ভ্যাসেকটমি/পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকরণ

ভ্যাসেকটমি হল অস্ত্রোপচারের সাহায্যে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকরণ প্রক্রিয়া। এটির সাহায্যে শুক্রনালীকে আটকে দেওয়া হয়, যাতে শুক্রাণু পুরুষাঙ্গে পৌঁছতে না পারে। কিন্ত্ত তার জন্য বীর্যস্খলন বা যৌনসঙ্গমে কোনও ভাবেই প্রভাব পড়ে না। যথেষ্ট ও সংবেদনশীল পরামর্শ ‘পুরুষত্ব’ ও স্বাভাবিক যৌনসঙ্গমের সক্ষমতা সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে সাহায্য করে।

‘বিনা-ছুরির’ এই অস্ত্রোপচারে দু’টি ছোট ছিদ্র করে শুক্রনালীকে বাইরে এনে, কেটে, দু’টি মুখ বেঁধে বা ক্লিপ করে দেওয়া হয়। এটির জন্য স্থানিক অ্যানাস্থেসিয়াই যথেষ্ট।

ভ্যাসেকটমি একটি সহজ ও ছোট অপারেশন। কিন্তু অপারেশনের পর অন্তত ৪৮ ঘন্টা বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন ও এক সপ্তাহ কোনও ভারী জিনিস তোলা উচিত নয়। যতক্ষণ না শরীরের সমস্ত অস্বস্তি ও অসুবিধা দূর হচ্ছে ততক্ষণ যৌনসঙ্গম করা উচিত নয়। পুরোপুরি ঠিক হতে এমনিতেই এক সপ্তাহ লাগবে। অস্ত্রোপচারের পর দু’-তিন মাস পর্যন্ত কোনও একটি বিকল্প জন্মনিরোধক পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত, কেননা শুক্রথলিতে শুক্রাণু অন্তত তিন মাস বেঁচে থাকতে পারে। যদি অস্ত্রোপচারের পর খুব বেশি জ্বর, অত্যধিক বা ক্রমাগত রক্তক্ষরণ, ফোলা বা ব্যথা হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকরণ অনেক বেশি সহজ ও সুরক্ষিত, কেননা তাঁদের জননাঙ্গ থাকে বাইরে, মহিলাদের মতো ভেতরে নয়। সে জন্য ভ্যাসেকটমির ক্ষেত্রে শরীরের ভেতর কোনও জটিলতার সম্ভাবনা থাকে না। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভ্যাসেকটমি হয়েছে এমন পুরুষদের প্রস্টেটের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত বেশি। এ ছাড়া এই পদ্ধতিতে অন্য কোনও দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার ঝুঁকি জড়িয়ে নেই।