অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ভিটামিন এ-র অভাবে কেন কেবল রাতেই দেখতে সমস্যা হয়?

ভিটামিন এ-র অভাবে কেন কেবল রাতেই দেখতে সমস্যা হয়?

ভিটামিন এ-র অভাবে কেন ‘রাতকানা’ হয়, অর্থাৎ কেন শুধু রাতেই দেখতে সমস্যা হয়? বিষয়টি আসলে রাতে দেখার সাথে সম্পর্কিত নয় বরং উজ্জ্বল ও অনুজ্জ্বল আলোর সাথে সম্পর্কিত। তীব্র আলো এবং ক্ষীণ আলোতে মানুষের চোখ দেখার জন্য ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর মধ্যে ভিটামিন এ ক্ষীণ আলোতে দেখার পদ্ধতির সাথে জড়িত, তাই ভিটামিন এ-র অভাব হলে কেবল ক্ষীণ আলোতে দেখতেই সমস্যা হয়। রাতের বেলায় আলো কম থাকে বলে ভিটামিন এ-র অভাবে রাতেই দেখতে সমস্যা হয় অর্থাৎ রাতকানা হয়।

আমাদের দর্শনানুভূতির জন্য চোখে দুই ধরনের সেন্সর এবং তার জন্য দুই ধরনের কোষ থাকে। এরা হচ্ছে ‘কোন‌’ ও ‘রড’। আলো যখন তীব্র থাকে তখন কোন কোষগুলো সক্রিয় থাকে। কোন কোষগুলো তিন ধরনের রং এর জন্য তিনধরনের রঞ্জক ধারন করে (তাই তিন ধরনের হয়, চিত্র দেখুন) এবং এদের উপর পতিত বর্ণের রশ্মির কম্বিনেশনে আমরা একটি বস্তু দেখি। মানুষ কিভাবে বিভিন্ন ধরনের আলো দেখে তা বুঝতে এই লিংক এবং এই লিংক থেকে আর্টিকেল দুটি পড়ে নিতে পারেন।

কিন্তু মানুষ যে শুধু উজ্জ্বল আলোতেই দেখে তা নয় বরং অন্ধকারেও দেখতে পায়। একটি ঘর ঘুটঘুটে অন্ধকার করে ফেললে শুরুতে আমরা কিছুই দেখি না। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্ধকার ঘরের জিনিসপত্র দৃশ্যমান হতে শুরু করে। এর কারণ হচ্ছে, আলোর অনুপস্থিতিতে (খুব ক্ষীণ উপস্থিতিতে) কোন কোষ বর্ণ শনাক্ত করতে পারে না এবং তখন রডকোষের কার্যক্রম উপলব্ধ্য হয়ে ওঠে। একটি চোখের রেটিনাতে প্রায় ১০ কোটি রড কোষ এবং ৭০ লাখ কোন কোষ থাকে।

রড কোষ আলাদাভাবে কোনো রং শনাক্ত করে না তবে একটি সাদাকালো দৃশ্যের অনুভুতি তৈরি করে। আলো শনাক্ত করার জন্য রড কোষে কোনো বর্ণিল পিগমেন্ট থাকে না, বরং পিপমেন্ট থাকে কালো রং-এর। এই কালো পিগমেন্টের নাম রডোপসিন। রডোপসিন যেহেতু কালো তাই এটি সব রঙের আলোর তরঙ্গ শোষন করে। আমরা অনেকেই হতো জানি কালো বস্তু সব রংএর আলোই শোষণ করে আর তাই কালো দেখায়। যেহেতু রড কোষ তথা রডোপসিন সব রঙের আলো শোষন করে তাই এটি পৃথক পৃথক রঙ সনাক্ত করতে পারে না, বরং এটি কেবল উজ্জলতা অনুভব করতে পারে এবং উজ্জ্বলতার পার্থক্য অনুযায়ী মম্তিষ্কে উদ্দীপনা তৈরি করতে পারে। কাজেই বিপুল পরিমান রড কোষের উপর পতিত আলোর সমন্বয়ে মস্তিষ্কে একটি সাদাকালো ছবি তৈরি হয়।

বাম পাশে স্বাভাবিক দৃষ্টি এবং ডান পাশে রাতকানায় আক্রান্ত ব্যাক্তির দৃষ্টি দেখানো হচ্ছে

ভিটামিন এ-র অভাব হলে রড কোষগুলোর কার্যক্রম ব্যহত হয়। রডোপসিন অণুর একটি অংশের নাম রেটিনাল, যেটি তৈরি হয় ভিটামিন এ-র মাধ্যমে। ভিটামিন এ-র অভাব হলে রডোপসিন তৈরি ব্যাহত হয়, ফলে রড কোষ আলো সনাক্ত করতে পারে না। রড কোষের কাজ আমাদের প্রয়োজনই হয় রাতের বেলা বা কম আলোতে। কেননা দিনের বেলায় বা উজ্জ্বল আলোতে কোন্ কোষগুলো খুব সহজেই বর্ণ সনাক্ত করে আমাদের মস্তিষ্কে রঙিন প্রতিবিম্ব তৈরি করে, তাই দিনের বেলায় রড কোষগুলো কাজ করতে না পারলেও তার প্রভাব আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। কিন্তু রাতের বেলায় কোন কোষ কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন রড কোষের কার্যক্রম অনুভব করা যায়।

এই কারণে ভিটামিন এ-র অভাব হলে শুধু কম আলোতেই দেখতে সমস্যা হয় বা রাতকানা হয়. যখন আলো সনাক্ত করার জন্য চোখের রড কোষের কার্যক্রম প্রয়োজনীয় হয়।

সূত্র: বিজ্ঞান পত্রিকা

সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/4/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate