ভবন, সড়কপথ, রেল, ট্রাম লাইন, বিমানবন্দর, সেচ নিকাশি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিজলী ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা, টেলিভিশন এবং টেলিফোন টাওয়ার নির্মাণ ও তার লাগানো, জলাশয়, জলাধার ও সুড়ঙ্গ বানানো, পাইপ লাইন, তেল ও গ্যাস সংস্থাপন ইত্যাদি কাজে নির্মাণ ও মেরামতি, রক্ষণাবেক্ষণ এমনকী ভাঙার কাজ করছেন তাঁরা নির্মাণ কর্মী হিসাবে গণ্য হবেন ও এই প্রকল্পে নথিভুক্ত হতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গ নির্মাণ কর্মী কল্যাণ পর্ষদের ২৭ নং ও ৩১ নং ফর্মে আবেদন করতে হবে।
নির্মাণ শ্রমিক নিজে নিকটবর্তী অফিসে (শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র/সহ, উপ শ্রম কমিশনারের অফিসে)এসে অথবা সংগ্রহকারী এজেন্টের মাধ্যমে আবেদনপত্র/টাকা জমা দেবেন।
দুর্ঘটনাজনিত চিকিৎসা ভাতা: ১,০০০টাকা থেকে ৫,০০০টাকা।
দুর্ঘটনাজনিত অসমর্থতায়: ২৫,০০০টাকা
কঠিন ব্যধির চিকিৎসায় অনুদান: নির্মাণ কর্মী/পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের জন্য প্রতি বছর চিকিৎসা খাতে ১০,০০০টাকা।
অস্ত্রোপচারের জন্য: ৩০,০০০টাকা।
যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে: ৩০০০টাকা।
মৃত নির্মাণ কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা: মৃত্যুতে ৩০,০০০টাকা ও কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ১,০০,০০০টাকা।
পেনশন: প্রতি মাসে ৫০০টাকা থেকে ৮৭০ টাকা পর্যন্ত পেনশনভোগীর মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী\স্বামীর জন্য ৫০শতাংশ হারে পেনশন।
অসমর্থ/অক্ষম ব্যক্তির জন্য পেনশন: মাসে ৫০০টাকা। পেনশনভোগীর মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী/স্বামীর জন্য মাসে ২৫০টাকা।
গৃহনির্মাণ ঋণ: ৫০,০০০টাকা পর্যন্ত ঋণ (যা ৫ শতাংশ হারে পরিশোধযোগ্য)।
শিক্ষার জন্য অনুদান: নির্মাণ কর্মী/তাঁর সন্তানদের জন্য ২,০০০টাকা থেকে ১৫,০০০টাকা পর্যন্ত।
মহিলা নির্মাণকর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তা: ৩,০০০টাকা হারে দু’বার।
দুর্ঘটনাজনিত গর্ভপাতের জন্য: ২,০০০টাকা হারে দু’বার অর্থ সাহায্য।
চশমা ক্রয়ের জন্য আর্থিক অনুদান: ৫০০টাকা এককালীন।
অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জন্য আর্থিক অনুদান: ৩,০০০টাকা এককালীন।
যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা: ১,০০০টাকা এককালীন।
বিবাহ বাবদ আর্থিক সাহায্য: ৫,০০০টাকা হারে সর্বাধিক দু’বার।
সাইকেল বাবদ অর্থ সাহায্যঃ ৩,০০০টাকা।
জমা টাকা ফেরত: নির্মাণ কর্মীর ৬০ বছর পূর্ণ হলে/প্রকল্পে থাকতে অনিচ্ছুক হলে/মৃত্যুতে মোট জমা টাকা, অতিরিক্ত ৮শতাংশ টাকা সহ ফেরত।
প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেতে গেলে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র যথাযথ পূরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,পরিচয়পত্র ও পাসবইয়ের প্রত্যায়িত নকল সহ সংশ্লিষ্ট সহ/উপ শ্রম কমিশনারের অফিসে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আবেদনপত্র মঞ্জুর হলে তার টাকা উক্ত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/6/2020