১৯৮৭ সালে ভারত সরকার মানসিক রোগীদের জন্য বহু কালের প্রচলিত ‘ইন্ডিয়ান লুনাসি অ্যাক্ট’ (ILA-1912)-এর বদল করে পরিবর্তে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’ (MHA-1987) চালু করলেন। MHA চালু হওয়ার আগে মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে ILA-1912 সময়োপযোগী নয়। মনোরোগ সম্বন্ধে ধ্যানধারণার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ILA পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করা হয়েছে। ১৯৬০ সালে আগ্রাতে ভারতের মানসিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টদের প্রথম কর্মশালায় ‘মেন্টাল হেলথ বিল’-এর পরিমার্জিত খসড়া আলোচনা করে প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীকালে পরিবর্তিত বিলের খসড়া নিয়ে আরও অনেক সংযোজন ও আলোচনা হবার পর ১৯৮৮ সালে এটিকে লোকসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এই ভাবে ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’ ১৯৮৭ সারা ভারতে বলবৎ হয়।
‘মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট’ বিচার করলে বোঝা যায় এটি তৈরি করার সময় কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে লক্ষ রাখা হয়েছে।
১) যে সব মানসিক রোগী নিজেদের বিচারবুদ্ধিতে স্বেচ্ছায় চিকিৎসা করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছেন না তাঁদের মানসিক হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে প্রয়োজন অনুযায়ী ভর্তি করার বিষয়টি দেখাশোনা করা এবং ভর্তি থাকাকালীন তাঁদের অধিকার রক্ষা করা।
২) বিপজ্জনক মনোরোগীদের থেকে সাধারণ ব্যক্তিদের রক্ষা করা।
৩) যথেষ্ট কারণ ছাড়া যে সব রোগী আটক আছে তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা।
৪) যে রোগী নিজেকে দেখাশোনা করতে পারে না তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব উপযুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
৫) কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দায়িত্বে পৃথক পৃথক মানসিক স্বাস্থ্য কর্তৃত্ব গঠন করা।
৬) মানসিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে এদের প্রতি দিনের কাজকর্মের ওপর এবং এদের সামগ্রিক ভাবে পরিচালনার জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার প্রক্রিয়া চালু করা।
৭) সরকারি খরচায় মনোরোগীদের আইনগত সাহায্য প্রদান করা।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/26/2019