অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

এক্সরেতে ত্রুটি আছে, কী করবেন

কারণ

  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
  • অস্টিও আর্থ্রাইটিস

উপসর্গ

  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের শুরুতে অল্প জ্বর, চোখ লাল। গাঁট ফুলে গরম হয়ে মারাত্মক ব্যথা, এক এক সময় এক এক গাঁটে। শরীরের দু’ দিকে সমান ভাবে, যেমন দু’ হাঁটুতে, দু’ গোড়ালিতে, দু’ কবজিতে বা দু’ কনুইয়ে। হাতের ছোট গাঁটেই বেশি।
  • বয়স ৬০-এর কাছাকাছি। হাঁটু বা কোমরে ব্যথা, ফোলা ভাব, সিঁড়িতে ওঠানামা করতে কষ্ট। বিশেষ করে নামতে, অস্টিও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ।

কী করবেন

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস

  • ব্যথা বাড়লে বরফ সেঁক, ব্যথা কমানোর ওষুধ ও বিশ্রাম নিন।
  • অসুখ কমানোর ওষুধ নিয়মিত খান। না হলে শয্যাশয়ী হয়ে পড়বেন।
  • ফিজিওথেরাপি, আলট্রাসোনিক রে, ওয়াক্স বাথ নিতে হবে মাঝে মধ্যে।
  • মারাত্মক ব্যথায় হাইড্রোকর্টিসোন ইনজেকশনও দেওয়া হয়।
  • রোগের প্রকোপ কমাতে ওজন ঠিক রাখুন। ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করুন। মাছ খেতে হবে নিয়িমত। কষ্ট হলে হাঁটাচলা ছেড়ে দেবেন না।
  • ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুন।
  • ১০ – ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু অপারেশন করতে হতে পারে। যেমন —
    • সাইনোভেকটিম : প্রতিটি গাঁটই ঢাকা থাকে সাইনোভিয়াম নামের পর্দায়। এই পর্দায় প্রদাহ হয়। প্রদাহের গাঁটে ছড়িয়ে পড়া রুখতে পুরো পর্দা চেঁছে বাদ দেওয়া হয়।
    • ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে ক্ষিত গ্রস্থ গাঁট মেরামত করা হয়।
    • অযোগ্য গাঁট বাতিল করে নকল গাঁট বসানো হয় জয়েন্ট রিপ্লেসেমন্ট করে।

অস্টিও আর্থ্রাইটিস

  • মারাত্ম ব্যথায় বরফের পুলটিশ লাগান। ব্যথার ওষুধ খান। ডাক্তার দেখান।
  • বাড়া বাড়ি না হলে মাস তিনেক খাবারের মাধ্যমে কার্টিলেজের দুই উপাদান গ্লুকোসামিন এবং কোনড্রয়টিন দিলে রোগ বাড়ে না। সঙ্গে ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হয়।
  • কিচু ক্ষেত্রে গোড়ালি দিয়ে ট্র্যাকশন দিতে হয়।
  • নি ক্যাপ ব্যবহার করতে হয় অনেক সময়।
  • হাঁটুর উপর চাপ কমাতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন —
    • ওজন কম রাখা।
    • সিঁড়ি দিয়ে ওঠানা নামা বন্ধ, বাথরুমে কমোড ব্যবহার করা, হাঁটু মুড়ে না বসা। রোগ বেড়ে গেলে লাঠিও ব্যবহার করেত হয়।
  • ব্যথা না কমলে হায়ালুরোনিউডেজ ইনজেকশন দেওয়া হয়। সপ্তাহে একটা করে ৩ – ৪ সপ্তাহ। আগে হাইড্রোকর্টিসোন দেওয়া হত। এতে তাত্ক্ষণিক আরাম হলেও দীর্ঘস্থায়ী কিছু ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
  • প্রয়োজনে আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি করে হাঁটুর ভেতরের টুকরো হাড়, কার্টিলেজ বার করে দিলে রোগীর কষ্ট কমে।
  • সব শেষে নি রিপ্লেসমেন্ট। অকেজো গাঁট বদলে প্লাস্টিক বা স্টিলের গাঁট বসানো।

জন্মগত ত্রুটি

রিকেট বা কোনও জন্মগত কারণে হাঁটুর হাড় অসমান ভাবে বেড়ে হাঁটু বেঁকে যায়। ব্যথা হয় খুব। আপারেশনে ভাল ফল হয়। একাধিক আপারেশনও লাগতে পারে।

টিউমার

মারাত্মক ব্যথা, ফোলা, কখনও জ্বর। ওষুধে তেমন উপশম নেই। অপারেশন লাগে। কেমো বা রেডিওথেরাপিও করতে হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate