অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

কী করবেন

  • আইবুপ্রফেন বা ডাইক্লোফিনেক জাতীয় ব্যথা কমার ওষুধ খান। সহ্য না হলে প্যারাসিটামল। ডাইক্লোফিনেক জেল লাগান। গরম সেঁক দিলেও বেশ আরাম হয়।
  • শোয়ার সময় কাঁধ পর্যন্ত ছড়ানো পাতলা তুলোর বালিশ ব্যবহার করুন।
  • ঘাড় ঝুঁকিয়ে পড়াশোনা বা ঘাড়ে চাপ পড়ে এমন কাজ কয়েক দিনের জন্য বন্ধ।
  • দু-তিন দিনে না কমলে ডাক্তারের পরামর্শমতো এক্সরে এবং রক্ত পরীক্ষা করান।

এক্সরেতে ত্রুটি নেই

  • টনসিল বা গলায় অন্য কোনও সংক্রমণ হলে সেই অনুযায়ী চিকিত্সা করান।
  • ফাইব্রোমায়ালজিয়ার একটা নির্দিষ্ট অংশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। আলট্রাসনিক রে নিলে উপকার হয়। না কমলে হাইড্রোর্টিসোন ইনজেকশন।
  • ভুল পদ্ধতিতে শোওয়া বসা বা ঝুঁকে পড়াশোনা করার জন্য ব্যথা হলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। যেমন —
    • ব্যথা কমার ওষুধ, লাগানোর জেল বা গরম সেঁক দিন প্রয়োজনমতো।
    • মাথা বেশি ঝুঁকিয়ে লেখা বা পড়ার কাজ করবেন না। টেবিলের বদলে ডেস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
    • ঘাড়ে যাতে ঝাঁকুনি না লাগে।
  • মোটামুটি ৪ ইঞ্চি উচ্চতার কাঁধ পর্যন্ত ছড়ানো নরম তুলোর বালিশ ব্যবহার করুন। বালিশে মাথা রাখলে যাতে গর্ত হয়, মেরুদণ্ড, ঘাড়, মাথা সব একই রেখা বরাবর থাকে।
  • ব্যথা কমে গেলে ঘাড়ের ব্যায়াম শুরু করুন। দাঁড়িয়ে বা সোজা হয়ে বসে ছাদের দিকে তাকান। এ বার ঘাড় ঝুঁকিয়ে মেঝের দিকে। ঘাড় সোজা রেখে এক বার ডান দিকে, তাকান, তার পর বাঁ দিকে। এটি ঘাড়কে সচল রাখে। মাংশ পেশি সবল করতে বাঁ হাত দিয়ে মাথাকে ডান দিকে ঠেলুন, মাথা সোজা থাকবে। এ বার ডান হাতের চাপে মাথাকে বাঁ দিকে ঠেলার চেষ্টা করুন। মাথা আগের মতোই সোজা থাকবে। মাথার পিছনে দু’ হাত জড়ো করে মাথাকে সামনে ঠেলুন। মাথা সোজা। কপালে দু’ হাত রেখে মাথা পিছনে ঠেলবেন। মাথা সোজা থাকবে। ৮ – ১০ বার করে করুন। দিনে দু’বার।
  • ঘাড় মাথা সোজা রেখে চলাফেরা করুন। শোওয়া-বসার সময়ও ঘাড়ে যাতে অনাবশ্যক চাপ না পড়ে।

এক্সরেতে ত্রুটি আছে, রক্তে নেই

অধিকাংশ সময় স্পন্ডাইলোসিস।

  • প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ খান।
  • ট্র্যাকশান বা আল্ট্রাসোনিক রে দিতে হতে পারে।
  • শোওয়া-বসার নিয়ম মেনে চলুন।
  • কয়েক মাসের জন্য কলার পরতে পারেন।
  • ব্যথা কমলে ঘাড়ের ব্যায়াম করুন। ১০ – ১৫ বার করে দিনে দু’ বার।
  • ব্যথা না কমলে সঙ্গে হাতের আঙুলে ঝিনঝিন বা অসাড় ভাব থাকলে এম আর আই স্ক্যান করে দেখতে হবে ডিস্ক প্রোলাপস আছে কি না। স্পন্ডাইলোসিস এবং ডিস্ক প্রোলাপস এক সঙ্গে থাকে অনেক সময়।
  • অল্প ডিস্ক প্রোলাপসে কলার, ট্র্যাকশন এবং ব্যথার ওষুধে কাজ হয়।
  • বড় ডিস্ক প্রোলাপসে অপারেশন লাগতে পারে।

এক্সরে এবং রক্তপরীক্ষায় ত্রুটি আছে

উপসর্গ হিসেবে আছে —

  • মারাত্মক ব্যথা
  • অল্প জ্বর
  • ক্লান্তি, দুর্বলতা
  • শরীর ভেঙে যাচ্ছে
  • কখনও দু’টো হাত বা দু’ পায়ে ঝিন ঝিন বা অসাড় ভাবও থাকে।

উপসর্গ, এক্সরে এবং রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী টি বি হয়েছে বোঝা গেলে —

  • টি বি-র ওষুধ চালু করতে হবে
  • কলার পরতে হবে
  • শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে কিছু দিন
  • রোগ সারলে, ব্যথা কমলে ঘাড়ের ব্যায়াম শুরু করবেন। এতে না কমলে বা হাত পায়ে পক্ষাঘাত দেখা দিলে অপারেশন জরুরি। জটিল রোগে আগেও অপারেশন করতে হতে পারে।

তথ্য : ডাঃ সুব্রত দাশগুপ্ত

সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/17/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate