রাজ্যবাসীকে প্রদেয় পরিষেবা সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অগ্রণী রাজ্য। আর এই সব পরিষেবার বেশির ভাগই গ্রামের দরিদ্র ও শহরের বস্তিবাসীদের পাওয়ার কথা। এটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু অনেক সময়েই দরিদ্র মানুষজন ওই সব পরিষেবার সুযোগ নিতে পারেন না --- অনেক সময়েই সরকারি কর্মীদের দুর্নীতি বা অলসতার কারণে, অথবা রাজ্যবাসীদের আস্থার অভাব বা অজ্ঞতার কারণে।
পরিষেবা পেতে হলে আগে জানতে হবে কী কী পরিষেবা পাওয়ার অধিকারী আপনি। এবং এটা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার এলাকায় সরকারি অফিস কোথায়?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে কোথায় আপনার গ্রামের অবস্থান সেটা আগে জানা দরকার।
প্রতিটি গ্রামে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াকে কেন্দ্রীয় সরকার লক্ষ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে। পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক -পানীয় জল ও পরিচ্ছনতা দফতর। ওয়েবসাইট -- http://ddws.nic.in/
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ওয়েবসাইট --http://www.wbphed.gov.in/
স্থানীয় প্রশাসন
শহরের ক্ষেত্রে স্থানীয় পুরসভা/মিউনিসিপ্যালিটি জল সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকার (সেরা সূত্র : http://www.indianyojana.com/vikas-yojana/bharat-nirman.htm)
আবেদন করার পদ্ধতি (সাফল্যের সম্ভাবনা ৩০%, সময়সীমা ৩ মাস)
খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ দফতর (ওয়েবসাইটের জন্য here ক্লিক করুন, তার পর ‘ফুড অ্যান্ড সাপ্লাইজ’-এ ক্লিক করুন)
সেরা সূত্র : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-http://www.sccommissioners.org/FoodSchemes/TPDS.html
|
গম |
চাল |
চিনি |
মুসুর ডাল |
এপিএল (সাদা) |
টা ৬.৭৫/কেজি |
টা ৯/কেজি |
টা ২৭.৫/কেজি |
নেই |
বিপিএল (হলুদ) |
টা ৪.৬৫/কেজি |
টা ২/কেজি |
টা ১৩.৫/কেজি |
টা ৪২/কেজি |
এএওয়াই (লাল) |
টা ২/কেজি |
টা ২/কেজি |
টা ১৩.৫/কেজি |
টা ৪২/কেজি |
বিপিএলের মতোই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, শুধু এর সঙ্গে নিজেকে দুর্দশাগ্রস্ত ঘোষণা করে একটি স্বলিখিত ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।
ভারতে লক্ষ লক্ষ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের (আইসিডিএস) অধীনে অঙ্গনওয়ারি প্রকল্পে ৬ মাস থেকে ৬ বছর পর্যন্ত বয়সি শিশুদের, অর্থাৎ স্কুলে যাওয়ার আগের পর্যায় পর্যন্ত শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া ভিটামিন, প্রাথমিক প্রতিষেধক প্রদান করা হয়। কয়েকটি রাজ্যে এই প্রকল্পে বেশ ভালো কাজ হচ্ছে। শিশুরা স্কুলে ভর্তি হলে মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় আসবে।
নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন http://wcd.nic.in/.)
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দফতর (ওয়েবসাইটের জন্য here ক্লিক করুন।)
সেরা সূত্র : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-http://www.sccommissioners.org/FoodSchemes/ICDS.html
প্রতি ৪০ জন শিশুপিছু একটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য here ক্লিক করুন। ৬ মাস থেকে ৬ বছরের শিশুরা অঙ্গনওয়ারি প্রকল্পের মাধ্যমে যে সব সুবিধা পাবে সেগুলি হল-
src="abc.jpg" />
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
এই প্রকল্প যৌথভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার চালায়। কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট বরাদ্দ করে ও নির্দেশিকা দেয়। রাজ্য সরকার প্রকল্পটি পরিচালনা করে।
স্কুল শিক্ষা দফতর (এখানে দেখুন)
সেরা সূত্র : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-
নির্দেশ : ক্লিক করুন
বস্তু |
প্রাথমিক (১ম থেকে ৫ম) |
উচ্চ প্রাথমিক (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি) |
ক্যালোরি |
৪৫০ |
৭০০ |
প্রোটিন (গ্রামে) |
১২ |
২০ |
ভাত/গম (গ্রামে) |
১০০ |
১৫০ |
ডাল (গ্রামে) |
২০ |
৩০ |
সবজি (গ্রামে) |
৫০ |
৭৫ |
তেল ও স্নেহ (গ্রামে) |
৫ |
৭.৫ |
প্রতিদিন দু’জন অভিভাবকের খাবার পরীক্ষা করে দেখার অধিকার রয়েছে। খাবারের গুণ বা পরিমাণ নিয়ে সমস্যা থাকলে --
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
বিশ্বের ইতিহাসে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন সম্ভবত সর্ববৃহৎ সরকারি কর্মসংস্থান প্রকল্প। এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এর প্রকল্পের আওতায় গ্রামের সমস্ত পরিবার, তারা দারিদ্রসীমার নীচে হোক বা না হোক, সরকারি কর্মসূচিতে বছরে ১০০ দিনের জন্য কাজ পাচ্ছেন (যেমন রাস্তা তৈরি, সেচের কাজ ইত্যাদি)। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য রোজগার বাড়ানোর পাশাপাশি স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি এবং গ্রামের মানুষকে যাতে কাজের খোঁজে গ্রামের বাইরে যেতে না হয় তার ব্যবস্থা করা।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। (ওয়েবসাইট দেখুন-গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক)
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন-পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর)
সেরা সূত্র : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-এখানে ক্লিক করুন
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন-http://rural.nic.in/.
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দফতর। ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here।
অর্থ দফতরের ডিরেক্টরেট অফ পেনশন। ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here।
সেরা সূত্র : জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি (এনএএসপি)-http://nsap.nic.in/guidelines.html
টিকা - চিহ্নিত পেনশনে প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি বছর নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। ফলে আবেদন করলেই সেই বছরই পেনশন পাবেন এমনটা নয়।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
নারী-পুরুষ অনুপাতে ভারত গোটা বিশ্বের মধ্যে বেশ পিছিয়ে। প্রতি বছর হাজার হাজার কন্যাভ্রূণ হত্যা করা হয়। ভারতীয় পরিবারগুলি জাতে কন্যাসন্তানকে মূল্য দেয়, তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করে তার জন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রকল্প রয়েছে। কন্যাসন্তান যাতে ধাপে ধাপে উচ্চ স্তরের শিক্ষা অর্জন করে তার জন্য এই সব প্রকল্প অনুযায়ী টাকা জমা রাখা হয়।
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা অনুসারে দারিদ্রসীমাভুক্ত যে সব কন্যা সন্তানের ১৫।৮।১৯৯৭ তারিখে বা তার পরে জন্ম হয়েছে তারা জন্মের সময় ৫০০ টাকা পায়। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯২৯ জন এই সুবিধা পেয়েছে। এর জন্য মা-মেয়েকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ওই কন্যাসন্তানের বয়স ১৮ বছর হলে ওই জমা টাকা সুদ-সহ পাওয়া যায়। সমাজ কল্যাণ দফতর এখন বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার আওতাভুক্ত কন্যাসন্তানদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) জানতে চান। (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন http://wbsc.gov.in/)
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন এজেন্সি মানুষজনের মধ্যে সঞ্চয়ী গোষ্ঠী তৈরি করে তহবিলের ব্যবস্থা করে দেয় যাতে তারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here)
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here)
সেরা সূত্র : http://www.indianyojana.com/rojgar-yojana/swarnajayanti-gram-swarozgar-yojana.htm
ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here আর here ।
মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলার খাইরো গ্রামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী খোলা হয়েছিল। স্বর্ণ জয়ন্তী রোজগার প্রকল্পে গোষ্ঠীটি ব্যাঙ্ক থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ পায়। সেই টাকা দিয়ে তারা ৪৮টি মেয়ে ও ২টি ছেলে ছাগল কেনে। এখন তাদের মোট ১০৩টি ছাগল রয়েছে। প্রতিটি ছাগল তারা ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করতে পারে। গোষ্ঠীভুক্ত মহিলারা এখন খুবই খুশি।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
লেখাপড়া বিশেষ জানা নেই এমন ব্যক্তির জন্য গাড়ি চালানো রোজগারের ভালো রাস্তা হতে পারে। তাঁর শুধু একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন। লাইসেন্স ইস্যু করে পরিবহন বিভাগ। কিন্তু এই বিভাগ নাকি খুবই দুর্নীতিগ্রস্ত। যাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে যান তাঁদের বেশির ভাগ অংশের কাছ থেকেই এখানে ঘুষ নেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজ্য পরিবহন দফতর ( ক্লিক করুন here)
সেরা সূত্র : http://www.advocatekhoj.com/library/legalforms/howdoi/index.php?Pno=drivinglicence.php
পদ্ধতি দেখুন here এবং here। শিক্ষানবিশি লাইসেন্সের জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে স্থানীয় পরিবহন অফিসে দরখাস্ত করতে হবে। তার সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজের ফোটো, বয়স ও বাসস্থানের প্রমাণপত্র, শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা সংক্রান্ত চিকিৎসকের শংসাপত্র এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হবে। নথি খতিয়ে দেখার পর আপনাকে শিক্ষানবিশি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলা হবে। শিক্ষানবিশি পরীক্ষায় সফল হলে শিক্ষানবিশি লাইসেন্স বা ‘এল’ লাইসেন্স দেওয়া হবে। অকৃতকার্য হলে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। স্থায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে আপনার বৈধ শিক্ষানবিশি লাইসেন্স থাকা আবশ্যক। শিক্ষানবিশি লাইসেন্স পাওয়ার ৩০ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে স্থায়ী লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনাকে গাড়ি চালনা, মোটরগাড়ির পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে, ট্রাফিক নিয়ম ও বিধি জানতে হবে। আপনাকে এর জন্য পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার জন্য সঙ্গে গাড়ি আনতে হবে। পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে আপনাকে স্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এই নথিগুলি আঞ্চলিক পরিবহন দফতরে (আরটিও) জমা দিন।
পরিবহন দফতরের পিআইও-এর কাছে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) জানতে চান here ।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
সরকারি হাসপাতালে প্রত্যেকের জন্য নিখরচায় পরামর্শ, চিকিৎসা, চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা ও ওষুধের ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় সার্বিক ভাবে সরকারি হাসপাতালের আর্থিক সঙ্গতি অতি অল্প, যে কারণে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যাও অত্যন্ত অল্প। সেখানে ওষুধ, চিকিৎসকেরও অভাব। আর এই সরকারি হাসপাতালে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। এমতাবস্থায় মধ্যবিত্ত মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। সম্প্রতি সরকার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনা (আরএসবিওয়াই) প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্ সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত অধিবাসীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো বিশেষ করে যাঁরা খুবই গরিব এবং যাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁদের।
- (দফতরের ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মানচিত্রের জন্য ক্লিক করুন here । প্রতিটি গ্রাম থেকে সাব সেন্টার বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দূরত্ব জানতে ক্লিক করুন here ।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
এখনও ভারতে শিশুর মৃত্যুর হার যথেষ্ট বেশি। ঠিকমতো প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার অভাবে প্রতিরোধযোগ্য রোগে প্রতি বছর বহু শিশুর মৃত্যু হয়।
সংশ্লিষ্ট দফতর
চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন দেখুন-http://www.wbhealth.gov.in/).
