অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কী করবেন

কী করবেন

  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হার্ট, কিডনি, চোখ এবং নার্ভের ক্ষতি হয়। ক্ষতি এড়াতে চাইলে সাবধান হতে হবে রোগ হওয়ার আগে থেকে। বিশেষ করে পরিবারে ডায়াবেটিস থাকলে, অজানা কারণে একাধিক বার গর্ভপাত হলে, মৃত অথবা সাড়ে তিন চার কেজি ওজনের বাচ্চা প্রসব করলে। কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। যেমন —
    • খাবার খান ক্যালরি মেপে। তেল, ঘি, মাখন, ভাজা, ফাস্ট ফুড, তৈলাক্ত মাছ, মাটন, বিফ, চকোলট, মিষ্টি, অ্যালকোহল কম খান। শাকসব্জি, ফল, ডাল, ভাত, রুটি, মাছ, মুরগি খান পরিমাণ মতো। তেল দিনে ৪ – ৫ চামচের বেশি না হলেই ভালো।
    • সপ্তাহে ৫ দিন আধ ঘণ্টা করে হাঁটুন, সাঁতার কাটুন বা সাইকেল চালান। সঙ্গে ভুঁড়ি কমাতে সিট আপ, লেগ রাইজিং। বয়স ৪০-এর উপর হলে অথবা কোনও অসুখ থাকলে ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
    • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
    • ৩০ বছর বয়সের পর উপসর্গ না থাকলেও দু’ তিন বছর অন্তর রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন, সুগার ঠিক আছে কি না।
  • খালি পেটে সুগারের মাত্রা ১২৬-এর উপর থাকলে এবং ভরপেট বা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার দু’ ঘণ্টা পর (পি পি সুগার) ২০০ ছাড়িয়ে গেলে ডায়াবেটিস হয়েছে। পিপি সুগার ১৪০ – ২০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে বলে ইমপেয়ারড গ্লুকোজ টলারেন্স অর্থাৎ ভবিষ্যতে এদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
  • ইমপেয়ারড গ্লুকোজ টলারেন্সের সঙ্গে হাই কোলেস্টেরল, ওবেসিটি, টেনশন, বা পরিবারের কারও ডায়াবেটিস থাকলে রোগ ঠেকাতে মেটফরমিন, গ্লিটাজোনস দেওয়া যেতে পারে। সঙ্গে ওজন, টেনশন এবং কোলেস্টরল কমানোর দাওয়াই।
  • অল্প ডায়াবেটিসে প্রথম দু-এক মাস ডায়েটিং এবং ব্যায়াম বাড়িয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা হয়। খাওয়ার নিয়মেও পরিবর্তন আসে। যেমন, এক সঙ্গে বেশি না খেয়ে অল্প করে বারে বারে খওয়া, মদ্যপান কমানো, ধূমপান না করা। এতে সুগার কমে গেলে আর ওষুধ দেওয়া হয় না। কিন্তু ৬ – ৮ সপ্তাহ বাদে বাদে রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হয় সুগার বাড়ছে কি না।
  • প্রথম দিকে সালফোনিল ইউরিয়া, মেটফরমিন দেওয়া হয়। কাজ না হলে ইনসুলিন।
  • হার্ট, চোখ, কিডনি এবং নার্ভ নিয়মিত চেক আপ করা দরকার।
  • রক্তে সুগারের মাত্রা যাতে বিপদসীমার নীচে নেমে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। ইনসুলিন চললে বিশেষ করে। সমস্যা এড়াতে সময়মতো খাবার খান। ঘাম দিয়ে মাথা ঘুরতে শুরু করলে বসে পড়ে মিষ্টি কিছু খেয়ে নিন।
  • খাওয়া নিয়ে আজকাল কড়াকড়ি কম। মিষ্টি বাদে বাকি সবই অল্প বিস্তর খাওয়া যায়। ভাত মেপে। এক বেলা ভাত এক বেলা রুটি খেলে ভালো, নয়তো ভাত, রুটি মিলিয়ে। লাল আটার রুটি। শাকসবজি খান, সম্ভব হলে খোসা সুদ্ধ। ওল, কচু, আলু কম। ডিমের কুসুম বা খাসির মাংসের বদলে যে কোনও মাছ, ডিমের সাদা অংশ এবং মুরগির মাংস খান। ঘি, মাখন, বনস্পতি না খেলেই ভালো। ফল খান। মিষ্টি ফল হলে কম করে।
  • ওষুধের রিয়্যাকশন হলে যেমন পেটের গণ্ডগোল, ওজন বাড়া, গায়ে র‍্যাশ, লিভারের সমস্যা, ডাক্তারকে জানান। লিভার দুর্বল হলে কিছু ওষুধ দেওয়া যায় না।
  • অনেকের ধারণা তেতো খেলে ডায়াবেটিস সারে। ফলে তাঁরা ওষুধের বদলে উচ্ছে, নিমপাতা খেতে শুরু করেন। খেতে অবশ্যই পারেন, কিন্তু ওষুধের পরিবর্তে নয়। ডায়েট এবং ব্যায়াম করে রোগ আয়ত্তে না থাকলে ওষুধই একমাত্র রাস্তা। ওষুধ বন্ধ করে দিলে হার্ট, কিডনি, চোখ, নার্ভ খারাপ হয়ে যেতে পারে।

কিছু তথ্য

বেশি বয়সে হয় নন ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস (টাইপ টু)। ৯৫ শতাংশ রোগী এতে ভোগেন। দ্বিতীয় ধরনের ডায়াবেটিসকে বলে ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস (টাইপ ওয়ান)। শতকরা ৫ জন রোগী ভোগেন এতে। এদের শরীরে ইনসুলিন থাকে না। ১০ – ২০ বছর বয়সের মধ্যে এই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দেয়।

তথ্য : ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়

সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/20/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate