প্রায় সব মহিলারই মাসের বেশির ভাগ সময় যোনি থেকে কিছু পরিমাণ স্রাব নিঃসরণ হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর লক্ষণ। এই স্রাবের পরিমাণ, ঘনত্ব ও রঙ সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। কখনও এটি আঠালো ও সাদা হতে পারে, অন্যান্য সময় পিছল ও স্বচ্ছ হতে পারে। ঋতুচক্রের বিভিন্ন ধাপে এই স্রাবের প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়। মাসিকের পর পরই এই স্রাব সাধারণত অল্প, অপেক্ষাকৃত শুকনো, মোটা স্তরের ও সাদাটে হয়। গর্ভাশয়ে ডিম্বাণু পুরো তৈরি হয়ে গেলে শরীরের হরমোন ইস্ট্রোজেন এই স্রাবকে স্বচ্ছ, চটচটে ও পিছল করে। ডিম্বস্ফোটনের সময় ও পরবর্তী দিনে এই পিছল ও চটচটে ভাব সবচেয়ে বেশি থাকে। সেই কারণে এ রকম স্রাব নির্গমনের দিনগুলোয় কোনও মহিলা সবচেয়ে বেশি প্রজননক্ষম থাকেন। আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে স্রাবের তারতম্য অনুযায়ী মহিলারা প্রজননক্ষম ও প্রজনন-অক্ষম দিনগুলির হিসাব করতে পারেন।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/17/2020