১৯৬১ সাল থেকে ০-৬ বছর বয়স্ক ১০০০ জন বাচ্চার মধ্যে ছেলের তুলনায় মেয়ের অনুপাত (সিএসআর বা চাইল্ড সেক্স রেশিও) কমছে। কিন্তু এ ব্যাপারে তেমন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯১-এ ১০০০ জন পুত্রসন্তান পিছু কন্যাসন্তান ছিল ৯৪৫। আর ২০০১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৯২৭-এ। দশ বছর পরে ২০১১ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৯১৮-য়। সিএসআরের নিম্নগামিতা থেকে বোঝা যায় মেয়েদের ক্ষমতায়নের বিষয়টিও পিছিয়ে পড়ছে। ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ণয় করার মধ্য দিয়ে জন্মের আগে বৈষম্য এবং জন্মের পরে মেয়েদের প্রতি বৈষম্যই প্রতিফলিত হচ্ছে সিএসআরে। এক দিকে সামাজিক ভাবে বাচ্চা মেয়েদের প্রতি বৈষম্য অন্য দিকে ডায়াগোনিস্টিক পদ্ধতির অপব্যবহার করে জন্মের আগে লিঙ্গ চিহ্নিত করে কন্যাসন্তানকে মেরে ফেলা বা তাঁকে জন্ম নিতে না দেওয়ায় সিএসআর ক্রমশ কমে।
এটাকে রুখতে গেলে সম্মিলিত এবং সুসংহত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ক্রমশ নীচের দিকে নামতে থাকা সিএসআরের দিকে তাকিয়ে ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে সরকার বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের (বিবিবিপি) কথা ঘোষণা করে। দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১০০টি জেলা বেছে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করার মাধ্যমে এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্প ভারত সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এক সঙ্গে রূপায়ণ করছে।
এই প্রকল্পের সার্বিক লক্ষ্য হল কন্যাসন্তানের জন্ম উদযাপন করা এবং তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
২০১১ সালের সেনসাস রিপোর্ট অনুযায়ী সিএসআরের হিসাবে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে থেকে ১০০টি জেলা বেছে নিয়ে এই প্রকল্প চালানো হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্য থেকে অন্তত একটি জেলাকে প্রকল্প রূপায়ণের জন্য বাছা হয়েছে। এই বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছ সেগুলি হল-
নিকোবরস (আন্দামান ও নিকোবর), ওয়াইএসআর (অন্ধ্রপ্রদেশ), দিবাং ভ্যালি (অরুণাচল), কামরূপ মেট্রোপলিটন (অসম), বৈশালী (বিহার), চণ্ডীগড় (চণ্ডীগড়), রায়গড় (ছত্তিসগড়), দাদরা ও নগর হাভেলি (দাদরা ও নগর হাভেলি), দমন (দমন ও দিউ), নর্থ গোয়া (গোয়া), সুরাত, মহেসনা, আমদাবাদ, গান্ধীনগর ও রাজকোট (গুজরাত), মহেন্দ্রগড়, ঝঝর, রেওয়ারি, সোনিপত, আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, রোহতক, করনাল, যমুনানগর, কইথল, ভিওয়ানি ও পানিপথ (হরিয়ানা), উনা (হিমাচল প্রদেশ), জম্মু, পুলওয়ামা, কাঠুয়া, বদগাম ও অনন্তনাগ (জম্মু ও কাশ্মীর), ধানবাদ (ঝাড়খণ্ড), বিজাপুর (কর্ণাটক), ত্রিসুর (কেরল), লাক্ষাদ্বীপ (লাক্ষাদ্বীপ), মোরেনা, গ্বালিয়র, ভিন্দ ও দাতিয়া (মধ্যপ্রদেশ), বিড়, জলগাঁও, আহমদনগর, বুলদানা, আউরঙ্গাবাদ, ওয়াশিম, কোলাপুর, ওসমানাবাদ, সাংলি ও জালনা (মহারাষ্ট্র), সেনাপতি (মণিপুর), রিভয় (মেঘালয়), সইহা (মিজোরাম), লংলেং (নাগাল্যান্ড), সাউথ ওয়েস্ট, নর্থ ওয়েস্ট, ইস্ট, ওয়েস্ট ও নর্থ (দিল্লি এনসিটি), নয়াগড় (ওড়িশা), ইয়ানাম (পুদুচেরি), তরনতারন, গুরদাসপুর, অমৃতসর, মুক্তসর, মানসা, পাটিয়ালা, সাংরুর, সাহিবজাদা অজিত সিং নগর, ফতেগড় সাহিব, বারনালা ও ফিরোজপুর (পঞ্জাব), ঝুনঝুনুন, শিকার, করৌলি, গঙ্গানগর, ধৌলপুর, জয়পুর, দৌসা, আলোয়ার, ভরতপুর ও সোয়াই মাধোপুর (রাজস্থান), নর্থ ডিসট্রিক্ট (সিকিম), কুডডালোর (তামিলনাড়ু), হায়দরাবাদ (তেলঙ্গানা), সাউথ ত্রিপুরা (ত্রিপুরা), বাগপত, গৌতম বুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, মেরঠ, বুলন্দশহর, আগ্রা, মুজফফরনগর, মহামায়া নগর, ঝাঁসি ও মথুরা (উত্তরপ্রদেশ), পিথোরাগড় ও চম্পাবত (উত্তরাখণ্ড) এবং কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ)।
