অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

শৈশবে পরিচর্যা

শৈশবে পরিচর্যা

  • নবজাতকের চোখ ভালো রাখতে চাইলে গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। বিশেষ করে ভিটামিন এ, ডি এবং ক্যালসিয়াম। অর্থাৎ সবুজ শাকসবজি, বিট, গাজর, হলুদ পাকা ফল, মাছ, মাংস, ডিম, ছোট মাছ, দুধ, মাখন।

    ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। জার্মান মিজলসের টিকা না নেওয়া থাকলে গর্ভধারণের আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। কারণ গর্ভাবস্থার দেড় মাসের মধ্যে এই রোগ হলে বাচ্চা ছানি নিয়ে জন্মাতে পারে।

  • বাচ্চা জন্মানো মাত্র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান। প্রয়োজনে তিনি চোখের ডাক্তার দেখাবেন। বেশ কিছু জন্মগত চোখের অসুখ আছে যা শুরুতে ধরা না পড়লে পরে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কয়েকটি জিনিস একটু খেয়াল করুন। যেমন —
    • জন্মের পর এক মাস পর্যন্ত বাচ্চার চোখে জল থাকার কথা নয়। এ সময় যদি চোখ জলে ভরে থাকে বা পিচুটি পড়ে সঙ্গে সঙ্গে চোখের ডাক্তার দেখান। মূলত দু’টি কারণে এ রকম হয়।
      • ১) অপথ্যালমিয়া নিওনেটারাম অসুখে। মায়ের গনোরিয়া বা গর্ভদ্বারে এক বিশেষ ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ থাকলে এই অসুখ হয়।
      • ২) জন্মগত নেত্রনালি হলে। সাধারণত বাঁ চোখে এই অসুখ হয়। দু’টি অসুখেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা না নিলে চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
    • বাচ্চার চোখ ট্যারা বা চোখের মণিতে সাদা দাগ আছে কি না দেখুন।
    • ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে বাচ্চা জিনিসপত্রের নাড়াচাড়া, আলো বিশেষ করে লাল আলোর দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে পারে। না পারলে চোখের ডাক্তার দেখান।
  • জন্মের পর ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চার মূল খাবার বুকের দুধ। একটু বড় হওয়ার পর খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ এবং সি থাকে সে দিকে খেয়াল রাখুন। সবুজ শাকসবজি, হলুদ এবং টক ফল, মেটে, দুধ, ঘি, মাখন ইত্যাদি যেন খাদ্যতালিকায় থাকে।
  • কাজল পরাবেন না। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এবং আঞ্জনির সম্ভাবনা বাড়বে।
  • খুসকি, উকুন, কৃমি থাকলে চিকিত্সা করান।
  • দিনে ৩ – ৪ বার পরিষ্কার খাবার জল দিয়ে চোখ ধুইয়ে দিন।
  • চোখ ঠিক রাখতে চাইলে দু-আড়াই বছর বয়স থেকে দু-একটি নিয়ম শিখিয়ে দিন। যেমন —
    • পড়ার সময় বই থেকে চোখের দূরত্ব হবে ১৪ ইঞ্চি। পড়বে টেবিল চেয়ারে। বাচ্চার উচ্চতা অনুযায়ী টেবিলের উচ্চতা ঠিক করুন। ডেস্ক হলে সব চেয়ে ভাল। বিছানায় শুয়ে, বসে, দুলে দুলে, হেঁটে বা চলন্ত গাড়িতে পড়া বাদ দিতে পারলেই ভালো। কারণ এতে বইয়ের সঙ্গে চোখের দূরত্ব ঠিক থাকে না বলে চোখ সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
    • দিনের বেলা পড়বে আলোর দিকে পিছন ফিরে বসে। রাত্রে টেবিল ল্যাম্পে। বাঁ দিকে থাকবে ল্যাম্প। বালব হবে ৬০ পাওয়ারের ফ্রস্টেড কাচে তৈরি। টিউব লাইটের নীচেও পড়া যেতে পারে। তবে মোমবাতি নয়। বরং হ্যারিকেন ব্যবহার করা যায়। সামনে কাগজ দিয়ে কিছুটা আড়াল করে নেবেন, যাতে আলো সরাসরি চোখে না পড়ে।
    • একটানা টিভি দেখলে চোখ ক্লান্ত হয়। তবে পাওয়ার বাড়ে না। ভয় নেই। উল্টো দিকের দেওয়ালের আলোর প্রতিফলন যেন টিভি স্ক্রিনে না পড়ে। টিভি থাকবে চোখের লেভেলে বা একটু নীচে। মশারির মধ্যে শুয়ে যেন টিভি না দেখে।
  • জল দূষণ বা সুইমিংপুলের অতিরিক্ত ক্লোরিন থেকে চোখ জ্বালা, জল পড়া বা চোখ লাল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাঁতার বা স্নানের জায়গা বদলে ফেলুন।
  • পড়ার সময় বই একেবারে চোখের সামনে নিয়ে এলে বা ট্যারা হয়ে গেলে চোখের ডাক্তার দেখান।
  • তিন-চার বছর বয়সে স্নেলেন চার্ট, চোখের ডাক্তারের কাছে যে চার্ট থাকে, ২০ ফুট দূরত্বে রেখে দেখুন বাচ্চা পড়তে পারে কি না। তিন বছরে ৪ – ৫ টা লাইন পড়তে পারলে দৃষ্টি স্বাভাবিক। ৫ – ৬ বছরে ৭ লাইনই পড়তে পারার কথা। একটা চোখ চেপে রেখে পড়তে বলুন। কম দেখলে ডাক্তার দেখিয়ে চশমা দিন। কনট্যাক্ট লেন্স নয়। দেরি হলে পরে চশমা দিয়েও আর ঝকঝকে দৃষ্টি (৬/৬) ফেরত পাওয়া যায় না। চোখের এই দুর্বলতাকে বলে অ্যামব্লায়োপিয়া বা লেজি আই।
  • ৬ বছর বয়সে সমস্যা না থাকলেও চোখের ডাক্তার দেখিয়ে চোখ পরীক্ষা করান।
  • মাথা ব্যথা, চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখ চুলকানো, আঞ্জনি, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হলে ডাক্তার দেখান।
  • ১৩ – ১৪ বছর বয়সে আবার চেক আপ। এ সময়ই বেশির ভাগ মায়োপিয়া ধরা পড়ে। বর্ণান্ধতা আছে কি না তা-ও এ সময় দেখে নেওয়া দরকার।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/28/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate