রিদম বা ক্যালেন্ডার পদ্ধতি

এই পদ্ধতি অনুযায়ী এক জন মহিলার মাসিক ঋতুচক্র শুরুর অষ্টম দিন থেকে কুড়িতম দিন পর্যন্ত তাঁর প্রজনন ক্ষমতা সব চেয়ে বেশি থাকে। অতএব ওই ১২ দিন যৌনসংসর্গ এড়িয়ে চললে গর্ভাধানের ভয় থাকে না। ঋতুস্রাবের প্রথম দিনটিকে মাসিক ঋতুচক্রের প্রথম দিন হিসাবে ধরা হয়। সেই হিসাবে মাসিক ঋতুচক্রের প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন এবং একুশতম দিন থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত নিরাপদ সময়কাল হিসাবে ধরা হয়। অর্থাৎ মাসিক ঋতুচক্র ২৮ দিনের ধরলে ওই সময়কালের প্রথম সপ্তাহ ও শেষ সপ্তাহ নিরাপদ। কিন্তু এই পদ্ধতির উপর পুরোপুরি নির্ভর করা যায় ন। কেননা, অনিয়মিত ঋতুচক্রের হিসাব এখানে ধরা হয় না। রিদম পদ্ধতিতে ধরে নেওয়া হয় যে প্রত্যেক মহিলার ঋতুচক্রই ২৮ দিনের এবং মাসের মাঝামাঝি ডিম্বস্ফোটন শুরু হয়। কিন্তু প্রত্যেক মহিলার ঋতুচক্রের সময়সীমা বিভিন্ন এবং ডিম্বস্ফোটনও বিভিন্ন সময়ে শুরু হতে পারে। তবে একেবারে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার না করার চেয়ে এটি কিছুটা ভালো।