অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

চিকিৎসা

টেনশন হেডেক

  • কোনও শারীরিক বা মানসিক চাপের জন্য ব্যথা হলে তাকে বাদ দিলে অর্ধেক কাজ সারা। সঙ্গে রিলাক্সেশন। মন হালকা থাকলে টেনশন হেডেক কম হয়।
  • টেনশন কমাতে বন্ধু-বান্ধব হার মানলে পেশাদারি সাহায্য নিন।

মাইগ্রেন

  • রোগের প্রবণতা থাকলে ‘ট্রিগার ফ্যাক্টরের’ উপস্থিতিতে রোগের সূত্রপাত হতে পারে। ‘ট্রিগার ফ্যাক্টরের তালিকা বিরাট। যেমন —
    • চকোলেট, চিজ, আচার, চাইনিজ, ফাস্টফুড, সয়া সস, কেক, পেস্ট্রি, পিত্জা, কফি, বিয়ার, রেড ওয়াইন, টক ফল।
    • রানিটিডিন বা ফ্যামোটিডিন, রক্তচাপ কমানোর কিছু ওষুধ, থিওফাইলিন গ্রুপের ব্রঙ্কোডাইলেটর বা হাঁপানির কিছু ওষুধ।
    • অতি ভোজন, উপবাস, স্ট্রেস, টেনশন, ক্লান্তি, উগ্র গন্ধ, কম বা বেশি ঘুম

    কোনটা থেকে সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পেরে এড়িয়ে চললে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।

  • চিকিত্সার দ্বিতীয় ধাপ প্রিভেনটিভ থেরাপি। ব্যবহার করা হয় ফ্লুনারিজিন, বিটাব্লকার, ব্রেনের ই ই জি করে দরকার হলে অ্যান্টি কনভালস্যান্ট ড্রাগ, অবসাদের ইতিহাস থাকলে অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট, ব্যথা কমাতে নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ ইত্যাদি।
  • প্রিভনটিভ থেরাপি সত্ত্বেও উপসর্গ হলে ব্যথার ওষুধ, বমি বা বমিভাব কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়। কাজ না হলে দিতে হয় ট্রিপটান ট্যাবলেট, নাকের স্প্রে বা ইনজেকশন।
  • চিকিত্সা করলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সে কাজে বাধা আসে নানা দিক থেকে।
  • প্রথমত, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় হয় না ঠিক ভাবে। ব্যথা কমানোর ওষুধ বা ঘুমের ওষুধ খেয়ে দিন কাটে। ফলে অসুখ চেপে বসে।

    দ্বিতীয় সমস্যা আসে ট্রিগার ফ্যাক্টর চেনা এবং সামলানো নিয়ে। চিকিত্সা চলা সত্ত্বেও ট্রিগার ফ্যাক্টর এড়াতে না পারায় রোগ ঘুরেফিরে আসতে পারে।

    তৃতীয় সমস্যা ওষুধের অপব্যবহার। ক্রনিক মাইগ্রেনের রোগী ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ দিন, সপ্তাহে ৪ – ৫ দিন, ব্যথা কমানোর ওষুধ খেতে শুরু করলে রোগ কমার বদলে জটিল হয়ে পড়ে।

  • মাইগ্রেন মহিলাদের বেশি হয়। এঁদের আবার অধিকাংশ অ্যাটাক শুরু হয় পিরিয়ডের সময়। ব্যাপারটা মাথায় রাখলে চিকিত্সার সুবিধে।

অন্য কারণ

  • চোখের সমস্যা, সাইনোসাইটিস, ব্রেন টিউমারের জন্য মাথা ব্যথা হলে কী করণীয় তা পরবর্তী অধ্যায়ে দেখে নিন। স্ট্রোক হলে নিজে কিছু করার প্রশ্ন নেই। ব্যথা এতটাই ভয়াবহ থাকে যে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আর রাস্তা থাকে না।
  • মেনিনজাইটিস বা এনকেফেলাইটিসে প্রচণ্ড মাথাব্যথার সঙ্গে জ্বর থাকে। রোগ জটিল হলে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, ডাবল ভিশন আসতে পারে, তড়কা বা আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারে রোগী। এ রকম পরিস্থিতিতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা উচিত।
  • শোওয়াবসার ত্রুটির জন্য অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথা হয়। সেখান থেকে মাথায় ছড়াতে পারে। শোওয়া বসার কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন। ঘাড়ব্যথা চ্যাপ্টারে দেখে নিন।

তথ্য : ডাঃ অনুপম দাশগুপ্ত

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate