অস্টিওপোরোসিস বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত রোগ হিসাবে দেখা দেয়। এর ফলে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে। আশি বছর বয়সে পৌঁছনোর আগে অন্তত ৭০ শতাংশ মহিলাদের কোমর, লাম্বার স্পাইন বা কবজিতে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্য বিষয়গুলি, যেমন বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআইকে কম রাখা, মদ্যপান ও ধূমপান বর্জন করলে হাড়ের ঘনত্ব ও জোর বজায় রাখা এবং হাড় ভাঙার সম্ভাবনা কমানোর সহায়ক হয়।
ডায়েট এবং জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই হল মেনপজ-পরবর্তী জীবনে হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখার প্রধান উপায়। ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান হাড়ের পক্ষে বিষবৎ। এগুলি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। প্রতি দিন হাল্কা ব্যায়াম করলে হাড়ের জোর বজায় রাখে। সুষম আহার হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রধান উপায়। এর লক্ষ্য থাকে প্রতি দিন ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ১২০০ মিলিগ্রাম বৃদ্ধি করা। ভিটামিন-ডি ও এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ক্যালসিয়াম শরীরে গ্রহণ করানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন-ডির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেরও কিছু পরিবর্তন হয়, সূর্যের আলোয় বের হওয়ার পরিমাণও কমে। বহু বছর ধরে আমরা জানি যে মেনপজ-পরবর্তী জীবনে এমএইচটি করালে মেনপজ সংশ্লিষ্ট কারণে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা যায়।
মেনপজ-পরবর্তী রোগের মধ্যে অস্টিওআর্থারাইটিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালের মধ্যে আমেরিকায় প্রায় ৬ কোটি মানুষ কেবলমাত্র হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিসে আক্রান্ত হবেন। অর্থাৎ প্রতি লক্ষ জন পিছু ২৪০ জন ব্যক্তি এই রোগের শিকার হবেন। মেনপজ-পূর্ববর্তী বয়সকালে মেয়েদের থেকে ছেলেদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি হয়। কিন্তু মেনপজ-পরবর্তী বয়সকালে মেয়েদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। যে সব মহিলার অস্টিওআর্থারাইটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে বা যারা মেনপজ শুরুর সময় গাঁটে আড়ষ্টতা, চলাফেরায় অসুবিধা অনুভব করছেন তাঁদের আলাদা করে ফিজিক্যাল থেরাপি, ওজন কমানো, শারীরিক ব্যায়াম করা বা প্রদাহ প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কিছু তথ্য দেখাচ্ছে অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের ভূমিকা রয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/26/2019
মধ্যবয়সের মহিলারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে প্রমাণ ক...