ভালো এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রবীণদের স্বাস্থ্যরক্ষায় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেয়। হৃদরোগ, রক্তনালীর রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত কোলস্টেরল, স্ট্রোক, স্মৃতি হ্রাস, অস্টিওপরোসিস, কিছু ক্যান্সার, চামড়া, চুল ও নখের রোগ এবং দৃষ্টি শক্তির সমস্যা হল কয়েকটি উদাহরণ যেগুলি খাদ্য দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। সঠিক পুষ্টির জন্য ফল, সবজি, দানা শস্য এবং ফাইবারযুক্ত সুষম আহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সম্পৃক্ত চর্বি (প্রাণী চর্বি) জাতীয় খাদ্য বাতিল এবং তার বদলে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাদ্য ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল জাতীয় পানীয় গ্রহণ সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যভাসে কিছুটা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন যাদের হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের যথাক্রমে নুন এবং জল জাতীয় খাদ্যগ্রহণে নিয়ন্ত্রণ আনতে বলা হয়। আবার যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
বয়স্ক মানুষদের মধ্যে ক্যান্সার স্ক্রিনিং-এর ব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। যেমন কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সের জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন রয়েছে। তবে বয়স অনুযায়ী ক্যান্সার স্ক্রিনিং-এর চেয়ে, ব্যক্তি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট কাঠামো মেনে স্বতন্ত্র ভাবে স্ক্রিনিং করা অনেক বেশি জরুরি। অন্য চিকিৎসাগত সিদ্ধান্তের মতো ক্যান্সার স্ক্রিনিং সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে --- যেমন, ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি, স্ক্রিনিং-এর বিরূপ ও হিতকর ফলের সম্ভাব্যতা, এর পাশাপাশি রোগীর মূল্যবোধ এবং পছন্দের মতো কিছু গুণগত কারণ।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019