অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশে বিপদাশঙ্কা

মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশে বিপদাশঙ্কা

শক্তি ও জ্বালানি উত্পাদন, ইলেকট্রোপ্লেটিং, বর্জ্য জল পরিশোধন এবং খনি ও কৃষিকাজের দরুন পরিবেশে ভারী ধাতু ছড়ায়। এটা অন্যতম মস্ত পরিবেশ সমস্যা। নগণ্য পরিমাণে পাওয়া যায় এমন বহু সংখ্যক মৌলকে ভারী ধাতু বলা হয়। শিল্প ও জীবন প্র্রক্রিয়ার পক্ষে এ সব মৌল খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এ সব ধাতু স্বাভাবিক ভাবে মাটিতে মিশে থাকে। কিন্তু মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের ফলে পরিবেশে এদের উপস্থিতি যাচ্ছে বেড়ে। সিসে, দস্তা, ক্রোমিয়াম, তামা, ক্যাডমিয়াম, পারদের মতো ভারী ধাতু ছড়িয়ে পড়ছে। দেশ বিশেষে নয়, এ সমস্যা বিশ্ব জুড়ে।

বৈদ্যুতিন বর্জ্যে ভারী ধাতুর মাত্রা বিপজ্জনক। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে এ সব ধাতু ক্ষতিকর। অরক্ষিত অবস্থায় ক্যাডমিয়ামের ছোঁয়াছুঁয়ি লাগলে টিএসএইচ ও এফটি ফোর লেভেলে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সিসে, পারদ, ক্যাডমিয়াম থেকে জীবজন্তুর শরীরে ট্রান্সথাইরিটিন লেভেলে বিঘ্ন ঘটার সমূহ আশঙ্কা। বৈদ্যুতিন বর্জ্য থেকে ছড়ানো দূষণ মানুষের দেহে বিষক্রিয়াজনিত (টক্সিক) প্রভাব ফেলে। ডিএনএ-র পক্ষেও তা ক্ষতিকর (জেনোটস্কিক) হতে পারে। শুধুমাত্র শ্রমিক নয়, আশপাশের বাসিন্দা এবং ভাবী প্রজন্মের পক্ষেও তা বিপজ্জনক (লিউ ও অন্যরা, ২০০৯)। জন্মগত খুঁত, শিশুমৃত্যু, যক্ষ্মা, রক্তের আধিব্যাধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হানি, কিডনি ও শ্বাস ব্যবস্থার স্বাভাবিক কাজে অসামর্থ্য ও ফুসফুস ক্যান্সার বাড়ে। শিশুদের মগজ ঠিকমতো গঠিত হয় না এবং ক্ষতি হয় স্নায়ু ও রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার (প্রকাশ ও ম্যানহারট, ২০১০)।

মানাগুয়ায় সমীক্ষা

নিকারাগুয়ার মানাগুয়াতে পুরসভার ভাগাড়ে জঞ্জাল হাঁটকানো ১১–১৫ বছর বয়সি ৬৪টি ছেলেমেয়ের সিরামে পলিব্রোমিনেটেড ডাইইথাইল ইথারের মাত্রা নিয়ে এক সমীক্ষা চালানো হয়। এখানে ঘরগেরস্থালি ও শিল্পের বর্জ্য ফেলা হত। ছেলেমেয়েগুলির সিরামে ওই মাত্রা ছিল অত্যাধিক। এত বেশি এর আগে কখনও কোথাও দেখা যায়নি। এত দিন মনে করা হত দূষিত খাবার এর কারণ। সমীক্ষা এ ধারণা নস্যাৎ করে দিয়ে বলেছে অত্যাধিক ধুলোর কণা বাচ্চাদের দেহে ঢোকায় এই বিপত্তি। এ সব ছেলমেয়ের দেহে ভারী ধাতুর পরিমাণও বেশি। ভাগাড়ের আশপাশে বাস ও জঞ্জাল থেকে জিনিস কুড়িয়ে বিক্রি করা বাচ্চাদের রক্তে দেখা গেছে অন্য ছেলেমেয়েদের তুলনায় সিসে বেশি। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুমোদিত লিটার প্রতি ১০০ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি। এ সব শিশুর রক্তে পারদ এবং ক্যাডমিয়ামও বেশি অন্য বাচ্চাদের তুলনায়, তবে তা বিপজ্জনক মাত্রার চেয়ে নিচুতে।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate