অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

জন্ডিস এবং জন্ডিস হলে করনীয় কি?

যকৃতের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ব্যাধিলক্ষন জন্ডিস বা কামলা বা পান্ডুরোগ। রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিন জমা হইয়া জন্ডিস রোগের সৃষ্ট হয়। মনে রাখবেন- রক্তে বিলিরুবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ০.২-০.৮ মিলিগ্রাম। এ মাত্রা ২ মিলিগ্রামের উপরে উঠলে চোখের সাদা অংশ হলুদ রং হয়। প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। লক্ষ করলে দেখা যায় জিহবার নীচের শৈষ্লিক ঝিল্লীও হলুদ হইয়া গিয়াছে। সর্বশেষে শরীরের চামড়াও হলুদ বর্ণ ধারন করে।

জন্ডিস রোগকে কারন অনুসারে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।

০১। যেমনঃ পিত্তকোষে পাথর হইয়া পিত্তনালীর পথ বন্ধ হইয়া গেলে, পিত্তনালীর গাত্রে ক্ষত সৃষ্ট হলে, পিত্তনালীর বাহিরে চাপ সৃষ্টি হয়ে যেমনঃ টিউমার হয়ে পিত্তনালীর পথ সরু হয়ে রক্ত চলাচল বাধা সৃষ্টি হলে, জন্ডিস রোগ হয়।

০২। যেমনঃ ম্যালেরিয়া, ব্লাকওয়াটার ফিভার প্রভৃতি রোগে লহিত রক্ত কনিকা নষ্ট হলে পিত্ত বেশী সৃষ্টি হয়ে অর্থাৎ বিলিরুবিন রুপে সাধিত হয় এবং জন্ডিসে আক্রান্ত হয়।

০৩। অনেক জীবানু বা ভাইরাস দ্বারা কিংবা কতকগুলি ঔষধে লিভারের উপর (রি-একশান) বা বিষক্রিয়ার ফলে পিত্তনালীর পথ বন্ধ হয়ে গেলে জন্ডিস রোগের উৎপত্তি হয়।

ব্যখ্যা

জন্ডিস একটা লক্ষন বা উপসর্গ মাত্র। যেমন জ্বর কোন রোগ নয়। তেমনি জন্ডিস কোন রোগ নয়। লিভার বা যকৃতে পিত্তনালীর পথ যে কোন ভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে তা জন্ডিস এর লক্ষন হিসাবে প্রকাশ পায়। অনেক সময় দেখা যায়- লহিত কণিকার ভাঙ্গন জনিত জন্ডিস (সাধারন সমস্যার) ক্ষেত্রে একটি নিদিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এই রোগ এমনিতেই সেরে যায়।

কারন

দেহে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিলিরুবিন তৈরী হইতেছে। রক্তকণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন। তাই অনেক ক্ষেত্রে ১২০ দিন বা ০৩ মাস পর দেখা যায় পূর্বের লহিত কণিকার ভাঙ্গন জনিত সমস্যা নতুন রক্ত কনিকা তৈরী হওয়ার কারনে, জন্ডিস ভাব দূর হয়ে এমনিতেই সেরে যায়।

পিত্ত পাথরি কারনে পেটে ব্যথা হলে করনীয়

পেটে তার্পিন তেল মালিশ করিলে বা পেটে সেঁক দিলে কিছু উপকার হয়। রোগ চলাকালীন অবস্থায় তরল, হালকা ও পুষ্টিকর খাদ্য দিতে হবে। ডাবের জল, ঘোল, ছানার জল, ফলের রস, খুব উপকারী পথ্য। চর্বি যুক্ত খাদ্য, ঘি, মাখন ইত্যাদি না খাওয়াই উত্তম। মনে রাখবেন- যদি আপনা থেকেই এই রোগ ভাল হয়, তবে বুঝতে হবে- পাথর বাহির হয়ে গিয়াছে। আর তা না হলে, চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে ঝার-ফুক, তাবিজ, গাছের শিকড় ইত্যাদি দিয়ে অনেককে ধোঁকা দিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব দেখাচ্ছে। আসলে এদের কোন কৃতিত্ব আছে বলে কেউ প্রমান করতে পারবেনা। মজার কথা হল- যারা জন্ডিসের ঝার-ফুক, তাবিজ, গাছের শিকড় ইত্যাদি দিচ্ছেন, তারা অনেকেই জানেইনা জন্ডিস কি?

অন্নান্য কারনে জন্ডিস দেখা দিলে, অনেক ক্ষেত্রে তা জটিল আকার ধারন করতে পারে। উপরোক্ত ০৩টি কারনের মধ্যে যে কারনে এই রোগের সৃষ্টি হয়েছে তা বের করে, ঐ কারন অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

তাই কোন ঝার-ফুক, তাবিজ, গাছের শিকড় ইত্যাদি দিয়ে এই পিত্তনালীর রক্ত চলাচলের সমস্যা ঠিক হবেনা। আপনি নিজে সচেতন হউন, অন্যকে এই বিষয়ে সচেতন করা আপনার আমার সবার নৈতিক দায়িত্ব।

করনীয়

পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। লিভার বা যকৃতের বিশ্রামের জন্য শরবত, প্রচুর আখের রস খাওয়াতে হবে। রুচি থাকিলে ভাত, চর্বি বিহীন মাছ, তরকারী, পাউরুটি, সর ছাড়া দুধ ইত্যাদি দেয়া যাইবে। অরুচি বা জ্বর না থাকলে ভিটামিন- বি ও ভিটামিন- সি খাওয়া যাইবে, অন্য কোন ঔষধের প্রয়োজন নেই। জন্ডিসের সাথে জ্বর থাকলে, বুমি বুমি ভাব বা বুমি থাকলে, চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। তবে জন্ডিসের নিশ্চিত আরোগ্যদানকারী চিকিত্সা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। তাই জন্ডিস ধরা পরার সাথে সাথেই অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ ট্রিটমেন্ট নিন।

সূত্র: স্বাস্থ্যতথ্য

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate