গর্ভধারণের পর গর্ভবতী মহিলার প্রাথমিক পর্যায়ে রক্তচাপ যদি স্বাভাবিক থাকে কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার ২০ সপ্তাহ পর প্রসূতি যদি হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়, সঙ্গে প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হয় এবং রক্তে অ্যালবুমিন কমে আসে, তা হলে এই অবস্থাকে প্রি-অ্যাকলাম্পশিয়া বলা হয়। মনে রাখতে হবে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করলে রক্তচাপ দ্রুত বেড়ে গিয়ে মা ও সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিডনি বিকল হতে পারে। প্রি-অ্যাকলাম্পশিয়ার সাথে যদি খিঁচুনি দেখা যায়, তবে তাকে অ্যাকলাম্পশিয়া বলে। এটি গর্ভবতী মায়ের পক্ষে একটা জরুরি অবস্থা। এমন অবস্থা তৈরি হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শুধু স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ নয়, সঙ্গে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও পরামর্শমতো চিকিৎসা করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে মায়ের জীবন রক্ষার্থে গর্ভপাত ঘটাতে হবে, নয়তো সময়ের পূর্বেই বাচ্চা ডেলিভারি করাতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। এ যাত্রায় সুস্থ হয়ে গেলেও ভবিষ্যতে এদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবে অ্যালবুমিন যেতে থাকতে পারে, ফলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রি-অ্যাকলাম্পশিয়া ও অ্যাকলাম্পশিয়ার রোগীদের সব সময় কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা উচিত।
আগে থেকে কিডনির সমস্যা থাকলে গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।
যাঁদের বিভিন্ন ধরনের নেফ্রাইটিস আছে বা যাঁরা ধীর গতিতে কিডনি রোগে ভুগছেন, তাঁদের গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মায়েদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে যে যে সমস্যা হতে পারে তা হল :
কাজেই কারও যদি আগে থেকে কিডনির সমস্যা থাকে তবে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক গর্ভধারণ করা যেতে পারে। কারও যদি বাতজাতীয় কিডনি রোগ থাকে তবে চিকিৎসা করে কমপক্ষে ৬ মাস রোগটি যদি নিষ্ক্রিয় থাকলে তবেই কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভধারণ করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থেকেই যায়।
তথ্যসূত্র: স্বাস্থ্য বাংলা ডট কম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/9/2020