বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্টে, কোলনে, ফুসফুসে, এন্ডোমেট্রিয়াল, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। উন্নয়নশীল দেশে মহিলাদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সারভাইকাল ক্যান্সারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে এবং ঠিকমতো পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে মেনপজ-পরবর্তী জীবনে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়। ২০১২ সালে গোটা বিশ্বে মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭০ লক্ষ। ২০৩৫-এ সংখ্যাটি ২৪ কোটিতে পৌঁছে যাবে। ব্রেস্ট ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি দেখা যায়। ২০১২ সালে এক বছরে নতুন করে ১ কোটি ৬৭ লক্ষ মহিলা গোটা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পরই রয়েছে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার (৬১ লক্ষ ৪০ হাজর), ফুসফুস(৫৮ লক্ষ ৩০ হাজার), সারভিক্স (৫২ লক্ষ ৮০ হাজার), পেট (৩লক্ষ ২০ হাজার), এন্ডোমেট্রিয়াম(৩ লক্ষ ২০ হাজার) এবং ডিম্বাশয় (২লক্ষ ৩৯ হাজার)।
ধূমপান বন্ধ করা এবং মদ্যপানের পরিমাণ কমানোর মধ্য দিয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমানো যায়। খাদ্যতালিকায় স্নেহজাত দ্রব্য কমিয়ে ফাইবারজাতীয় খাদ্য বাড়ালে, রেড মিট খাওয়া কমালে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় শারীরিক ব্যায়ামের ভূমিকাও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এই বিষয়টি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গাইডলাইনে বিশেষ ভাবে উল্লিখিত হয়েছে। এমএইচটি করালে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। যদিও আগের কিছু পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, এমএইচটি করানোর সঙ্গে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার কমার সম্পর্ক রয়েছে। এমএইচটি করানোর সঙ্গে কোলন ক্যান্সার কমার সম্ভাবনার জোরালো সাক্ষ্য পাওয়া গিয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/12/2019
মধ্যবয়সের মহিলারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে প্রমাণ ক...