-http://www.jsk.gov.in/district_health.asp
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের তফশিল অনুযায়ী সার্বিক প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কাজ করছে।(here)
বয়স |
প্রতিষেধক |
জন্ম |
হেপাটাইটিস বি,ওপিভি (পোলিও প্রথম ডোজ) |
জন্ম থেকে ৬ সপ্তাহ |
বিসিজি (টিবি) |
৬ সপ্তাহ |
ডিপিটি-১ম, ওপিভি (পোলিও-২য়), হেপাটাইটিস বি |
১০ সপ্তাহ |
ডিপিটি-২য়, ওপিভি (পোলিও-৩য়) |
১৪ সপ্তাহ |
ডিপিটি-৩য়, ওপিভি (পোলিও-৪র্থ) |
৯মাস |
হাম, হেপাটাইটিস বি |
১৫-১৮ মাস |
ডিপিটি-৪র্থ, ওপিভি (পোলিও-৫ম), এমএমআর |
১৬ থেকে ২৪ মাস |
ডিপিটি প্রথম বুস্টার, ওপিভি (পোলিও- প্রথম বুস্টার) |
৫ বছর |
ডিপিটি ২য় বুস্টার, ওপিভি ২য় বুস্টার |
প্রতিটি জেলার পিএইচসির মানচিত্র এবং গ্রাম থেকে পিএইচসি বা সাব সেন্টার কত দূরে তা জানার জন্য ক্লিক করুন here ।
বাচ্চাকে এখানে নিয়ে যান --
প্রতিটি জেলার পিএইচসির মানচিত্র এবং গ্রাম থেকে পিএইচসি বা সাব সেন্টার কত দূরে তা জানার জন্য ক্লিক করুন here ।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
ভারতে এখনও প্রসূতি মৃত্যুর হার এখনও খুব বেশি। অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়মিত পরীক্ষা এবং কমিউনিটি হেলথ সেন্টার বা হাসপাতালে নিরাপদ প্রসবের জন্য আশা-সহ (অ্যাক্রিডেটেড সোশ্যাল হেলথ অ্যাক্টিভিস্ট) সরকারের নানা প্রকল্প রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন http://mohfw.nic.in)
গ্রামীণ মহিলার হাসপাতালে প্রসব হলে ৭০০টাকা করে পাবেন। শহরাঞ্চলের মহিলারা পাবেন ৬০০টাকা করে। যদি সেই মা --
আশা প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন দেখুন here ।
আপনার স্থানীয় পিএইচসি বা সিএইচসিতে যান।
জেএসওয়াইয়ে টাকা পাওয়ার জন্য --
সুপ্রিম কোর্টের নিয়োজিত কমিশনারের উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করুন (দেখুনhere)
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যবশত কেউ কেউ এখনও মনে করেন প্রতিবন্ধীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। নীচে বর্ণিত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের বোঝা হালকা করার চেষ্টা হয়েছে। ইম্যানুয়েল হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন (ইএইচএ) এখন প্রতিবন্ধীদের প্রদেয় সুবিধা সম্বলিত ম্যানুয়াল তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে কোথায় কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় তা বিবৃত হয়েছে। এর জন্য ইএইচএ ওয়েবসাইট দেখুন- www.eha-health.org এখানে ‘অ্যাডভোকেসি’ ম্যানুয়ালে বিষয়গুলি বিবৃত করা হয়েছে।
চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন-http://www.wbhealth.gov.in/).
বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিক করুন here এবং/অথবা here ।
গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদন করতে হবে, যারা যোগ্য লোকদের চিহ্নিত করতে পারে
বিভিন্ন প্রকল্প দেখুন here ।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
কাণ্ডজ্ঞান রহিত হয়ে বা কোনও আশা না দেখে বহু গরিব মানুষ ড্রাগ বা মদের নেশায় ডুবে যান। ড্রাগ বা মদের নেশা শুধুমাত্র আসক্তদের জীবনে ক্ষতি করে তাই নয়, তাঁদের পরিবার ও প্রতিবেশীর জীবনও দুর্বিষহ করে তোলে। ড্রাগ ও মদ্যাসক্তদের জন্য সরকার নিখরচায় পুনর্বাসন পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে।
সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন-http://socialjustice.nic.in/).
চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন- (http://www.wbhealth.gov.in/).
নিখরচায় ২৪ ঘণ্টা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হেল্পলাইন ১৮০০ ২৬৬ ২৩৪৫
যে সরকারি হাসপাতালে সাফল্যের নজির রয়েছে সেখানে বহির্বিভাগে নিয়ে গিয়ে দেখান।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক-জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ সংগঠন বা ন্যাকো-ওয়েবসাইট-http://www.naco.gov.in/NACO
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটি বা ডবলুবিএসএসিএস। ওয়েবসাইট-http://www.wbhealth.gov.in/wbsapcs
পরীক্ষা, চিকিৎসা, যত্ন বা সহায়ক পরিষেবার জন্য নিম্নলিখিত যে কোনও জায়গায় যাওয়া যেতে পারে ---
এআরটি সেন্টারে নিবন্ধ করানোর জন্য নিম্নলিখিত নথি প্রয়োজন :
ঠিকানা :
ডিএনপিপি, বাড়ি নম্বর ৬৪, গলি নম্বর ৩,
ইগনউ-এর কাছে, নব সরাই, নিউ দিল্লি ১১০০৮৮।
ফোন ০১১-২৯৫৩৫২৩৯/৩২৯৩৫২৩৯
একটি ছোট শিশুর হাড় ভেঙে যাওয়ার পর দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতাল তার অস্ত্রোপচার করতে চায়নি কারণ সে ছিল এইচআইভি পজিটিভ। শিশুটির পরিবার তাঁদের সমস্যা নিয়ে ডিএনপিতে হাজির হন। ডিএনপি এই শিশুর অধিকার নিয়ে ওকালতি করে অবশেষে সরকারি হাসপাতালেই শিশুটির অস্ত্রোপচার হয়।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
স্কুল বা বিদ্যালয়ে ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে আমাদের দেশে বড়লোক ও গরিবদের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। গরিবরা কেবলমাত্র সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পায় যেগুলি মূলত মাতৃভাষা অর্থাৎ হিন্দি বা বাংলা বা ওড়িয়া ইত্যাদি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়। এই ধরনের স্কুলগুলিতে ছাত্রের সংখ্যা অত্যধিক বেশি এবং ঠিকমতো পড়ানোর পরিকাঠামোও নেই। মধ্যবিত্তরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পাঠায় যেখানে ক্লাসগুলি অনেক ছোট এবং পড়ানোর ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে ভালো। এই ধরনের ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে যাওয়ার সুযোগ পায় কিন্তু গরিবদের সামনে সেই সুযোগ সীমিত। নীচে এমন কিছু ব্যবস্থার উল্লেখ করা হল যার মাধ্যমে সরকার এই ব্যবধান দূর করার জন্য কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে।
শিক্ষার জন্য অধিকার আইন ২০০৯-এর অধীনে---
প্রাথমিক স্তরে শিশুকন্যাদের শিক্ষা দেওয়ার জাতীয় কর্মসূচি বা ন্যাশানাল প্রোগ্রাম ফর এডুকেশন ফর গার্লস অ্যাট এলিমেন্টারি লেভেল। (ওয়েবসাইটে্র জন্য ক্লিক করুন here)
শিশুশিক্ষা কেন্দ্র : রাজ্য সরকারের অর্থে স্থাপিত পাড়া ভিত্তিক স্কুল যার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। (দেখুন here।)
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
গরিব ছাত্রদের স্কুলে ভর্তি করা এবং স্কুলে নিয়মিত যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বৃত্তি ও সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
স্কুল শিক্ষা দফতর (ওয়েবসাইটে্র জন্য ক্লিক করুন here)
সন্দীপ কুমার গুপ্ত, পিআইও,
ডেপুটি সেক্রেটারি-০১১ ২৩৩৮৯৪৭৪
তফশিল জাতি/তফশিলি উপজাতি এবং অপরিষ্কার ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্তদের শিশুদের ম্যাট্রিক-পূর্ববর্তী বৃত্তির দায়িত্বে--
ই ভি টমাস, পিআইও,
আন্ডার সেক্রেটারি ০১১ ২৩৭৫৩৪০৬
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ম্যাট্রিক-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বৃত্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
বহু মানুষ লেখাপড়া শিখতে চান কিন্তু নানা কারণে তাঁদের প্রথাগত স্কুলে যাওয়া হয়ে ওঠে না। হয়তো ছোটবেলায় তাঁদের স্কুল শিক্ষায় ছেদ পড়েছিল, কিন্তু বড় হয়ে তাঁদের আবার শিখতে ইচ্ছা করছে। তাঁরা এখন কর্মজীবনে ব্যস্ত, হয়তো পরিবারের দেখভাল করতে হয়, ফলে স্কুলে যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ রকম লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য ভারতীয় মুক্ত বিদ্যালয় বাড়িতে বসে পড়াশোনার সুযোগ এনে দিয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের স্কুল ব্যবস্থায় ১৫ লক্ষ মানুষ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন। ভারতীয় মুক্ত স্কুল ব্যবস্থা এখন বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম।
সূত্র : এনআইওএস
অথবা--
অথবা --
শ্রেণি |
নারী |
পুরুষ |
এসসি/এসটি/প্রতিবন্ধী |
দশম মান |
৭৫০ টাকা |
১ হাজার টাকা |
৫৫০ টাকা |
দ্বাদশ মান |
৯০০ টাকা |
১,১৫০ টাকা |
৬২৫ টাকা |
দিল্লিতে রুকসানা নামের এক গৃহবধূ পড়াশুনা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কখনও প্রথাগত স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তিনি এনআইওএস সিনিয়র অর্থাৎ দশম মান পাশ করেছেন এবং তার পর দ্বাদশ মানও সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখন তিনি কলেজে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন।
সূত্র : ইএইচএ অ্যাডভোকেসি ম্যানুয়ালস
সেরা সূত্র : রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বিদ্যুৎ যোজনা --http://powermin.nic.in/bharatnirman/bharatnirman.asp
ঘুঁটে, কেরোসিন বা কাঠের জ্বালানির তুলনায় গ্যাস অনেক সস্তা, পরিচ্ছন্ন এবং বাড়িতে ব্যবহার করার উপযোগী। অনেক সময় বণ্টন সংস্থা নতুন সংযোগ দিতে চান না, যদিও প্রতিটি পরিবারের একটি করে গ্যাস সংযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
রান্নার গ্যাস এখন আধা-বেসরকারি হয়ে গিয়েছে। বেশির ভাগ সংযোগ দেয় --
সেরা সূত্র : ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন --http://www.iocl.com/Products/LiquefiedPetroleumGasFAQ.aspx#1
ইন্ডিয়ান অয়েল সম্পর্কে বলা হয় তারা নাকি রান্নাঘরে বিপ্লব করে ফেলেছে। রান্নার জন্য পরিষ্কার এবং কার্যকর জ্বালানি সরবরাহ করে লক্ষ লক্ষ পরিবারে আনন্দ ও উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি দিন ৫ কোটি ৩০ লক্ষ ঘরে ১০ লক্ষ ২০ হাজার সিলিন্ডার পৌঁছে দেয় তারা।
(ইনডেন ওয়েবসাইট থেকে উদ্ধৃত)
আবেদনের পদ্ধতি জানতে ক্লিক করুন here।
আমার নিকটবর্তী স্থানীয় ইনডেন গ্যাস সরবরাহকারী হল __________
গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে সরবরাহ করার জন্য কোনও আলাদা চার্জ দিতে হয় না।
|
ইনডেন |
এইচপি |
ভারত গ্যাস |
অভিযোগ করুন |
ডিস্ট্রিবিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ |
ডিস্ট্রিবিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ |
ডিস্ট্রিবিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ |
টোল ফ্রি নম্বর |
১৮০০২৩৩৩৫৫৫ |
১৫২৩৩ বা ১৮০০২৩৩৩৫৫৫ |
১৮০০২৩৩৩৫৫৫ |
অন লাইনে অভিযোগ |
|||
লোকাল কাস্টমার সার্ভিস সেল |
HPCL,Flat No. 4, Plot -1, Nehru Enclave, Gomti Nagar, Lucknow,UP ২২৬০১০ Phone: ০৫২২ ২৩০৮৮৬৩ |
||
স্থানীয় পিআইও |
https://iocl.com/LPGIncharges.aspx Other contacts on website here) |
ভারত সরকার চায় প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার থাকুক। বহু গ্রামবাসীরই এই ব্যাপারে প্রবল আপত্তি রয়েছে। তাঁদের যুক্তি হল যদি নিরন্তর জল সরবরাহ ও রোজ যথাযথ পরিষ্কার করার ব্যবস্থা না থাকলে শৌচাগার ব্যবহারের যুক্তি নেই।
সেরা সূত্র : নির্মল ভারত অভিযান: http://tsc.gov.in/NBA/AboutNBA.aspx । আরও দেখুন ইন্ডিয়ান স্যানিটেশন পোর্টাল here এবং ইন্ডিয়া ওয়াটার পোর্টাল here ।
ভর্তুকি/সাহায্য প্রতিটি শৌচালয়ের জন্য |
কেন্দ্রীয় সরকার |
রাজ্য সরকার |
পরিবারের/গোষ্ঠীর শেয়ার |
ব্যক্তিগত বাড়ি |
৩২০০টাকা |
১৪০০টাকা |
৯০০ টাকা |
পাড়ার শৌচালয় ব্যবস্থা |
৬০ শতাংশ |
৩০ শতাংশ |
১০ শতাংশ |
গ্রামীণ স্কুল |
৩৫০০০টাকা (৭০ শতাংশ) |
১৫০০টাকা (৩০ শতাংশ) |
০ |
অঙ্গনওয়ারি |
৫৬০০(৭০ শতাংশ) |
২৪০০টাকা (৩০ শতাংশ) |
০ |
গ্রামে স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধান কমিটি এক সঙ্গে ১০ হাজার টাকা পাবে।
শ্রীমতী প্রতিমা গুপ্তা
ডিরেক্টর (এনবিএ)
দ্বাদশ তল, পরযাবরণ ভবন, সিজিও কমপ্লেক্স,
লোদি রোড, নিউ দিল্লি ১১০০০৩।
টেলিফোন ০১১-২৪৩৬৪৪২৭, ই-মেল pratima.g@nic.in
বর্ষায় গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তা ধরে হাঁটা খুবই কষ্টসাধ্য, বাঁধানো গলি ও নর্দমা তৈরি করা খুবই জরুরি। এই কাজের দায়িত্ব গ্রামের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধান কমিটির। সুতরাং কোনও গ্রামে এ ধরনের পাকা ব্যবস্থা তৈরি নির্ভর করে এই কমিটির সততা ও দক্ষতার উপর।
সেরা সূত্র : জনস্বাস্থ্য কারিগর দফতর। ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here
দারিদ্রসীমার নীচে স্থিত পরিবারগুলির জন্য বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এটি অত্যন্ত কার্যকর প্রকল্প। কিন্তু মূল সমস্যা বিপিএল তালিকা নিয়েই। তাই অনেক সময় দেখা যায় যাঁদের সত্যিকারের প্রয়োজন আছে এমন গরিব পরিবার প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারছে না, অথচ শক্তিশালী ব্যক্তিরা বিপিএল তালিকায় নাম ঢুকিয়ে অনায়াসে বাড়ি তৈরির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ইন্দিরা আবাস যোজনায় দারিদ্রসীমার নীচের মানুষজন গুরুত্বের নিম্নলিখিত ক্রমানুসারে বাড়ি বানানোর সুবিধা পান-
গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি তৈরির জন্য বিপিএল পরিবার, বিশেষ করে তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতিভুক্তরা ডবলুবিপিআরডির কাছ থেকে এই প্রকল্পে টাকা পাবেন।
গ্রামোন্নয়ন দফতরের অন্যান্য আবাসন প্রকল্পের জন্য দেখুন-http://www.wbprd.gov.in/
যিনি আবেদন করতে চান তাঁকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে বা গ্রাম স্তরের কর্মী বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার বা জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন এজেন্সির সঙ্গে কথা বলতে হবে।
সাহায্য পেতে গেলে যে নথি দরকার সেগুলি হল-
প্রধানমন্ত্রী গ্রামোদয় যোজনায় বাড়ি তৈরি করতে চাইলে গ্রাম সভা বা পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
বংশপরম্পরায় চলে আসা জাতিভেদ, শোষণ, দূর্নীতি, ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে বহু মানুষ জমি হারাতে বাধ্য হয়েছেন। এই অবস্থায় ভাড়া করা জায়গায় বসবাস করা আর অন্যের জমিতে শ্রম দেওয়া ছাড়া তাঁদের আর উপায় নেই। ইন্দিরা আবাস যোজনার অন্তর্গত ‘হোমস্টিড সাইট’ বা গৃহের জন্য জমি প্রকল্পে দুর্গত মানুষদের কিছু জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তাঁরা অন্তত বসবাসের জন্য ছোট বাড়ি তৈরি করতে পারেন। এটিও দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য গৃহীত প্রকল্প।
সেরা সূত্র : ওয়েবসাইট দেখুন http://iay.nic.in/netiay/more_home.htm
দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনও জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। চাষাবাদ করার জন্য জল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের চরিত্রেও পরিবর্তন এসেছে। ফলে চাষ করা আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। নীচের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে চাষিরা সেচের ব্যবস্থা করে চাষের জন্য জলের অভাব কিছুটা হলেও মেটাতে সক্ষম হবেন।
সেরা সূত্র : জলসম্পদ মন্ত্রক bharatnirman
ন্যাশনাল মিশন ফর মাইক্রো-ইরিগেশন বা ক্ষুদ্র সেচের জন্য জাতীয় মিশন (ক্লিক করুন-ncpahindia.com)
ন্যাশনাল কমিটি অন প্লাস্টিকালচার অ্যাপ্লিকেশন ইন হর্টিকালচার (এনসিপিএএইচ)
দশম তল, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড টাওয়ার, নেহরু প্লেস,
নিউ দিল্লি ১১০০১৯, ফোন: ০১১-৪৬৫১১২৭৫
যোগাযোগ :
এনএফএসএম সেল ০১১-২৩৩৮৯৮৩১
ড. এম এন সিংহ, জয়েন্ট ডিরেক্টর (এনএফএসএম), ই-মেল mnsingh1959@rediffmail.com
শ্রী সি ওয়াই বরাপাত্রে, অ্যাঃ কমিশনার (এনএফএসএম), ই-মেল cyb_20007@yahoo.co.in
এনএফএসএম সেল ০১১-২৩৩৮৯৮৩১
ড. এম এন সিংহ, জয়েন্ট ডিরেক্টর (এনএফএসএম),
ই-মেল mnsingh1959@rediffmail.com
শ্রী সি ওয়াই বরাপাত্রে, অ্যাঃ কমিশনার (এনএফএসএম),
ই-মেল cyb_20007@yahoo.co.in
ন্যাশনাল কমিটি অন প্লাস্টিকালচার অ্যাপ্লিকেশন ইন হর্টিকালচার (এনসিপিএএইচ)
দশম তল, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড টাওয়ার, নেহরু প্লেস,
নিউ দিল্লি ১১০০১৯, ফোন: ০১১-৪৬৫১১২৭৫
আবহাওয়া পরিবর্তনের আর একটি বড় প্রভাব হল প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়া। সাইক্লোন, বন্যা, খরা – একের পর এক দুর্যোগে চাষির মাথায় ওঠে হাত। এই সব দুর্যোগের জন্য চাষাবাদ অনেক বেশি ঝুঁকির হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্নে বর্ণিত বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা শস্যবিমা করাতে পারেন যাতে করে চাষের ঝুঁকি কিছুটা কমে।
src="../../resolveuid/8b3b68f656714a12b4a2029bb911b367" />
সেরা সূত্র : জাতীয় কৃষিবিমা প্রকল্প-http://agricoop.nic.in/dacdivision/credit.htm
দাশরথি সিংহ, রিজিওন্যাল ম্যানেজার
ওম টাওয়ার্স, ৫ম তল, চৌরঙ্গী রোড
কলকাতা ৭০০০৭১
ফোন : ৯১০৩৩৯৬৩৫৫১৬ (+ ৯১ ৩৩) ২২৮৮২৬৬৫
ই-মেল dasarathis@aicofindia.com
একশো কোটির উপর জনসংখ্যার দরুন ভারতের কৃষকদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যের নিয়মিত জোগানের ব্যবস্থা করা। বিশ্বায়নের জন্য কৃষিকাজের প্রাথমিক উপকরণ, বীজের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নীচের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে প্রাথমিক উপকরণ, বীজ প্রভৃতি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয় যাতে কৃষিকাজ কৃষকের কাছে কিছুটা হলেও লাভজনক হয় এবং তিনি কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত হন।
রাষ্ট্রীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের অধীনে (ক্লিক করুন)
গমের জন্য প্রতি ৫০ হেক্টরে ১০ কেজি, উচ্চফলনশীল ধানের জন্য প্রতি ৫০ হেক্টরে ৫ কেজি এবং হাইব্রিড ধানের জন্য প্রতি ৫০ হেক্টরে ৬কেজি। ভর্তুকি দেওয়া হয় বীজের সম্পূর্ণ দাম চুকিয়ে।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন অনুযায়ী কয়েকটি জেলাকে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। কোনওটি গমের জন্য, কোনওটি বা তৈলবীজের জন্য আবার কোনওটি বা চালের জন্য এনএফএসএম প্রকল্পে সুবিধা পাবে। বিশদে জানতে - আপনার পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগযোগ করুন বা ক্লিক করুন
সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতরে আবেদন করতে হবে।
(ক) সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতরে অভিযোগ করুন
(খ) কৃষি দফতরে তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চান। (here
(গ) এনএফএসএমের জন্য যোগাযোগ এনএফএসএম সেল ০১১-২৩৩৮৯৮৩১
1) ড. এম এন সিংহ, জয়েন্ট ডিরেক্টর (এনএফএসএম),
ই-মেল mnsingh1959@rediffmail.com
২) শ্রী সি ওয়াই বরাপাত্রে, অ্যাঃ কমিশনার (এনএফএসএম),
ই-মেল cyb_20007@yahoo.co.ইন
সূত্র:জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মিশন ক্লিক করুন
বহু গ্রামে এখনও বাঁধা রাস্তা নেই। ফলে গ্রাম থেকে জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যেতে, রোগীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে খুবই অসুবিধা হয়। বিশেষ করে বর্ষার দিনে অসুবিধা অনেকটাই বেড়ে যায়। এই দিকে নজর রেখে ১০০০ লোক বাস করে এমন প্রতিটি গ্রামে ২০০৯ সালের মধ্যেে সব ঋতুতে ব্যবহারের উপযোগী রাস্তা করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
পূর্ত দফতর (ওয়েবসাইট দেখুন- http://www.wbpwd.gov.in/)
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর (ওয়েবসাইট here)
সেরা সূত্র: ভারত নির্মাণ- http://bharatnirman.gov.in/road.html
(ক) ভারত নির্মাণের লক্ষ্য হল ২০০৯-এর মধ্যে ১ হাজার জনসংখ্যাd রয়েছে (পাহাড়ি এলাকায় ৫০০) এ ধরনের সমস্ত গ্রামে সব ঋতুতে ব্যবহারের উপযোগী রাস্তা তৈরি করা। (ওয়েবসাইট দেখুন here ), বুকলেট here । রাস্তা নির্মাণের নির্দিষ্ট প্রকল্প হল, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (দেখুন ওয়েবসাইট- http://pmgsy.nic.in/).)
(খ) পশ্চিমবঙ্গ-প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-(পিএমজিএসওয়াই) (here)
(ক) সরাসরি জেলা পরিষদ/ডিআরডিএ-তে আবেদন করুন।
(খ) সরাসরি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় আবেদন করুন, অথবা
(গ) পশ্চিমবঙ্গ পূর্ত দফতরে আবেদন করুন।
(ক) প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় বা পশ্চিমবঙ্গ পূর্ত দফতর, যেখানে আপনি রাস্তার জন্য আবেদন করেছিলেন সেখানেই অভিযোগ দায়ের করুন।
(খ) যেখানে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন সেখানেই তথ্যে র অধিকার আইনে জানতে চান (দেখুন এখানে অথবা এখানে)।
(গ) পশ্চিমবঙ্গ পূর্ত দফতরে অভিযোগ করুন। (ক্লিক করুন এখানে, তার পর ‘পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট’-এ ক্লিক করে আপনার এলাকার পূর্ত দফতরের পিআইওকে খুঁজে বের করুন।)
src="sav.jpg" />
ভারতে মহিলাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এমনকী বাড়িতে বহু মহিলা এখনও তাঁদের স্বামীদের হাতে মারধর খান। এই ব্যবহার সমাজ ও রাষ্ট্র কখনওই মেনে নিতে পারে না। গার্হস্থ্য হিংসা আইন ২০০৫-এ এই মনোভাবেরই প্রতিফলন রয়েছে।
মহিলাদের জাতীয় কমিশন। ওয়েবসাইট here
প্রোটেকশন অফ উওমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট ২০০৫ here
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহিলা কমিশন (ক্লিক করুন ওয়েবসাইট-http://www.wbcw.org/)
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ((ক্লিক করুন ওয়েবসাইট--http://policewb.gov.in)
সেরা সূত্র : প্রোটেকশন অফ উওমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট ২০০৫ here
মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে রক্ষার মধ্যে পড়ে --- (দেখুনগার্হস্থ্য হিংসা আইন ২০০৫ here )
বহু মানুষ শিশুদের, বিশেষ করে শিশুকন্যাদের পণ্য বলে মনে করেন। তাদের যেন ইচ্ছামতো কেনা ও বিক্রি করা যায়। প্রতি দিন আমরা দেখি চায়ের দোকানে, ধাবায় এমনকী আমাদের বাড়িতে শিশুরা চাকর বা ঝিয়ের কাজ করছে। এই সমস্ত শিশুর শৈশব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন অবশ্য এই কাজ বেআইনি। পাচার মানে হল, এই ধরনের শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বাজে ধরনের কাজে নিযুক্ত করা বা তার চেয়েও খারাপ-- বেশ্যাবৃত্তি করানো। একটি শিশুকন্যাকে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যাওয়া, তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা এবং বেশ্যাবৃত্তিতে নামতে বাধ্য করা, বছরের পর বছর তার উপর অত্যাচার চালানো খুবই সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। কিন্তু আমাদের দেশে বহু শিশুকন্যার উপর এ ধরনের অবিচারের ঘটনা নিরন্তর ঘটে চলেছে। এই জিনিস বন্ধের একমাত্র উপায় হল সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তা আটকানোর চেষ্টা করতে হবে।
src="grl.jpg" />
সেরা সূত্র : চাইল্ড লাইন পেজ here
বাইরে দিল্লিতে আসা একটি পরিবার হঠাৎ ঝামেলায় পড়ে গেল। বাবার চিকিৎসার জন্য ১১ হাজার টাকার প্রয়োজন। তারা এক জন মহিলার কাছ থেকে টাকাটা ধার নিতে বাধ্য হয়। ওই মহিলা বলে, ‘‘ওই ঋণ শোধ করার জন্য তোমাদের ১২ বছর বয়সি মেয়েকে এক বছরের জন্য আমার কাছে রেখে দাও। ও বাড়ির কাজ করে দেনা মেটাবে।’ ’ওই অসহায় বাবা তাঁর মেয়েকে মহিলার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। এক বছর বাদে বহু তর্কের পর ওই শিশুকন্যাটিকে বাবা গিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। কিছু দিন বাদে মহিলাটি ওই পরিবারে গিয়ে বলে, ‘‘তোমাদের মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। ও আমার ধার শোধ করেনি।’’ মা রাজি হননি। মহিলা চলে যায়। কিছুক্ষণ বাদে এক দল গুণ্ডা নিয়ে হাজির হয়ে সে বলে, ‘‘তোমার বউ, মেয়ে এবং ছেলেকে আমাদের সঙ্গে আসতে হবে।’’ বাধা দেওয়ার কোনও শক্তি ছিল না বাবার। ফলে গোটা পরিবারটিকে এক রকম তুলে নিয়ে চলে যায় ওই মহিলা ও তার দলবল। পরে বাড়ির কর্তা চাইল্ডলাইন নম্বর ১০৯৮-এ ফোন করেন। যে ব্যক্তি ফোন ধরেছিলেন তিনি তৎক্ষণাৎ কাজ শুরু করে দেন। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তিনি ট্রেন স্টেশনে গিয়ে ওই মহিলা ও তার দলবলকে ধরে ফেলেন। মহিলা তখন অভিযোগকারীর ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে শহর ছাড়বার তাল করছিল। তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় এবং ওই মহিলার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভাগ্যের কথা যে তৎক্ষণাৎ পরিবারের কর্তাটি চাইল্ডলাইন নম্বরে ফোন করেছিলেন এবং যিনি ফোন ধরেছিলেন তিনি তৎক্ষণাৎ কাজ শুরু করে দিতে পেরেছিলেন।
নির্বাচন কমিশন(আরও তথ্যের জন্য ক্লিক করুন here)
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পশ্চিমবঙ্গ (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here)
সেরা সূত্র : মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পশ্চিমবঙ্গ (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here)
দেখুন here আপনার নাম তালিকায় ইতিমধ্যে রয়েছে কিনা। না থাকলে --
here বিস্তারিত ভাবে যা বলা হয়েছে সেই নথি লাগবে এবং
ভোটার রেজিস্ট্রেশন এবং ইলেকটরস সেন্টারে (ভিআরইসি) আবেদন করুন
আধার হল ১২টি সংখ্যার একটি পরিচয়জ্ঞাপক নম্বর যা ভারতের সব অধিবাসীর জন্যই পর্যায়ক্রমে চালু হচ্ছে। দেশের জনসংখ্যার ধাঁচ এবং ব্যক্তিমানুষ সম্পর্কে নানা বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ, চোখের মণির ছাপ এবং ছবি) এই কার্ড ইস্যু করে সংগ্রহ করা হয় এবং সেই তথ্য কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে জমা থাকে। আধার কার্ড বিনা পয়সায় বিতরণ করা হয়। এখনও এই কার্ড রাখা আবশ্যিক না হলেও সকলের করে রাখা ভাল। এই কার্ড থাকলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ সহজ হবে।
সেরা সূত্র : আধার সাইট-http://uidai.gov.in/aapka-aadhaar.html
আশিস কুমার, এডিজি অ্যান্ড সিপিআইও,
দ্বিতীয় তল, টাওয়ার ১, জীবন ভারতী বিল্ডিং,
কনট সার্কাস, নিউ দিল্লি ১১০০০১
অথবা
ফোন করুন ০১১-২৩৭৫২৬৭৭
শ্রী দাবিন্দর কুমার, তৃতীয় তল,
টাওয়ার ১, জীবন ভারতী বিল্ডিং,
কনট সার্কাস, নিউ দিল্লি ১১০০০১
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার মতো শিশুদের জন্য নানা প্রকল্প রয়েছে। সে সব প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য জন্মের শংসাপত্র খুবই জরুরি। স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্যও জন্মের শংসাপত্র লাগে। মৃত্যুর শংসাপত্র দরকার বিধবা পেনশন ও ন্যাশানাল ফ্যামিলি বেনিফিট স্কিমের জন্য।
সংশ্লিষ্ট দফতর
(ক) জন্মের শংসাপত্র
নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলির ক্ষেত্রে জন্ম সম্পর্কে তথ্য ও তারিখ প্রমাণ করার জন্য দরকার হয় ---
(খ) মৃত্যুর শংসাপত্র
নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলির ক্ষেত্রে মৃত্যু সম্পর্কে তথ্য ও তারিখ প্রমাণ করার জন্য দরকার হয় ---
সূত্র : এডভোকেট খোঁজ
যদি জন্মের ২১ দিনের মধ্যেt জন্ম নিবন্ধীকৃত হয় -
যদি জন্মের সময় তা নিবন্ধীকৃত না হয় এবং শিশুর বয়স যদি ১ বছর পেরিয়ে যায় , তা হলে জেলা শাসক বা মহকুমা শাসকের কাছে গিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে।
ডিএম বা এসডিএমের কাছে তথ্যেফর অধিকার আইনে জানতে চান।
১) জন্মের শংসা পত্র পাওয়ার পদ্ধতি বা সামগ্রিক বিবরণ পেতে ক্লিক করুন এখানে।
২) শিশুর বয়স যদি ১ বছর পেরিয়ে যায় বা জন্মের সময় তা নিবন্ধীকৃত না হয় , তা হলে জেলা শাসক বা মহকুমা শাসকের কাছে গিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে। বিশদে জানতে ক্লিক করুন এখানে,তার পর পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসক দেখার জন্য রাজ্য, জেলা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে ক্লিক করুন ।
৩)মৃত্যুর শংসা পত্র পাওয়ার পদ্ধতি বা সামগ্রিক বিবরণ পেতে ক্লিক করুন এখানে। ফর্মের জন্য দেখুন এখানে ।
৪) জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ক্লিক করুন এখানে,তার পর পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসক দেখার জন্য রাজ্য, জেলা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে ক্লিক করুন ।
৫) এখানেও যেতে পারেন-http://www.districts.nic.in/
src="../../resolveuid/1af323eba9514b83baffacb691b7a5ff" />
সেরা সূত্র : http://www.advocatekhoj.com/library/legalforms/howdoi/index.php
তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত যে কেউ শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের তফসিলি জাতি ও উপজাতির তালিকার জন্য ক্লিক করুন here। ওবিসি তালিকার জন্য ক্লিক করুন here। শংসাপত্র থাকলে কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন, যেমন --
যদিও সমাজের উপরিস্তরের/উচ্চ আয় সম্পন্নদের এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ক্লিক করুন here এবং উচ্চ স্তর সম্পর্কে জানুন।
এসসি/এসটি/ওবিসিরা আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য, যেমন বৃত্তি, স্কুলের বই কেনার জন্য অনুদান, হোস্টেলের জন্য অনুদান, ছাত্রীদের জন্য সাইকেল এবং চাকরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
(ক) ডিএম বা এসডিএমের অফিসে অর্থাৎ যেখানে আবেদন জমা দিয়েছিলেন সেখানে খোঁজ নিন; তার পর
(খ) ডিএম বা এসডিএমের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চান (ক্লিক করুন here,তার পর পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসক দেখার জন্য রাজ্য, জেলা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে ক্লিক করুন অথবা এখানে দেখুন-http://districts.nic.in/)।
সূত্র: পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণের জন্য ক্লিক করুন here । ফর্ম পান here । বাংলায় ফর্ম ও নির্দেশিকা পাবেন here ।
বিভিন্ন সরকারি অর্থ পেতে এবং সরকারি প্রকল্পের সাহায্য পেতে হলে যেমন বিধবা পেনশন প্রকল্প ইত্যাদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকাটা জরুরি।
দ্রষ্টব্য : সাধারণত বড় বহুজাতিক ব্যাঙ্ক যেমন এইচএসবিসি ইত্যাদি গরিব নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট করে দেওয়ার ব্যাপারে তেমন উদ্যোগী হয় না। সুতরাং সাধারণ ব্যাঙ্ক যেগুলির দেশের সর্বত্র শাখা রয়েছে তার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুললেই ভালো হয়। এসবিআই এবং করপোরেশন ব্যাঙ্কে এ ধরনের কাজে ইতিমধ্যেই সাড়া মিলেছে। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে পরিচয়জ্ঞাপক তথ্য জোগান দেওয়া সব চেয়ে সহজ। কিন্তু এখন শুধুমাত্র পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট থাকাটা পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। গ্রামীণ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা সহজ। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অবশ্য পেনশন পেতে কোনও অসুবিধা হয় না।
সেরা সূত্র : http://www.ehow.com/how_4841051_open-account-state-bank-india.html
সরাসরি ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বা পোস্ট অফিস ম্যানেজারকে বলুন।
src="PANcardsample.gif" />
যিনি আয়কর প্রদান করেন তাঁর কাছে প্যান কার্ড থাকাটা আবশ্যিক। অন্য ভারতীয় নাগরিকরা কর দিন বা না দিন, আবেদন করলে তাঁরা প্যান কার্ড পাওয়ার অধিকারী হবেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা অন্য কিছু পরিষেবা পেতে গেলে প্যান কার্ড থাকাটা সুবিধাজনক।
আয়কর বিভাগ (ওয়েবসাইটের জন্য ক্লিক করুন here)
সেরা সূত্র : ট্যাক্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক https://tin.tin.nsdl.com/pan/form49A.html
সার্বিকভাবে আবেদন করার পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে ক্লিক করুন here ।
ইনকাম ট্যাক্স প্যান সার্ভিস ইউনিট
ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোসিটোরি লিমিটেড
তৃতীয় তল, স্যাফার চেম্বারস
বানের টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে
বানের, পুনে ৪১১০৪৫
এনএসডিএলপ্যান<স্পেস দিন> অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর, পাঠিয়ে দিন ৫৭৫৭৫-এ; তার পর
গোষ্ঠীর বাসিন্দারাই তাঁদের গরিবি দূর করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিতে সক্ষম। বংশানুক্রমিক দারিদ্র এবং না-পাওয়ার যন্ত্রণা ও ক্ষমতাশালীদের অবজ্ঞার দরুন তাঁরা নিজেদের অক্ষম বলে মনে করেন। ফলে যে অবস্থায় রয়েছেন নীরবে তা মেনে নেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রাণবন্ত বিকাশ আসবে যদি গোষ্ঠীর মানুষরা ছোট ছোট দল গঠন করে নিজেদের সমস্যা চিহ্নিত করেন ও নিজেরা সমাধান করেন এবং নিজেদের জ্ঞান, দক্ষতা ও ‘হৃদয়’ (অর্থাৎ সাহস, আত্মপ্রত্যয় এবং নিঃস্বার্থ মনোভাব) দিয়ে গোষ্ঠীর লোকেদের সঙ্গে নিয়ে পরিবর্তনের পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। আমরা মনে করি এই ধরনের বাসিন্দা-গোষ্ঠী তৈরি করতে গেলে গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে শক্তিশালী, পারস্পরিক, যত্নশীল সম্পর্ক তৈরি করতে হবে যাতে তাঁদের ‘হৃদয়’ দিয়ে কাজ করার বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ভাবে অবহিত করা যায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ শেষ করে চলে গেলে ওই ব্যক্তিরাই এগিয়ে এসে ধারাবাহিক ভাবে গোষ্ঠীর উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পরবর্তী স্তরে এঁরাই গোষ্ঠী সম্পর্কে সঠিক খবর দিয়ে গবেষণায় বা সমীক্ষায় সাহায্য করবেন।
গোষ্ঠীর মধ্যে যাঁরা বাইরে থেকে গিয়ে কাজ করতে চান তাঁদের বিশেষজ্ঞ হিসাবে গেলে চলবে না। তাঁদের গোড়ায় শিক্ষার্থী হিসাবেই সেখানে যেতে হবে। গোষ্ঠী সম্পর্কে জানার সব চেয়ে ভালো উপায় হল নিজেদেরই ঘুরে ঘুরে জল, স্বাস্থ্যবিধি, বিদ্যুৎ, পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রান্তিক গোষ্ঠী প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। কিছু কিছু জিনিস অবশ্য শুধু পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জানা সম্ভব নয়, যেমন কলোনির ইতিহাস, কলোনির কোন জিনিসটি বাসিন্দারা পছন্দ করেন এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কোন জিনিসটির উপর তাঁরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে চান। এ রকম আরও বহু লুকিয়ে থাকা বিষয় জানতে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের প্রশ্ন করা যেতে পারে।
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
গোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সম্পর্কে আমরা কী জানলাম তা বুঝতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিশ্লেষণ করা। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যাবে কোন সমস্যাটি বাসিন্দাদের সব চেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে বা কোন সমস্যা সমাধান করতে গেলে বেশি প্রতিরোধ আসতে পারে। ফলে এর থেকে বোঝা সম্ভব কোন সমস্যাটির সফল ভাবে সমাধান করার সম্ভাবনা বেশি। এই বিশ্লেষণের ফলাফল অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গোষ্ঠীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে চলবে না। বরং এইগুলি নিয়ে গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করে স্থির করতে হবে প্রথমে কোন সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।
পদক্ষেপ তিন অনুযায়ী সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করার পর প্রশ্ন আসে কোন সমস্যাটি সবার আগে সমাধান করা দরকার। এই সিদ্ধান্ত গোষ্ঠীর লোকেদেরই নিতে হবে। গোষ্ঠীর বৈঠকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বৈঠকে সব ধরনের মানুষই থাকেন ---হিন্দু হোক বা মুসলমান, নারী বা শিশু, সক্ষম বা প্রতিবন্ধী মানুষ, যারা অসুবিধায় রয়েছেন, অর্থাৎ সমাজের সব স্তরের মানুষ বৈঠকে বসে স্থির করবেন আগে কোন সমস্যার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের বিভিন্ন মানসিকতার মানুষকে নিয়ে এক সঙ্গে বসে বৈঠক করা, তাঁদের বিভিন্ন ধরনের মতামতের সমন্বয় করা খুবই কঠিন কাজ। যিনি বৈঠক পরিচালনা করবেন তাঁর কাজ হবে সব চেয়ে বেশি গলার জোর দেখাবেন যিনি তাঁকে নরম করা এবং শেষ পর্যন্ত কোন কাজ আগে করতে হবে সে ব্যাপারে সবার মধ্যে একটি ঐকমত্য গঠন করা।
কোন সমস্যার আগে সমাধান করতে হবে সে সম্পর্কে গোষ্ঠীর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ হবে সে সম্পর্কে এই ম্যানুয়াল ব্যবহার করে, এর বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সহায়তা নিয়ে, ইন্টারনেট কাজে লাগিয়ে, আরটিআই আবেদন করে নির্ধারিত সম্যস্যার সমাধানে কী ধরনের সম্পদ পাওয়া যেতে পারে তার প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড় করা। সরকারি নথিতে বা অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ম্যানুয়ালে বা গোষ্ঠীর মধ্য থেকেই এ ধরনের সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। এই গবেষণার উদ্দেশ্য গোষ্ঠীর উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া নয় বরং পরবর্তী গোষ্ঠীর বৈঠকে সম্পদের বিষয় অবহিত করে প্ল্যান অফ অ্যাকশন তৈরির জন্য চেষ্টা করা।
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
সমস্যা সমাধানে কাজের পরিকল্পনা করার জন্য আর একটি বৈঠক করা প্রয়োজন। এই বৈঠকে স্থির হবে কে কোন কাজটি করবে, কখন কাজটি করা হবে, কে খরচ করবে ইত্যাদি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা অ্যাকশান প্ল্যানের অংশ হতে পারেন কিন্তু তাঁদের বেশি দায়িত্ব ঘাড়ে নেওয়া উচিত হবে না। যদি বাসিন্দারা এই কাজে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে খুব একটা উৎসাহী না হন তা হলে বুঝতে হবে সেখানে দায়বদ্ধতার বা কমিটমেন্টের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। যতক্ষণ না দায়বদ্ধতার প্রশ্নে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতেই হবে।
বাসিন্দারা কার্যকর পরিকল্পনা সম্পর্কে এক মত হলে কাজ শুরু করার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। বাসিন্দাদের জন্য সরকারি পরিষেবা পেতে এই অবস্থায় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। এর জন্য এই ম্যানুয়ালে বর্ণিত আবেদন করার পদ্ধতি কাজে লাগাতে হতে পারে। অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কাজ হলে অর্থাৎ সমস্যার সমাধান হলে সাফল্য উপভোগ করা উচিত। যদি পরিকল্পনা কার্যকর করতে ব্যর্থতা আসে তবে নতুন ভাবে ফের পরিকল্পনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালে বর্ণিত বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটির সমাধান হয়ে গেলে পরের সমস্যাটির সমাধানে একই পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের দায়িত্ব আরও কমিয়ে গোষ্ঠীর মানুষদের দায়িত্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই ভাবে গোষ্ঠীর বাসিন্দারা, বিশেষ করে ‘হৃদয়সম্পন্ন’ বাসিন্দারা সমস্যার সমাধানে কী ভাবে কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে অবহিত হবেন। পরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য ছাড়াই তাঁরা কাজ করতে পারবেন।
গোষ্ঠীর ভিতরের উপরি বর্ণিত ‘হৃদয়সম্পন্ন’ বাসিন্দাদের গোষ্ঠী একটি স্বাধীন সিবিও বা গোষ্ঠীভিত্তিক সংগঠন তৈরি করবেন। এই সংগঠনই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিবর্ত হিসাবে গোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এই গোষ্ঠী প্রথাসিদ্ধ কল্যাণমূলক সংস্থা হিসাবে নিজেদের নথিভুক্ত করতে পারে যাতে তাদের হাতে আরও ক্ষমতা আসে। এর ফলে তারা সরকারের সঙ্গে কাজ চালানোর প্রশ্নে বা দায়বদ্ধতার প্রশ্নে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য হতে পারবে।
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
আপনার আবেদনে নীচের বিষয়গুলি অবশ্যই থাকবে ---
চিঠি কী রকম হবে তার একটি নমুনা --
মাননীয় ম্যানেজার
পূর্ত দফতর
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা
পশ্চিমবঙ্গ
১২।১২।২০১৪
বিষয় : জেলার ডায়মন্ডহারবার মহকুমায় শিবরামপুর গ্রামে পাকা রাস্তা নির্মাণ
মহাশয়,
আমি শিবরামপুরের বাসিন্দা হিসাবে আপনাকে বিনীত ভাবে জানাই,
শ্রদ্ধাসহ
রমেশ কুমার
ঠিকানা : রমেশ কুমার
বাড়ি নম্বর-৫
গলি নম্বর-৬
গ্রাম শিবরামপুর
পোঃ শিবরামপুর
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
টেলিফোন- ২৬৫০৮৯৭৬
কপি- ভারত নির্মাণ কলকাতা
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
সঙ্গে যদি গোষ্ঠীর কাউকে নিয়ে যান তা হলে তাঁর অভিজ্ঞতা জানার জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আপনার বৈঠকটি কেমন লাগল?’
লিখুন-
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
অনেক সময় কোনও সরকারি আধিকারিক ঘুষ ছাড়া আপনার আবেদন গ্রহণ বা আবেদন গ্রহণ করলেও কাজ করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার কথা আকার ইঙ্গিতে বোঝানো হয়, যেমন, ‘চা-জলখাবার’ বা ‘কিছু দিন’ ইত্যাদি শব্দস ব্যবহার করেন। অনেক সময় সরকারি কর্মচারীরা সরাসরি ঘুষ নেওয়ার চেয়ে দালালের মাধ্যমে কাজ করতে বেশি আগ্রহী হন। ওই দালাল কাজ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনার কাছ থেকে‘সার্ভিস ফি’ নেন। সেই টাকার একটা অংশ যায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা আধিকারিকের পকেটে। মনে করুন আপনার বাচ্চার বয়স এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপনাকে বার্থ সার্টিফিকেট বের করার জন্য ৭০০ টাকা খরচ করতে হতে পারে। পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রতিটি পর্যায়ের মতো এখানেও চাহিদা-জোগানের তত্ত্ব খাটে। রেশন কার্ডের চাহিদা যদি হঠাৎই খুব বেড়ে যায় তা হলে রেশন কার্ড বের করার জন্য খরচও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। অর্থাৎ ঘুষের পরিমাণও বাড়ে। যদিও দালালি বা ঘুষের জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হয় না। ফলে ঘুষ নেওয়া হয়েছে কিনা তা প্রমাণ করা দুষ্কর হয়। যদি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়, তিনি স্পষ্ট জানাবেন, ঘুষ নেননি। আপনার অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। অনেক সময় ঘুষের পরিমাণ বিরাট অঙ্কের টাকা হয়। তার একটা বড় কারণ হল অনেক সময় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকেই মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে ওই পদে আসীন হতে হয়। ফলে জনগণের পকেট থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়াটা তার ‘অধিকারে’ পর্যবসিত হয়। বহু সময় সাধারণ মানুষ কাজ করানোর জন্য উতলা হয়ে পড়েন। যেমন রেশন কার্ড বা বার্থ সার্টিফিকেট বের করার জন্য তাঁদের জরুরি প্রয়োজন পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা মোটা টাকা ঘুষ বা কমিশন দিতে বাধ্য হন। বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁরা ঘুষ দিতে বাধ্য হলে কিছু বলার থাকে না। এই পদ্ধতিতে কিছু অসুবিধা রয়েছে।
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
খ) যদি দেখা যায় সঠিক বিভাগে আরটিআই পৌঁছয়নি তা হলে ওই বিভাগের পিআইও সঠিক বিভাগের কাছে আরটিআইটি পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ। এর পরেও আরটিআই করার ৩০ দিনের মধ্যেই উত্তর আসার কথা।
গ) যদি আপনার মনে হয় সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে আপনাকে দুর্ভোগ পোওয়াতে হতে পারে তা হলে আরটিআইটি ডাকযোগেও পাঠাতে পারেন। রেজিস্ট্রি করে বা স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তা পাঠান যাতে আপনার কাছে তাঁর রেকর্ড থাকে। ‘পেয়ি’-র (কাকে ফি দেওয়া হচ্ছে) জায়গাটি ফাঁকা রেখে আরটিআইয়ের ফি পোস্টাল অর্ডার করে পাঠিয়ে দিন।
ফলাফল |
পদক্ষেপ |
১. কোনও যোগাযোগ করা হয়নি কিন্তু কাজ হয়ে গিয়েছ। |
কিছু না |
২. যথাযথ তথ্য |
কিছু না |
৩. কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি বা অসংশ্লিষ্ট তথ্য |
কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি)-তে অভিযোগ করুন। |
৪. অসম্পূর্ণ তথ্য (৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে) |
৩০ দিনের মধ্যে প্রথম আপিল করুন অথবা সিআইসিকে জানান। |
৫. আরটিআই করতে দেওয়া না হলে |
৯০ দিনের মধ্যে সিআইসিকে জানান। ক্লাব বিল্ডিং, ওল্ড জেএনইউ ক্যাম্পাস, (মুনিরকার কাছে), দিল্লি ১১০০৬৭
|
যদি আপনার আপিল কার্যকর হয় তা হলে পিআইওকে প্রতি দিন ২৫০ টাকা হিসাবে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার
সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট
জেলা বর্ধমান
সিভিল লাইন্স, পশ্চিমবঙ্গ
১০ মার্চ ২০১৩
বিষয় : তথ্যের অধিকার আইন ২০০৫ অনুসারে আবেদন নাজমা খাতুনের বার্থ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত আবেদনের ব্যাপারে তথ্যের জন্য
মহাশয়,
এই আরটিআইয়ের জন্য আমি আলাদা করে ১০ টাকা ফি জমা করছি।
যদি আপনি মনে করেন আমার আবেদন আপনার বিভাগের অধিকারভুক্ত নয়, তা হলে তা হলে দয়া করে ২০০৫-এর তথ্য জানার অধিকার আইনের ৬(৩) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এবং ২০০৫-এর তথ্য জানার অধিকার আইনের ধারা অনুসারে দয়া করে প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষের নাম ও পদ-সহ বিশদ জানান, উপরের প্রার্থিত উত্তর সন্তোষজনক না হলে যাঁর কাছে প্রথম আপিল করতে পারব।
ধন্যবাদান্তে,
শেখ মোক্তার
২৩১ ঝাউতলা রোড
কলকাতা-৭০০০১৭
পশ্চিমবঙ্গ
টেলিফোন-৭৮৯০৩৪৫৬
বার্তাটি যেন স্পষ্ট,সংক্ষিপ্ত, সহজ, শক্তিশালী এবং ক্ষমতাসম্পন্ন হয়। এটি অবশ্যই উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে তৈরি করতে হবে।
এক বার যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয় বা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয় তবে তার ক্লিপিং বা ভিডিও রেকর্ডিং সযত্নে রেখে দিন এবং পরের বার সহায়তা করার প্রয়োজন হলে সেটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন।
সূত্র : ইএইচএ ম্যানুয়াল ফর এনজিওস ওয়ার্কিং ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল
ভারতের সংবিধান দেশের সমস্ত শিশুদের মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশু উন্নয়ন বিভাগ দেশের ১৮ বছরের কম বয়সি ২.৯৯কোটি জনসাধারণের (২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ) স্বাস্থ্যকর জীবন ও নিরাপদ শৈশবযাপন যা ভবিষ্যতের মর্যাদাবান ও ফলপ্রুসূ বয়স্ক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আবশ্যক সেই অধিকার সুনিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই বিভাগের কাজকর্ম শিশুদের জন্য জাতীয় নীতি ,২০১৩দ্বারা পরিচালিত হয়। সকল শিশুদের সমতা ,মর্যাদা ,নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা সহ বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার অধিকার রক্ষা ও সম্প্রসারণের জন্য আইনপ্রণয়ন ,নীতিনির্ধারণ বা অন্য উপায়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ এই বিভাগের দায়িত্ব।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এই বিভাগ স্টেট অ্যাকশন প্ল্যান ফর চিলড্রেন ২০১৪-২০১৮(SPAC) - এর সূত্রপাত করে। এই ধরণের পরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম। শিশুদের জন্য ইতিবাচক কাজের দায়িত্ব বিস্তারিতভাবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে SPAC শিশুদের অধিকার কার্যকর করার চলিত কাঠামোকে ব্যবহার করে থাকে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্প কার্যকর করা ,তৎসহ পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রয়োজনের ভিত্তিতে ও জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই ধরণের দায়িত্ব প্রতিপালিত হয়।
SPAC-র কাজকর্ম লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক। নজরদারি করার ৫৪টি সূচক এতে আছে যা শিশুদের জন্য ভারতের জাতীয় কর্মসূচি এবং ধারণীয় উন্নয়নের লক্ষ্যের (কর্মসূচি ২০৩০) প্রতি দেশের অঙ্গীকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। রাজ্যের মুখ্যসচিবের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের দ্বিবার্ষিক সভাগুলির মাধ্যমে এই লক্ষ্যমাত্রার উপরে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। একইভাবে মালদা এবং পুরুলিয়া জেলার ক্ষেত্রে ডিসট্রিক্ট প্ল্যানস অব অ্যাকশন (২০১৪-১৮) চালু করা হয়েছে। SPAC-এর কাজের ধারায় UNICEF-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখা প্রধান পদ্ধতিগত সহযোগীর ভূমিকা পালন করে থাকে।
SPAC-এর পোর্টাল তৈরির কাজ বর্তমানে হাতে নেওয়া হয়েছে। এই পোর্টালটি হবে সংশ্লিষ্ট মানুষজনের জন্য তৃণমূল স্তর থেকে রাজ্যস্তরের তথ্যাবলির নজরদারির জন্য একটি সুসংহত স্থান। শিশুদের অধিকারের প্রসঙ্গে তথ্য চলাচল তৎসহ প্রাসঙ্গিক নীতিগুলি নিয়ে মতবিনিময়ের ক্ষেত্র হিসেবেও কাজ করবে এই পোর্টাল।
এই বিভাগ সুংহত শিশুবিকাশ পরিকল্প (ICDS) অধিকরণ ,শিশুদের অধিকার ও পাচার বিষয়ক অধিকরণ এবং সুসংহত শিশু সুরক্ষা পরিকল্প অধিকরণ -এর মাধ্যমে এবং নিজে বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পন্ন করে চলেছে।
সুসংহত শিশুবিকাশ পরিষেবা পরিকল্প (ICDS)-এর ব্যবস্থাপন এই বিভাগের প্রধান কাজগুলির অন্যতম। এটি ভারতের পথিকৃৎ পরিকল্প যাতে ছয় বছরের নীচে শিশুদের পুষ্টি ও বিকাশ তৎসহ গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মহিলাদের পুষ্টির দিকটি দেখা হয়। পরিকল্পের রূপরেখায় প্রদত্ত সংস্থান অনুসারে এই বিভাগ বিভিন্ন পরিষেবার মান বৃদ্ধির জন্য এবং পশ্চিমবঙ্গের মা ও শিশুদের পুষ্টি ও বিকাশের বিশেষ প্রয়োজনের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের ৭টি জেলায় বয়ঃসন্ধি পর্বের মেয়েদের অপেক্ষাকৃত উন্নত স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য কাজ করে চলেছে সবলা পরিকল্প। এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকালীন রক্তাল্পতার সমস্যার উপর। এই পরিকল্প জীবনশৈলী শিক্ষা ,বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ,সচেতনতা এবং তথ্য দিয়ে তাদের সমৃদ্ধ করেছে। বয়ঃসন্ধি পর্বের মেয়েদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের পথিকৃৎ পরিকল্প সবলা এবং কন্যাশ্রী নারী উন্নয়ন বিভাগ রূপায়িত করছে। স্কুলছুট মেয়েদের স্কুলে ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং কন্যাশ্রীর মাধ্যমে তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে যে মেয়েরা এবং কন্যাশ্রীর সুবিধাও পাচ্ছে তাদের সবলা পরিকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
অসহায় ও সামাজিকভাবে অনগ্রসর পরিবারসমূহের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত স্থিতির উন্নতির জন্য বাকুঁড়া,জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় 'ইন্দিরা গান্ধী মাতৃত্ব সহযোগ যোজনা ' শিরোনামে একটি শর্তাধীন নগদ হস্তান্তর পরিকল্পের অধীনে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদাত্রী মহিলারা নগদ অর্থ লাভ করছেন।
শিশুবিকাশ বিভাগের প্রবীণতম অবশ্যপালনীয় বিষয় হল শিশুসুরক্ষা এবং শিশু অধিকার ও পাচার অধিকরণের মাধ্যমে সুসংহত শিশুসুরক্ষা পরিকল্প বাস্তবায়ন করে।২০১০ সালে রাজ্য শিশু সুরক্ষা সমিতি (এস সি পি এস ),পশ্চিমবঙ্গ স্থাপিত হয় এবং জেলা শিশু সুরক্ষাকেন্দ্র (ডি সি পি ইউ )এর মাধ্যমে ২০টি জেলায় এই পরিকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সকল আজ্ঞাসূচক কাঠামো (চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এন্ড জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ) ও বিধিবদ্ধ সংস্থা(ওয়েস্টবেঙ্গল কমিশন ফর প্রটেকশন অব চাইল্ড রাইটস ) স্থাপন করা হয়েছে এবং রাজ্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে সুসংহত শিশুসুরক্ষা পরিকল্প (ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড প্রোটেকশন স্কিম )এর অধীনে বিভিন্ন আজ্ঞাসূচক সংস্থা (জুভেনাইল জাস্টিস হোম,মুক্ত আশ্রয়গৃহ )এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক ও অ-প্রতিষ্ঠানিকভাবে শিশুদের যত্ন তত্ববধানের পরিসর প্রসারিত করে চলেছে।এছাড়াও নিঃস্ব শিশুদের আশ্রয়প্রদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কুটির পরিকল্প (কটেজ স্কিম )চালু রয়েছে এবং এই পরিকল্পের অধীনে খাদ্য ,বস্ত্র ও চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়াও শিশুদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মানুষপাচার পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় এবং রাজ্যের নারী ও শিশুদের পাচার ও সবধরণের শোষণের বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ,সুরক্ষা ও মামলার ক্ষেত্রে শিশুবিকাশ বিভাগ নোডাল বিভাগ হিসাবে কাজ করে থাকে।রাজ্য উপদেষ্টা সমিতির কর্তৃত্বে বিভাগ বানিজ্যিক যৌন শোষণের উদ্দেশে পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি নারী শিশুদের পাচার প্রতিরোধ এবং উদ্ধার,আরোগ্য,প্রতিবাসন ও সুসংহতকরণের কাজও সম্পাদন করে থাকে।নারী ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সমন্বয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরেই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।রাজ্যব্যাপী ও দেশব্যাপী কার্যক্রমের রূপরেখাগুলির পরিমার্জনে,পাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে এক রাজ্য-পরিকল্পনা,প্রধান গন্তব্য রাজ্যগুলির সঙ্গে সমঝোতাপত্র এবং শিশু অধিকার,নিরুদ্দিষ্ট শিশু ও পাচার হওয়া ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কিত রাজ্য ও জেলার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিরবিচ্ছিন্ন দক্ষতাবৃদ্ধির বিষয়গুলিও এই পদক্ষেপসমূহের অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন তথ্যভান্ডার বা ডেটাবেসের মাধ্যমে তথ্য ব্যবস্থাপন ও তথ্য সংগ্রহের কর্মকান্ড কার্যকর করা হয়। হারিয়ে যাওয়া ও উদ্ধার হওয়া শিশুদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের /কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে সংযোগ সাধনের উদ্দেশ্যে www.trackthemissingchild.gov.in নামে একটি শিশু অনুসন্ধান পোর্টালের সুবিধা চালু আছে।
উৎস: শিশু উন্নয়ন বিভাগ , পশ্চিমবঙ্গ সরকার
চারটি পরিদপ্তর নিয়ে গঠিত হয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। এগুলি হল – তথ্য, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র এবং পুরাতত্ত্ব ও জাদুঘর। এই পরিদপ্তরগুলির উদ্দেশ্য হল – বিভিন্ন গণমাধ্যমের দ্বারা রাজ্য সরকারের ক্রিয়াকলাপ এবং সাফল্যের প্রচার করা, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী এবং বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সচেতন রাখা, লোকসংস্কৃতি সহ বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ, পশ্চিমবঙ্গের পুরাতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, শিল্প, চলচ্চিত্র, নাটক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মান জ্ঞাপন করা, চলচ্চিত্র, থিয়েটার, নাটক ইত্যাদির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্তরীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভারতীয় এবং বিদেশী পর্যটকদের আতিথেয়তা প্রদান করা। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ আয়োজিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, শিশু চলচ্চিত্র উৎসব, চলচ্চিত্র শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে। ফিল্মসিটি নির্মাণ সহ রাজ্যের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিবিধ কার্যকলাপে নিয়োজিত থাকে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ।
তথ্য পরিদপ্তর বিভিন্ন প্রদর্শনী, আতিথিয়তা এবং প্রোটোকল, রাজ্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, নিউজব্যুরো, গ্রামীণ তথ্য, প্রকাশন এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজে ব্যাপৃত থাকে।
সারাবছর ধরে বাল্যবিবাহ এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি পালন। এই সরকারের দু বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রত্যেক জেলা এবং মহকুমা অফিসে দু দিন ব্যাপী প্রচার কর্মসূচি পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ‘উন্নয়নের পথে, মানুষের সাথে’ নামক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সরকারের সাফল্যের প্রতি আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানগুলিতে লোক সংস্কৃতির বিবিধ নিদর্শন তুলে ধরা হয়।
• ম্যানুস্ক্রিপটের ডিজিটাইজেশন
• বাংলার বিশিষ্ট লেখকদের চিঠি এবং পান্ডুলিপির ডিজিটাইজেশন সম্পূর্ণ হয়েছে।
• প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগদান
• ২০১২-য় নিউদিল্লিতে ১২ বছর পর পশ্চিমবঙ্গ প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগদান করে। প্যারেডে পুরুলিয়ার ছৌ – নাচ কে থিম করে তৈরি হওয়া পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রথম স্থান অধিকার করে। এদিন পুরুলিয়ার শিবশক্তি ছৌ নাচ অ্যাকাডেমির জোদাহরম কুমার এবং সম্প্রদায় তাঁদের নৃত্য প্রদর্শন করেন। নিউদিল্লির রাষ্ট্রীয় রঙ্গশালা ক্যাম্পে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা দপ্তর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুরুলিয়ার ছৌ নাচের দলটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
বাংলার লোকশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে রাজ্যজুড়ে সহস্রাধিক লোকশিল্পীর নাম নথিভুক্ত করে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিল্পীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বহাল ভাতা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচিতে লোকশিল্পীদের কাজে লাগানোর এবং জীবন নির্বাহের লক্ষ্যে তাঁদের নাম নথিভুক্তকরণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
• বিভিন্ন ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা প্রদান
• প্রচলিত আইনের সংশোধনী প্রস্তাব এনে নেপালি, উর্দু, হিন্দি, অলচিকি, ওড়িয়া, সাঁওতালি এবং গুরুমুখী(পাঞ্জাবী) ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
• সম্মান প্রদান
• ২০১৩-১৪ আর্থিক বর্ষে ১৭৪টি অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত ব্যাক্তিত্বদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করা হয়েছে।
• নতুন বিস্তীর্ণ সংস্কৃতি কেন্দ্র
• রবীন্দ্রসদন, নন্দন, বাংলা অ্যাকাডেমি ইত্যাদিকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কৃতি কেন্দ্র (Cultural Hub) নির্মাণের মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।
• সংস্কৃতি পরিদপ্তর
• জন্মবার্ষিকী উদযাপন
• বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যজুড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মদিবস উদযাপিত হয়েছে আড়ম্বরের সাথে।
• বাংলা সঙ্গীত মেলা
• ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছিল বাংলা সঙ্গীত মেলার। এই অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ১২০০জন সঙ্গীতশিল্পী যোগদান করেন।
শিল্প, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্রে সারাজীবনের অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের পুরস্কার প্রদান করেছে রাজ্য সরকার। তৃতীয় বঙ্গবিভূষণ এবং বঙ্গভূষণ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ২৪ জনকে বঙ্গবিভূষণ এবং ৬ জনকে বঙ্গভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় বারের সঙ্গীত মহা সম্মান পেয়েছেন ৩ জন শিল্পী। সঙ্গীত সম্মান পেয়েছেন ৪ জন শিল্পী ও ৬টি গোষ্ঠী যারা সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। ৪৬ জন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এবং ৪টি প্রোডাকশন হাউস কে চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য দ্বিতীয়বারের ‘মহানায়ক সম্মান’ প্রদান করা হয়েছে। টেলি মিডিয়ায় বিশেষ অবদানের জন্য ৯০ জনকে ‘টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকশিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই দপ্তরের আওতাভুক্ত বিভিন্ন অ্যাকাডেমি, কেন্দ্র এবং পরিষদ কর্তৃক ২১টি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এগুলি হল – রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (৩টি ক্ষেত্রে), নজরুল স্মৃতি পুরস্কার, বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার, বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার (২টি ক্ষেত্রে), গিরিশ পুরস্কার, দীনবন্ধু পুরস্কার, অবনীন্দ্র পুরস্কার, রামকিঙ্কর বেজ পুরস্কার, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় পুরস্কার, আলাউদ্দিন পুরস্কার, উদয়শঙ্কর পুরস্কার, গিরিজা শঙ্কর পুরস্কার, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ পুরস্কার, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা পুরস্কার, পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু পুরস্কার, সুধী প্রধান পুরস্কার, লালন পুরস্কার এবং বীণা দাশগুপ্ত পুরস্কার। রাজ্য চারুকলা পর্ষদের পক্ষ থেকে ফাইন আর্টসে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ জনকে শিল্পী মহাসম্মান, শিল্পী সম্মান, লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট, শিল্প ঐতিহাসিক – কলা সমালোচক পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রা আকাডেমি কর্তৃক বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পীদের ‘ শান্তিগোপাল এবং তপন কুমার পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে।
• স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান
• ছাত্র এবং যুবদের বিবিধ কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে রাজ্যজুড়ে স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। ২০১৪ –র ১০ জানুয়ারি কলকাতার রেড রোডে এই প্রথমবার বিবেক চেতনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
• পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাকাডেমি
• কাজী নজরুল ইসলামের অমূল্য সাহিত্যিক নিদর্শনগুলির সংরক্ষণ এবং এ বিষয়ে গবেষণার জন্য নজরুল অ্যাকাডেমি তৈরি করা হয়েছে। কোচবিহার এবং পুরুলিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাকাডেমি ‘নজরুল গীতির’র কর্মশালার আয়োজন করেছিল। নজরুল ইসলাম অ্যাকাডেমির আওতায় নজরুল ইসলামের বহুবিধ সাহিত্যের ওপর গবেষণা ইত্যাদির সুবিধার জন্য ‘নজরুল তীর্থ’ নামে একটি শিল্পকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ‘নজরুল তীর্থে’ ৪০০ আসন এবং সমস্ত আধুনিক সুবিধাযুক্ত একটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। বাংলায় শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রসারে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের স্মৃতিতে কলকাতার আলিপুরে ‘ধন – ধান্যে স্টেডিয়াম’ নির্মাণের কাজ পূর্ণ গতিতে চলছে।
• নাট্য মেলা
• মালদায় ৫টি নাট্যগোষ্ঠীকে নিয়ে ৪-৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, কল্যাণীতে ৮টি নাট্যগোষ্ঠীকে নিয়ে ৮-১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, কলকাতা এবং হাওড়ায় ৯০টি নাট্যগোষ্ঠীকে নিয়ে ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ থেকে ১ জানুয়ারি, ২০১৪ এবং আসানসোলে ৭টি নাট্যগোষ্ঠীকে নিয়ে ১৯-২৬ জানুয়ারি নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
• উদয়শঙ্করের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
• ৭ দিন ধরে নৃত্য উৎসবের মাধ্যমে উদয়শঙ্করের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪৮টি নৃত্যগোষ্ঠী যোগদান করে।
• পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ
• রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রসদন, মিনার্ভা থিয়েটার, মহাজাতি সদন এবং রবীন্দ্র মঞ্চের মেরামত এবং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। টেগোর কালচারাল কমপ্লেক্স স্কিমের আওতায় রাজ্যজুড়ে ৩২টি রবীন্দ্র ভবন / সদনের সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতই এটির উদ্বোধন হবে।
• প্রকাশন এবং ডিজিটাইজেশন
• তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ১৭ খন্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৮টি খন্ড ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি প্রকাশ করেছে। এ বছরের মধ্যে দু খন্ডে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সমগ্র প্রকাশিত হবে। সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, চিত্রকলা ইত্যাদির ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে।
• অ্যাকাডেমি
• কোচবিহারে স্থাপিত রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি কাজ শুরু করেছে। ঝাড়গ্রামে বীরসা মুন্ডা অ্যাকাডেমি এবং বীরভূমের সিউড়িতে বীরসা মুন্ডা অ্যাকাডেমি তৈরির কাজ চলছে।
• কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন মেলা এবং সাহিত্যোৎসব
• ছোট সংবাদপত্র এবং পত্রিকাগুলোকে উৎসাহ দান করতে ১১-১৫ জানুয়ারি, ২০১৪-য় কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন মেলা এবং সাহিত্যোৎসব। এই উৎসবে ৪০০টি লিটল ম্যাগাজিন যোগদান করে।
• সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবসরভাতা প্রকল্প
• বরিষ্ঠ এবং দরিদ্র শিল্পীদের আর্থিক সাহায্যার্থে রাজ্যসরকার ১৩৬ জনকে সাহিত্য এবং সংস্কৃতির অবসরভাতা এবং ২৮ জনকে বিশেষ ভাতা প্রদান করেছে।
• ষষ্ঠ শিশু কিশোর উৎসব (রাজ্যস্তর)
• বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ২০১৪-র ৫-১২ জানুয়ারি, ষষ্ট রাজ্য শিশু কিশোর উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এই উৎসবে কমপক্ষে ৬০০ ছাত্রছাত্রী যোগদান করে।
• ‘পৌষ উৎসব’ এবং বর্ষবরণ উৎসব
• কলকাতার স্ট্যান্ড রোডের জেমস প্রিন্সেপ মেমোরিয়ালে এই প্রথমবার পৌষ উৎসব এবং বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ২০১৩-র ২২-২৪ ডিসেম্বর পৌষ উৎসব এবং ৩০ ডিসেম্বর – ১ জানুয়ারি, ২০১৪ বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়।
• ধ্রুপদ উৎসব এবং আয়িবাহার
• কলকাতার স্ট্যান্ড রোডের জেমস প্রিন্সেপ মেমোরিয়ালে ধ্রুপদ উৎসব এবং আয়িবাহারের আয়োজন করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি – ১ মার্চ, ২০১৪-য় ধ্রুপদ উৎসব এবং ২ - ৩ মার্চ, ২০১৪-য় আয়িবাহার অনুষ্ঠিত হয়।
• মাটি উৎসব
• বর্ধমানের পানাগড়ে ২০১৪-র ১৪-২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় মাটি উৎসব উদযাপিত হয়।
• যাত্রা উৎসব
• উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে ৬-৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ এবং কলকাতার বাগবাজারের ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চে ৯ ই ফেব্রুয়ারি-১ মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত মোট পঁচিশ দিন ব্যাপী যাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
• নাট্যগোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা
• ২০০ টি নাট্যগোষ্ঠীকে ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ৯৮ টি সংস্থাকে মোট ২ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
• সারদা মা ও স্বামী বিবেকানন্দের পৈর্তৃক বাড়ি এবং ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত ভবনের সংস্কার
• বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃক দার্জিলিং-এ ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত রায়ভিলা ভবনের সংস্কার সাধনের জন্য এই দপ্তরের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতিধন্য রায়ভিলাকে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ী এবং বাগবাজারের ‘মায়ের বাড়ি’ এবং ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতিবিজড়িত ভবনের সংস্কার এবং সংরক্ষণের প্রকল্প সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
• চারুকলা উৎসব ও প্রদর্শনী
• ২০১৪-র ১৪-২৩ শে ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্রসদন- নন্দন চত্বর এবং অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে চারুকলা উৎসব ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল।
• চলচ্চিত্র পরিদপ্তর/ অধিকার
• রাজ্যের চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র পরিদপ্তর। সেগুলি হলঃ সিনেমা এবং টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিং-এর জন্য নতুন ফ্লোর নির্মাণ এবং পুরনো স্টুডিও ফ্লোরগুলির উন্নয়ন, দুটি ফিল্মসিটির নির্মাণ ও উন্নয়ন এবং কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও কলকাতা আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন। এই উৎসবে ভারত এবং বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা যোগদান করেন। এই চলচ্চিত্র উৎসবে রেট্রোস্পেক্টিভ, চলচ্চিত্র ডকুমেন্টারি এবং ফিচার ফিল্মের সংরক্ষণ সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করা হয়।
• টেকনিসিয়ান স্টুডিও
• চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন শিল্পকে সহায়তা করতে রাজ্যসরকার টেকনিসিয়ান স্টুডিও-এর সাধারণ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণ, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। প্রায় ৩৩.৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে চারটি নতুন ফ্লোর নির্মাণ এবং দুটি ফ্লোরকে অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত রূপে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হয়েছে। ছটি ফ্লোরের মধ্যে তিনটিতে ইতিমধ্যেই কাজ হচ্ছে, দুটি কাজের জন্য প্রায় প্রস্তুত এবং আরেকটিতে অ্যাকোয়াস্টিকস-এর কাজ চলছে। এই ফ্লোরগুলি বাংলা সিনেমার প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিনহা, উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, এবং ঋতুপর্ণ ঘোষের নামে নামাঙ্কিত। সিনেমা শতবর্ষ ভবনের সন্নিহিত প্রেক্ষাগৃহটির কাজও সম্পন্ন হয়েছে। কেবলমাত্র প্রেক্ষাগৃহটির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
• ফিল্মসিটি স্থাপন
• জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে দুটি পিপিপি মডেলের ফিল্মসিটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বারুইপুরের প্রকল্পের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জমি অধিগ্রহণ করেছে। ডাবগ্রাম প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। একজন লেনদেন সংক্রান্ত পরামর্শদাতাকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রায়োগিক সমীক্ষা এবং প্রাথমিক ডিপিআরএস সম্পন্ন হয়েছে এবং সম্মতিপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
• নন্দন
• নন্দন পশ্চিমবঙ্গের প্রধান চলচ্চিত্র কেন্দ্র এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীদের গর্ব। নন্দনে সর্বোচ্চ মানের বিদেশী এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন, প্রখ্যাত নির্দেশকদের রেট্রোস্পেকটিভ এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং সোসাল কমিউনিকেশন সিনেমা কনফারেন্স ছাড়াও ফিল্ম সোসাইটি এবং ফরেন মিশনগুলির সহযোগিতায় ২০১৩-১৪-য় বিভিন্ন চলচ্চিত্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। নন্দন এখন কলকাতার সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র রূপে প্রতিষ্ঠিত। নন্দন-এ নতুন শব্দ ও আলোক ব্যবস্থা এবং একটি আধুনিক 2K প্রজেকশন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
• সিনেমা শতবর্ষ ভবন
• ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স এই পরিদপ্তরের নিয়মিত কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে। এটি সিনেমা শতবর্ষ ভবনে আয়োজন করা হয়। ২০১৩-১৪ য় সি.সি.বি ছ’ সপ্তাহ ব্যাপী ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের আয়োজন করে। এই কর্মকাণ্ডে ৪৯ জন অংশগ্রহণ করেন এবং ২.৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। ২০১৪-১৫-তেও এই কোর্সটি প্রতিবছরের মত অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরবঙ্গে প্রায় একই রকম একটি কোর্স করানোর কথা প্রস্তাবিত হয়েছে।
• কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
• ২০১৩ এর ১০-১৭ নভেম্বর ১৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতুলনীয় সাড়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসবের উদ্বোধনী এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠান অকুস্থলে উপস্থিত দর্শক এবং টেলিভিশনের দর্শকদের দ্বারা উচ্চ প্রশংশিত হয়েছে। উৎসবে ৬০টি দেশের ১৮৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এর জন্য সরকারি বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২.০৮ কোটি টাকা। এই প্রথমবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হবে প্রতিযোগিতামূলক। ২০১৪-য় সূচনা করা হবে ‘শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ এবং ‘শ্রেষ্ঠ নির্দেশক’ প্রতিযোগিতার। সমাগত বছরগুলিতে বাকি বিভাগগুলির সূচনা করা হবে।
• কলকাতা আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
• ২০১৩-এর ২০-২৮ ডিসেম্বরে নন্দন, রবীন্দ্রসদন ও শিশিরমঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ কলকাতা আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছিল। এই উৎসবে ১৮৬টি শিশু চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
• ফিল্ম আর্কাইভ
• ফিল্ম আর্কাইভ চলচ্চিত্র পরিদপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সত্যজিৎ রায় নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি মূল পান্ডুলিপি, চিত্রনাট্য, পোষ্টার এবং এই প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র নির্দেশকের বিভিন্ন সিনেমার স্থিরচিত্র এই আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং মহানায়ক উত্তমকুমারের চলচ্চিত্র সমূহও সংরক্ষণ করবে এই আর্কাইভ। বর্তমানে আর্কাইভে ২৪৫টি ডকুমেন্টারি এবং স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ও ১৪০টি ফিচার ফিল্ম সংরক্ষিত হয়েছে। ২০১৪-১৫-য় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলির ডিজিটাইজিং প্রিন্ট এবং সংরক্ষণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
• রূপকলা কেন্দ্র
• পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক মানুষের সামাজিক চাহিদা এবং সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরেছে এমন চলচ্চিত্রগুলির সংরক্ষণের কাজে এখন ব্যাপৃত রূপকলা কেন্দ্র। ইন্দো-ইতালিয় উদ্যোগে এই কাজ চলছে)। ভিডিওগ্রাফিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ রূপকলা কেন্দ্রে নির্দেশনায় ২ বছর ব্যাপী ৬টি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। এগুলি হল – মোশন পিকচার্স ফোটোগ্রাফি, সম্পাদনা, সাউন্ড ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন এবং অ্যানিমেশন ক্রিয়েশন ও নির্দেশনা। (প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি এবং সহায়ক গ্রন্থের সাহায্য পাওয়া যায়। ২০১৪-১৫-য় পরিবর্তিত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই কেন্দ্র বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ আনানোর ব্যবস্থা করবে।
• পুরনো এবং গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রের সংরক্ষণ এবং ডিজিটাইজেশন
• চলচ্চিত্র প্রেমিক এবং সমালোচকদের আর্কাইভ এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সুযোগসুবিধা প্রদান ছাড়াও চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবনের মূল উদ্দেশ্য হল পুরনো গুরুত্বপূর্ণ সেলুলয়েড চলচ্চিত্রগুলির ডিজিটাইজেশন করা। বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের প্রায় ১০,০০০ চলচ্চিত্র আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। রাধা স্টুডিওর ইতিমধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এখানে কাজ শুরু হবে। ভবনের সন্নিহিত প্রেক্ষাগৃহটির নির্মানের কাজও শেষ হয়েছে। এটি চালু করতে শব্দ এবং দৃশ্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রী ক্রয় করে শীঘ্রই স্থাপন করা হবে।
• সিনেমা এবং টেলিভিশন শিল্পী ও শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা
• ২০১৩-১৪ য় চলচ্চিত্র এবং টেলেভিশন শিল্পী, শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিমা যোজনা চালু করা হয়েছে। এই বিমা যোজনায় বার্ষিক ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত ১৩,৬৮২ জন উপভোক্তা এই বিমা যোজনার আওতায় নথিভুক্ত হয়েছেন।
• পুরাতত্ত্ব এবং মিউজিয়ম পরিদফতর
• ১০৮টি স্মৃতিস্তম্ভ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিজারভেশন অফ হিস্টোরিক্যাল মনুনেন্টস অ্যান্ড অবজেক্টস অ্যান্ড এক্সক্যাভেশন অফ আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়ম অ্যাক্ট ১৯৫৭ অ্যান্ড রুল ১৯৬৪’ র আওতাভুক্ত স্থানসমূহের সংরক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদপ্তর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুরাতত্ত্ব ও মিউজিয়ম পরিদপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতত্ত্ব এবং মিউজিয়মে সাতটি ডিসপ্লে গ্যালারি আছে যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়কে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৬টি জেলা মিউজিয়ম এবং ২০টি গ্রামীণ মিউজিয়মকে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১৪-১৫ য় পুরাতাত্ত্বিক সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে এই পরিদপ্তর।
• অনুসন্ধান এবং খনন
• ১) পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানা এলাকার মোগলমারিতে খনন করে ষষ্ঠ শতাব্দীর বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে গুপ্তযুগের বিভিন্ন হস্তনির্মিত বস্তু।
• ২) পশ্চিম মেদিনীপুরে সুবর্ণরেখা উপত্যকা এবং মুর্শিদাবাদের অহিরণে অনুসন্ধানের কাজ গ্রহণ করা হবে।
• সংরক্ষণ
• ২০১৪-১৫ য় মোগলমারিতে খনন করে সন্ধান পাওয়া বৌদ্ধ মঠের সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়া হবে। রাজ্যের বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভগুলির সংরক্ষণের প্রকল্প ১৩তম ফিনান্স কমিশন প্লানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হুগলীর আন্তপুরে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের সংরক্ষণের কাজ এই বছরও চলবে।
ক) স্টেট আর্কিওলজিক্যাল সংগ্রহশালা- স্টেট আর্কিওলজিক্যাল সংগ্রহশালার নতুন ভবনে রয়েছে ৭টি গ্যালারি। পি.ডব্লিউ.ডি. বিদ্যুৎ সংযোগ এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করলে ভবনের তিনতলায় এছাড়াও চারটি নতুন গ্যালারি খোলা হবে। ভালোভাবে সংগ্রহশালাকে সংরক্ষণের জন্য গবেষণাগারের সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকেও উন্নততর করা হবে। পুরাতাত্ত্বিক সামগ্রীর নথিভুক্তকরণের প্রকল্পও গ্রহণ করা হবে।
খ) জেলা সংগ্রহশালা- জেলা সংগ্রহশালাগুলিকে রাজ্য সরকার নিয়মিত কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে দেখাশোনা করে। এগুলি হল – ১) বিষ্ণুপুরে আচার্য্য যোগেশ চন্দ্র পুরাকীর্তি ভবন (বাঁকুড়া জেলা সংগ্রহশালা) ২) মালদায় মালদা জেলা সংগ্রহশালা ৩) বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সংগ্রহশালা ৪) রায়গঞ্জে উত্তর দিনাজপুর জেলা সংগ্রহশালা ৫) জিয়াগঞ্জে মুর্শিদাবাদ জেলা সংগ্রহশালা এবং ৬) বাগনান আনন্দ নিকেতন কৃতীশালা (হাওড়া জেলা সংগ্রহশালা)।
গ) আঞ্চলিক সংগ্রহশালা- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জেলা সংগ্রহশালাগুলি ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে তুলে ধরতে স্থানীয় বাসিন্দা ও এনজিওগুলির সহায়তায় গড়ে ওঠা বেশকিছু গ্রামীণ সংগ্রহশালা রয়েছে। এগুলিকেও নিয়মিত বার্ষিকভাতা দেয় রাজ্য সরকার।
ঘ) সাইট সংগ্রহশালা- ২০১৪-১৫ য় পুরাতাত্ত্বিক খননস্থানগুলিতে বেশ কিছু সাইট সংগ্রহশালা গড়ে তোলা হবে। এগুলি হল- ১) উত্তর ২৪ পরগণায় চন্দ্রকেতুগড় ২) পুরুলিয়ার পাকবিরা ৩) বর্ধমানের মঙ্গলকোট ৪) মালদার জগজীবনপুর এবং ৫) পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারি। মোগলমারি এবং পাকবিরার সংগ্রহশালা নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ নিশ্চিত করা হয়েছে।
• স্মৃতিসৌধ নির্মাণ
• মুর্শিদাবাদের পলাশীর ঐতিহাসিক যুদ্ধপ্রান্তর এবং নদীয়ার চৌগাছিতে দীনবন্ধু মিত্রের বাড়িতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।
• গবেষণা এবং প্রকাশনা
• এই পরিদফতরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বই, অ্যালবাম, খননের রিপোর্ট এবং জার্নাল প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পুরাতাত্ত্বিক কার্যকলাপকে সামনে রেখে বক্তৃতা, সেমিনার এবং কর্মশালার আয়োজনও করা হয়। কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরে এই পরিদফতরের পক্ষ থেকে প্রদর্শনী, সচেতনতামূলক প্রচার এবং extra mural activity-র আয়োজন করা হয়। জগজীবনপুরের পাথরের ভাস্কর্য এবং টেরাকোটার ফলকের ক্যাটালগ যা এখন স্টেট আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়মে রয়েছে তা এই বছরের মধ্যে প্রকাশিত হবে।
২০১৪-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ১৬৬টি স্থানকে হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করেছে। ২০১১-র জুন থেকে ১৩টি হেরিটেজ সাইটের পুণরুদ্ধার ও সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ১৩টির মধ্যে ১০টি প্রকল্পের কাজ ২০১৪-র ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ৩টি প্রকল্পের কাজও শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এটি উল্লেখযোগ্য যে, ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতিধন্য রায়ভিলাকে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করেছে। ২০১৩-র ২২ নভেম্বর কমিশন ডেনমার্কের জাতীয় মিউজিয়ম এবং হুগলি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার বিষয় ছিল – ‘শ্রীরামপুরে ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং পর্যটনের প্রসার’। ডেনমার্ক এই সাইটের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তারা আরও যৌথ প্রকল্প, প্রশিক্ষণ শিবির ইত্যাদি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডাচ সরকারও হেরিটেজ কমিশনের কর্মশালায় যোগদান করেছে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। হেরিটেজ কমিশন বর্তমানে অর্থনৈতিক স্বশাসন লাভের উদ্দেশ্যে ওয়েস্টবেঙ্গল হেরিটেজ অ্যাক্ট ২০০১ এ সংশোধনী আনার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে।
সূত্র: পশ্চিমবঙ্গে সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/29/2020