যখন মা কোনও শারীরিক বা মানসিক অসুখে ভুগছেন অথবা তাঁর গর্ভধারণের ফলে তাঁর জীবনহানি হতে পারে বা তাঁর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে।
যখন গর্ভাবস্থায় ভাইরাস সংক্রমণ, ওষুধ খাওযা, এক্স-রে ও অন্যান্য রশ্মির সংস্পর্শে আসা, রক্তে কোনও দোষ, পাগলামি প্রভৃতির ফলে বাচ্চার গুরুতর শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মানোর আশঙ্কা থাকে।
ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হলে।
পরিবার পরিকল্পনার উপায়গুলি ব্যবহার না করার ফলে গর্ভধারণ। এই ধারা মহিলাদের অনুরোধে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দেয়।
যদি এই অবস্থা এমন হয় যে মায়ের শারীরিক ক্ষতি হবে। তবে অনুরোধ মাফিক গর্ভপাতের বহু সুযোগ রয়েছে এই আইনে।
গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী কেবলমাত্র ধাত্রীবিদ্যায় পারদর্শী অনুমোদিত নথিভুক্ত চিকিৎসকরাই গর্ভপাত করাতে পারবেন। যদি গর্ভধারণের সময়কাল ১২ সপ্তাহের কম হয়, তবে এক জন চিকিৎসক অন্য কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই গর্ভপাত করাতে পারেন। কিন্তু যদি এই সময় ১২ সপ্তাহের বেশি হয়, তবে দু’জন চিকিৎসক পরামর্শ করে গর্ভপাতের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। যে কোনও একজন চিকিৎসক গর্ভপাত করাতে পারেন। যদি অবস্থা খুব জরুরি হয়, তা হলে গর্ভাবস্থার সময় ২০ সপ্তাহ বা তার বেশি হলেও, এক জন চিকিৎসক দ্বিতীয় কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই গর্ভপাত করাতে পারবেন, এমনকী কোনও অস্বীকৃত স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালেও। গর্ভপাত করানোর আগে মহিলার লিখিত সম্মতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি মহিলা নাবালিকা হন বা শোকার্ত অবস্থায় থাকেন অথবা অপ্রকৃতিস্থ হন, তবে অভিভাবকের লিখিত সম্মতি নেওয়া আবশ্যিক। এমটিপি অ্যাক্ট ১৯৭১ অনুসারে গর্ভপাত একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই পরিষেবা প্রদানকারীকে চরম গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে, রোগিণীর পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
সমস্ত সতর্কতা ও যথাযথ যত্ন নেওয়ার পরেও যদি গর্ভপাতের ফলে কোনও রকম সমস্যার কারণ বা সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু যদি শর্তগুলি মানা না হয়, তবে সে রকম ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অপরাধ শাস্তিযোগ্য, সঙ্গে ১০০০ টাকা জরিমানাও হতে পারে।
চিকিৎসাগত ও প্রজননগত কারণে গর্ভপাত মা ও শিশু উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলজনক। কিন্তু এটিকে অবাঞ্ছিত সন্তান বা মেয়ে সন্তানের জন্ম প্রতিরোধের উপায় হিসাবে ব্যবহার করা অনৈতিক ও অসামাজিক। এই বিষয়টিকে কখনওই উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। বার বার গর্ভপাত মায়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এবং এতে অসুস্থতা বা মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। মহিলাদের এগুলির ব্যাপারে বুঝিয়ে বলা ও জন্মনিরোধের অন্য পদ্ধতিগুলি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত।
এমটিপি আইনটি ১৯৭৫ সালে সংশোধিত হয়। নিম্নলিখিত সংশোধনগুলি করা হয় :
যে চিকিৎসক গর্ভপাত করাবেন তাঁর প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিনা সে ব্যাপারে সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলার মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিককে। আগে এই ক্ষমতা ছিল এটি সার্টিফিকেশন বোর্ডের।
গর্ভপাত করানোর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা;
এর মূল কারণগুলি হল:
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/3/2020