পরিকল্পটি রুপায়নের দায়িত্বেঃ সোসাইটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অব আনএমপ্লয়েড ইয়ুথ, ওয়েস্ট বেঙ্গল (এস এস ই ইউ ওয়াই)
সারা রাজ্যে অনগ্রসর শ্রেনি, সংখ্যালঘু, মহিলা সহ সকল বেকার যুবক যুবতিদের
স্ব-নিযুক্তির সুযোগ তৈরি করার উদ্দেশ্যে স্বামী বিবেকানন্দ স্ব- নির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প (এস ভি এস কে পি) একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্প ৷ এই পরিকল্পের অন্তর্ভুক্ত কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে বেকার যুবক যুবতিরা ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে স্ব-নিযুক্তির ব্যবস্থা করতে পারেন।
ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১.৫লক্ষ টাকা ও ৫জন বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তি সমন্বিত গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩.৫ লক্ষ টাকা বা প্রকল্প ব্যয়ের ৩০% সরকারি ভরতুকি হিসেবে পাওয়া যায় । এই ভরতুকি প্রদত্ত হয় কার্য সম্পাদনকারি রুপে সোসাইটি ফর সেলফ্ এমপ্লয়েড অব আন এমপ্লয়েড ইউথ, ওয়েস্ট বেঙ্গল এর মাধ্যমে।
ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটিকে বলা হয় ‘আত্মমর্যাদা' ও গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বলা হয় ‘আত্মসম্মান' । এই পরিকল্পটির মুখ্য উদ্দেশ্যই হল রাজ্য জুড়ে স্ব নিযুক্তির সুযোগ তৈরি করা । বেকার দের চিহ্নিত করে এবং যেখানে যেখানে সম্ভব সেখানে সেখানে প্রতিষাষ্ঠানিক আর্থিক সহায়তা লাভের প্রত্যাশায় তাদের প্রকল্পের অনুসারী প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগতিদের ভরতুকি প্রদান করা হয় ।
রাজ্য নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই পরিকল্পে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে । ভরতুকির পরিমান ২০% থেকে বৃদ্ধি করে ৩০% করা হয়েছে । লক্ষণীয় ভাবে ১৯.০৯.২০১২ থেকে ভারতবর্ষের যুব সমাজের আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দের নামানুসারে পরিকল্পটির নতুন নামকরণ হয়েছে " স্বামী বিবেকানন্দ স্ব নির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প " প্রশিক্ষনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । বিশেষত ঃ যে সমস্ত ব্যবসায় স্থানীয় ক্ষেত্রে কাঁচা মালের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞ্যানতার কারন এ তা ব্যবহৃত হয়নি অথচ ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের ওপর সুক্ষতর দ্রব্য উৎপাদনের যথেষ্ট সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে সেই সব ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ এর সুযোগ আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে ।
পরিকল্প রুপায়ণের দায়িত্বেঃ পশ্চিমবঙ্গ স্ব-রোজগার নিগম লিমিটেড (ডব্লু বি এস এস পি))।
স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীগুলির উপর ব্যাঙ্ক-ঋণের জন্য প্রদেয় সুদের বোঝা কমিয়ে যথাসম্ভব স্বস্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার ওয়েস্টবেঙ্গলে স্ব-নির্ভর সহায়ক প্রকল্প (ডব্লু বি এস এস পি)) শীর্ষক পরিকল্পটির সূচনা করেছে।এই পরিকল্প অনুসারে ০১।০৪।২০১৪ থেকে সরকার উপযুক্ত স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীগুলির ঋণের উপর বাণিজ্যিক,আঞ্চলিক,গ্রামীণ ও সমবায় ব্যাঙ্ক কতৃক ধার্য সুদের একটি অংশ সুদ-ভরতুকি হিসাবে প্রদান করে।উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে যে ব্যাঙ্ক যদি স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর ঋণের পরিমানের উপর বার্ষিক ১১% সুদ ধার্য করে।সেক্ষেএে সরকার ঋণের পরিমানের উপর বার্ষিক ৯% ভরতুকি প্রদান করবে এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ বার্ষিক ২% সুদ প্রদান করতে হবে।
ব্যবস্থাটিকে মসৄণতর করার উদ্দেশ্যে সরকার কতৄক এই সিদ্ধান্ত গৄহীত হয়েছে যে ব্যাঙ্কগুলি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ স্ব-রোজগার নিগম লিমিটেড-এর কাছে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভরতুকির দাবি পেশ করবে এবং পশ্চিমবঙ্গ স্ব-রোজগার নিগম লিমিটেড সেই দাবিসমুহ যাচাই করে উপযুক্ত স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আর টি জি এস / এন ই এফ টি-এর মাধ্যমে সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে ই-পেমেন্ট প্রদান করবে।
কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি,দক্ষতাবৄধি ও স্ব –রোজগার মাধ্যমে উৎপাদিত দ্রব্যের গুনগত মানের উন্নয়ণের লক্ষ্যে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী ও স্ব-রোজগার বিভাগ বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসার উপর নিম্নলিখিত সৎস্থা গুলির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকেঃ
নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছেঃ
স্ব রোজগার উদ্যগপতিদের উৎপাদিত দ্রব্যের যথাযথ বিপণনের সুযোগ তৈরি করতে ও তাদের সঙ্গে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে । এছাড়াও এর অন্যতম উদ্যেশ হল স্বামী বিবেকানন্দ স্ব রোজগার কর্মসংস্থান এর উদ্যোগপতিদের উৎপাদিত দ্রব্যের উপযোগিতা, গুনমান ও মূল সম্পর্কে প্রচার এবং সচেতনতা তৈরি।
বিভাগ রাজ্যস্তরে ও জেলাস্তরে সবলা মেলা আয়োজন করে থাকে ।
স্ব নির্ভর গোষ্ঠীগুলি শুধুমাত্র তাদের উৎপাদিত পন্য বিক্রয় এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যলাভ করেনি উপরন্তু ভবিষ্যতের সারা বছরই পন্য বিক্রয়ের লক্ষ্যে উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে তাদের মধ্যে অধিকাংশ পাইকারি বিক্রেতা ও বিপনণ জগতের ব্যক্তি বর্গের সঙ্গে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্যলাভ করেছে । স্বনির্ভর স্ব-নিযুক্তি গোষ্ঠীগুলি এবং তাদের উৎপাদিত বিশেষ দ্রব্য সহ সামাজিক দ্রব্য সমূহ সম্পর্কিত তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াও এই উদ্যোগের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ।
এই জেলা কে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রতি সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । আভ্যন্তরীণ / জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর ও উদ্দ্যোগপতিদের যথাযথভাবে প্রবেশের যোগ্য করে তোলাই বিভাগের অভিলক্ষ্য। সাধারণ মানুষ বা ব্যক্তিবর্গের প্রতিক্রিয়া ও মতামত বিশ্লেষণ করে একথা বলা যেতেই পারে যে এই মেলা সকল অর্থেই সফল ।
বেশ কয়েকটি নির্বাচিত স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী ও কয়েকজন ব্যক্তি উদ্যোগপতিদের নির্মিত/ উৎপাদিত দ্রব্য/ পন্য সমূহ আদৃত হয় এবং ভারতের বহুবিধ শহরে বসবাসকারী সমাজের বিভিন্ন অংশের ক্রেতা ও এমনকি বিদেশের বহু ক্রেতাও এই সব দ্রব্য সমূহ ক্রয় করেন।
ছাড়াও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সরকারি সংগঠন সমূহ আয়োজিত বিভিন্ন জেলায় বহুসংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠী অংশগ্রহন করে থাকে।
রাজ্যের ৫০ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থবিভাগ স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগের জন্য ৮৭.৫০ কোটি টাকার বাজেট সংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
২০১২-১৩ বর্ষে বিভাগ ‘মুক্তিধারা' নামে একটি দীর্ঘস্থায়ী জীবীকা প্রকল্প গ্রহন করেছে । স্বনির্ভর গোষ্ঠীভুক্ত সদস্যদের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও তাদের আর্থিক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে দীর্ঘস্থায়ী জীবীকা সৃষ্টি ও বহাল রাখার জন্য পুরুলিয়া ও পশ্চিমমেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পটি রূপায়িত হয় । নাবার্ড (NABARD) – এর সহায়তায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।
হাওড়া,হুগলি,উত্তর ২৪ পরগণা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা , নদিয়া , মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমান – এই আরো ৭ টি জেলায় রূপায়িত হতে চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গ কার্যপরিচালনার বিধি (ওয়েষ্ট বেঙ্গল রুলস অব বিজনেস) সংশোধনের দ্বারা ২০০৬-এর জুলাই মাসে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্ব-নিযুক্তি বিভাগ গঠিত হয় [প্রজ্ঞাপন নং ১৯৬ স্বরাষ্ট্র (সংবিধান)-আর-২-আর (সংবিধান)-১০/০৬ তাং ১২/০৭/২০০৬
কার্যালয়ের ঠিকানা : স্বনির্ভরগোষ্ঠী ও স্ব-নিযুক্ত বিভাগ
ইস্ট ইন্ডিয়া হাউস (দ্বিতল)
২০বি, আবদুল হামিদ স্ট্রীট
কলকাতা - ৭০০০৬৯
সুত্রঃ স্বনির্ভরগোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগ, পশ্চিমবাংলা সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020