অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কী করবেন না

  • খুব বেশি রাগারাগি, চেঁচামেচি নয়।
  • নুন পুরোপুরি বন্ধ করবেন না। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
  • আগের দিনে ভালো ওষুধ ছিল না। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুধ, ছানা, ছোট মাছ, পেঁয়াজ বেশি করে খেতে হত। এখনও অনেকে সেই নিয়ম মেনে চলেন। এ সমস্ত খাবার খেতে পারেন, কিন্তু ওষুধের বদলে নয়।
  • ব্যথা কমার ওষুধ, গর্ভনিরোধক বড়ি থেকে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ সমস্ত ওষুধ খাবেন না।
  • গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বাড়া মা এবং বাচ্চা দুইয়ের জন্যই বিপজ্জনক। কাজেই সমস্যা হওয়া মাত্র ডাক্তার দেখান। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দু’জনেরই সাহায্য দরকার হতে পারে। বাচ্চা জন্মানোর পরও ফলো আপ চালিয়ে যেতে ভুলবেন না। কারণ কিছু মহিলার ক্ষেত্রে পরবর্তী কালেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে যায়।

উত্তেজনার মুহূর্তে

  • উত্তেজনার মুহূর্তে রক্তচাপ মেপে দেখুন। স্বাভাবিক অবস্থায় যে রক্তচাপ থাকে এ সময় তার চেয়ে বেশি খানিকটা বেড়ে গেলে দেখতে হবে আপনি কী ওষুধ খাচ্ছেন। এ সব ক্ষেত্রে বিটা ব্লকার ভালো কাজে আসে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নয়।
  • অশান্তি হলেই যদি রক্তচাপ বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, অশান্তি এড়াতে হবে। দরকার হলে আর্ট অফ লিভিং বা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন পদ্ধতি শিখে নিন।
  • সব নিয়ম মানা সত্ত্বেও আচমকা রক্তচাপ বেড়ে বুক ধড়ফড়, বুকব্যথা, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, ঘাড়ব্যথা, ঘাম বা শরীরের অস্বস্তি শুরু হলে — যে পরিস্থিতিতে রক্ত চাপ বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে সেখান থেকে সরে যান। ঘাড়ে মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। ঠান্ডা জল খান। শুয়ে বা বসে থাকুন খানিকক্ষণ। বেশি কষ্ট হলে অ্যালপ্রাজোলাম খান।
  • হৃদরোগ থেকে আগে কখনও বুকব্যথা হয়ে থাকলে, এখন ব্যথা না হলেও জিভের নীচে আইসোসরবাইড ডাই নাইট্রেট গ্রুপের ওষুধ রাখুন।
  • রক্ত চাপ মাপান। স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে অথবা মাথা ঘাড়ে ব্যথা, কান গরম, শরীর অস্বস্তি, বুকব্যথা ইত্যাদি কষ্ট না কমলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও দরকার হতে পারে।
  • রক্ত চাপ বেশি না থাকলেও এ রকম পরিস্থিতিতে নিয়মগুলি মেনে চলুন। কারণ আমাদের দেশে যত মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাঁদের মধ্যে শতকরা ৫০ জনেরও কম জানেন যে তাঁদের সমস্যা আছে। এঁদের মধ্যে চিকিত্সা করাতে আসেন শতকরা পঞ্চাশের মতো মানুষ। ঠিক চিকিত্সা পাওয়া মানুষের সংখ্যা এর ৫০ শতাংশ। রক্তচাপ আয়ত্তে থাকে এঁদের ৫০ শতাংশের মধ্যে। কাজেই আপনি জানেন আপনি দিব্যি আছেন, হয়তো আসলে দিব্যি নেই। সে ক্ষেত্রে উপসর্গ উপেক্ষা করলে বিপদ হতে পারে।

ওষুধের প্রতিক্রিয়া

ওষুধ দেওয়ার আগে রোগীকে পরীক্ষা করা হয়। রক্তের সুগার, ইউরিক অ্যাসিড, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্রিয়াটিনিন লেভেল মাপা হয়। হাঁপানি বা হার্টের অসুখ আছে কি না জেনে নেওয়া হয়। প্রয়োজনে আরও পরীক্ষা করে ওষুধ বাছা হয়। ফলে প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা কম। তা সত্ত্বেও ওষুধ চলাকালীন কিছু অসুবিধে হতে পারে। যেমন —

  • রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া
  • মাথাব্যথা, মাথাঘোরা
  • কাশি
  • পা ফোলা
  • ক্লান্তি, দুর্বলতা
  • গায়ে র‍্যাশ
  • বিবাহিত জীবনযাপনে অনীহা।

এ রকম হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

তথ্য : ডাঃ অবনী রায়চৌধুরি

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/12/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate