গর্ভাবস্থায় যত্নের উদ্দেশ্য হল সঠিক সময়ে পরিণত ও সুস্থ শিশুর জন্ম নিশ্চিত করা। জন্মপূর্ব যত্নের কেন্দ্রবিন্দু শুধুমাত্র মায়েদের স্বাস্থ্য উন্নীত করা নয়, মায়েদের মধ্যে প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা প্রতিরোধ করা। পাশাপাশি কম ওজনের শিশুর জন্ম, ভ্রূণের রোগ, নবজাতকের শ্বাসকষ্ট, জন্মগত ব্যতিক্রমসমূহ প্রতিরোধ করাও এর লক্ষ্য। তাই ভ্রূণের জন্মপূর্ব চিকিৎসা শিশুস্বাস্থ্য চিকিৎসার মধ্যেই পড়ছে।
চিকিৎসা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতির ফলে অ্যামনিওসেনটেসিস, কোরিওন বায়োপসি, আল্ট্রা-সোনোগ্রাফি, ফিটাস্কপি ইত্যাদির মাধ্যমে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে এবং সময়মতো চিকিৎসা করা যাচ্ছে।
জন্মপূর্ব সঠিক এবং পর্যাপ্ত যত্ন ও পুষ্টির দ্বারা কম জন্ম-ওজন এবং অনেক অস্বাভাবিকতা প্রতিরোধ করা যায়। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে নিশ্চিত করা যায়। গর্ভাধারণের আগে পরিবার পরিকল্পনা-সহ সঠিক ও পর্যাপ্ত যত্ন কাজে আসে।
শিশুর জন্ম থেকে পরবর্তী ২৮ দিন পর্যন্ত নবজাতকের যত্নের পর্যায়ে পড়ছে। এই যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই যত্ন যথাযথ নেওয়া হলে প্রসব-পরবর্তী বাঁ নবজাতকের মৃত্যুর হার কমানো যায়। ধাত্রী চিকিৎসক, শিশুরোগের চিকিৎসক এবং নার্সি কর্মী নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল নবজাতকের যত্ন নিয়ে থাকে। জন্মের পর প্রথম সপ্তাহ এবং বিশেষ করে প্রথম আটচল্লিশ ঘণ্টা নজর রাখা এবং যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় কোনও অবহেলা হলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে যেতে পারে। এই সময়ে সঠিক যত্ন শিশু মৃত্যুর হার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে। তাদের জীবনের প্রথম সপ্তাহে সঠিক দেখভাল শিশুর মৃত্যুর হারকে অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে আনতে পারে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020