কন্যাসন্তানদের পড়াশোনার অধিকার সুনিশ্চিত করা ও তাদের জন্ম উদযাপন করার ব্যাপারে দেশজুড়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে দিন থেকে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সে দিন থেকেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রচারের লক্ষ্য হল কন্যাশিশুদের জন্ম, প্রতিপালন ও বৈষম্যবিহীন শিক্ষা সুনিশ্চিত যাতে তারা সমান অধিকার-সহ সশক্ত নাগরিক হয়ে উঠতে পাড়ে। এই প্রকল্পের দ্রুত ফল পাওয়ার লক্ষ্যে সশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একত্র করে এই অভিযান চিহ্নিত ১০০টি জেলায় গোষ্ঠী স্তরের কার্যক্রমের সঙ্গে জাতীয়, রাজ্য ও জেলা স্তরের কার্যক্রমের সংযোগ সাধন করবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করে বহু ক্ষেত্রবিশিষ্ট কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিমাপযোগ্য ফলাফল ও সূচক সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্র, রাজ্য ও জেলাগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে যাতে সুসংহত বহু ক্ষেত্রবিশিষ্ট কার্যক্রম দ্রুত গ্রহণ করা যায়। এর উদ্দেশ্য হল সিএসআর-এর উন্নতি ঘটানো। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তাদের টাস্ক ফোর্স মারফৎ বহু ক্ষেত্রবিশিষ্ট কার্যক্রমের একটি নমনীয় কাঠামো গ্রহণ করবে যাতে রাজ্য/জেলা স্তরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে রাজ্য/জেলা স্তরে কার্যক্রম তৈরি, রূপায়ণ ও দেখভাল করা যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এই প্রকল্পের বাজেট নিয়ন্ত্রণ করবে এবং তা কেন্দ্রীয় স্তরে পরিচালিত করবে। রাজ্য স্তরে নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরের সচিব এই প্রকল্প কার্যকর করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাঠামো নিম্নরূপ :
নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরের সচিবের নেতৃত্বে জাতীয় স্তরে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, মানব সম্পদ উন্নয়ন দফতর, জাতীয় লিগাল সার্ভিস অথরিটি, প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত দফতর, তথ্য ও সম্প্রচার দফতর, লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এই টাস্ক ফোর্স প্রকল্প কার্যকর করার ব্যাপারে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবে, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে, রাজ্যের পরিকল্পনা খতিয়ে দেখবে এবং প্রকল্প ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কিনা তার দিকে লক্ষ্য রাখবে।
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প কার্যকর করার জন্য রাজ্য একটি রাজ্য স্তরের টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গঠন করবে যাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শিক্ষা, পঞ্চায়েতি রাজ, গ্রামোন্নয়ন দফতর, প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত দফতর ও রাজ্য স্তরের পরিষেবা প্রদান সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে সেই জন্য এই টাস্ক ফোর্সের সভাপতিত্ব করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টাস্ক ফোর্সের মাথায় থাকবেন প্রশাসকরা। কয়েকটি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লিঙ্গ বৈষম্য মূলক ব্যবস্থা, নারী ও শিশুর অধিকার এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন করার ব্যাপারে নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলিকেই আরও শক্তিশালী করে রাজ্য স্তরের টাস্ক ফোর্স করা যায়। এই ধরনের সমিতির আহ্বায়ক হবেন নারী ও শিশু কল্যাণ/সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর আইসিডিএসের অধিকরণের মাধ্যমে রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্প কার্যকর করার ব্যাপারে প্রধান দায়িত্বে থাকবে।
জেলাশাসক/ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে জেলা স্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির জেলা স্তরের প্রতিনিধিরা ছাড়াও পুলিশ, জেলা লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির প্রতিনিধিরা থাকবেন। এই টাস্ক ফোর্সই জেলা স্তরে প্রকল্প কার্যকর করার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারাই জেলা স্তরের কার্যকর প্রকল্প অধিগ্রহণ, দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করবে। আইসিডিএস দফতরের ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসার বা ডিপিও জেলায় কার্যকর পরিকল্পনা রূপায়ণে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেবে। তাঁরা ব্লক স্তরের পরিকল্পনার সহায়তায় জেলার কার্যকর পরিকল্পনা গঠন করতে সাহায্য করবেন। এক জন লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়ক ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ/সিএসও-কেও টাস্ক ফোর্সে নেওয়া যেতে পারে।
এসডিও/এসডিএম/বিডিওদের নিয়ে একটি ব্লকস্তরের কমিটিও গঠন করা হবে (রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক) যাতে ব্লক স্তরের অ্যাকশন প্ল্যান সঠিক ভাবে কার্যকর ও দেখভাল করার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
গ্রাম পঞ্চায়েত/ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত/ওয়ার্ড সমিতি (রাজ্য সরকার যেমন মনে করবে) এই প্রকল্পের সফল রূপায়ণের ব্যাপারে সার্বিক সংহতীকরণ দেখভাল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত।
গ্রামের স্বাস্থ্য নিকাশি এবং পুষ্টি কমিটিগুলি (যেগুলি পঞ্চায়েতের সাব কমিটি হিসাবে মান্যতাপ্রাপ্ত) গ্রাম স্তরে এই প্রকল্প রূপায়ণ ও দেখভাল করার ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত। এডাবলুডাবলু, আশা এবং এএনএমের কর্মীরা এই প্রকল্পে সামনের সারির কর্মী হিসাবে কাজ করবেন। সিএসআর বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁরাই প্রচার করবেন কন্যাশিশু ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রকল্প/কর্মসূচির ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং তথ্য প্রদান করবেন।
এই সব অঞ্চলে কর্পোরেশন/পুরসভার মাধ্যমে পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে।
বিবিবিপি প্রকল্পের ব্যাপারে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা হয়েছে যাতে নারী-পুরুষ অনুপাত সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সম্বলিত ভিডিও পাওয়া যাবে। ভিডিও সব সময় আপ লোড করা হচ্ছে। এর ফলে তথ্য সহজে পৌঁছে দেওয়া এবং সচেতনতা বৃদ্ধির একটি মঞ্চ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। উপরের ছবিটি ক্লিক করলে ভিডিও দেখতে পাবেন।
মাইগভ মঞ্চের মাধ্যমে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা, জড়িত হওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে যাতে সরকারের এই প্রকল্প ভীষণ ভাবে সফল হয়। আমরা সবাইকে এই গোষ্ঠীতে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান করছি এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত,মন্তব্য এবং অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে একে সমৃদ্ধ করার আবেদন করছি। বিবিবিপি গোষ্ঠীতে সদস্য হওয়ার জন্য মাইগভ পোর্টালের ছবিটিতে ক্লিক করুন।
বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও প্রকল্পের প্রচারের জন্য ১০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রয়েছে এবং এই প্রকল্পের অধীনে ‘কন্যা সন্তানদের যত্ন ও সুরক্ষা’ শীর্ষক বহুমুখী অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়ণের জন্য দ্বাদশ পরিকল্পনাকালে আরও ১০০ কোটি টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে। আরও কিছু টাকা জাতীয় ও রাজ্য স্তরের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বা সিএসআর থেকে জোগাড় করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্প খরচ ২০০ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে ১১৫ কোটি টাকা চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে প্রদান করা হবে (ছ’মাসের জন্য), ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ সালের জন্য যথাক্রমে ৪৫ ও ৪০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক বাজেট নিয়ন্ত্রণ ও প্রকল্প পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত। বিভিন্ন রাজ্য সরকারের অ্যাকশন প্ল্যান অনুমোদিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রক তাদের প্রদেয় টাকা রাজ্যের সম্মিলিত তহবিলে পাঠিয়ে দেবে।
উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে কিনা, প্রকল্পের কার্যকারিতা কতটা হল এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত সূচক পরিলক্ষিত করার জন্য জাতীয়, রাজ্য, জেলা ও ব্লক ও গ্রাম স্তরে একটি পদ্ধতি তৈরি করা হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় স্তরে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স ব্যবস্থা নেবে। রাজ্য স্তরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স এই কাজ করবে। জেলাশাসক জেলা স্তরের সংশ্লিষ্ট সব অফিসারদের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ সুসংহত করার ব্যবস্থা করবে। জেলা স্তরে গৃহিত বিভাগীয় পরিকল্পনার কাজ কতটা অগ্রসর হল তা তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটিই খতিয়ে দেখবে। সিএসআরের তথ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের যাবতীয় দায়িত্ব জেলাশাসকের।
প্রকল্পের কী প্রভাব পড়ল এবং কী কী সংশোধন করতে হবে সে ব্যাপারে দ্বাদশ পরিকল্পনার শেষে মূল্যায়ন করা হবে।আল্ট্রা সোনোগ্রাফি মেশিনের মানচিত্র প্রস্তুত করা, পুরুষ ও নারী কন্যা জন্মের একেবারে তৃণমূল স্তরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে শতাংশের হিসাব তৈরি করা, পিসি ও পিএনডিটি আইন অনুযায়ী যে সব অভিযোগ জমা পড়ছে তার রিপোর্ট প্রস্তুত করার মাধ্যমেও প্রকল্পের কার্যকারিতা অনেকটা বোঝা যাবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/2/2020