছি, আপনি যদি ট্র্যাডিশনাল পরিবার কাঠামো থেকে আসেন তাহলে পরিবারে এককভাবে থাকা বাবা, মা কিংবা সৎ ভাই-বোন বা সৎ পিতামাতার উপস্থিতি তাদের মানসিকভাবে চাপে ফেলে এবং তারা বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়।’
এ গবেষণাটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবহৃত হয়। এতে প্রায় ৯০ হাজার ব্যক্তির তথ্য ১৩ বছর ধরে বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষক ডক্টর বেলার জানান, মূলত ছয় থকে দশ বছর বয়সি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যগত বিষয়টি এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কন্যাশিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়ে।

সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়

সুত্র: বর্তমান


সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate