অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

নীতিসমূহ

নথিপত্রে নিজের সই-ই শেষ কথা

গেজেটেড অফিসার বা নোটারি পাবলিককে দিয়ে নথিপত্র ‘অ্যাটেস্টেড’ বা প্রত্যয়িত করিয়ে নেওয়ার ঝক্কি আর পোহাতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে ‘সেল্ফ অ্যাটেস্টেশন’ বা স্ব-প্রত্যয়িত নথিপত্র পেশের প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও।

স্কুল-কলেজে ভর্তি, চাকরি কিংবা বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজে নথিপত্র দেওয়ার আগে ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের দিয়ে বাধ্যতামূলক ভাবে সেগুলো ‘অ্যাটেস্টেড’ বা প্রত্যয়িত করিয়ে নেওয়ার প্রথা দীর্ঘদিনের।‘এফিডেফিট’ বা এবং হলফনামা দেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে সেই নিয়ম। এই ব্যবস্থায় হয়রানি ও সময়ের অপচয় থেকে রেহাই দিতেই দেশ জুড়ে স্ব-প্রত্যয়নের বন্দোবস্ত হচ্ছে। শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে এই নতুন প্রক্রিয়া চালু হবে। অর্থাৎ ওই দিন থেকে বিভিন্ন সরকারি কাজে তথ্যপ্রমাণের নথিতে নিজের সই এবং ঘোষণাই যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে। এ দিনের বৈঠকের পরে নবান্নে এ কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। আমরা মা-মাটি-মানুষের সরকার। আমরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যালেন্ডার করেছি। পরিষেবা অধিকার আইন করেছি। মানুষের জন্য এই আইনের প্রয়োজন আছে। এই সিদ্ধান্ত মানুষের কাজে লাগবে।’

নবান্ন সূত্রের খবর, ইউপিএ সরকারের আমলেই কেন্দ্রের দ্বিতীয় প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে অ্যাটেস্টেশন প্রক্রিয়া সরলীকরণের সুপারিশ করা হয়েছিল। পঞ্জাবের মতো কিছু রাজ্য ইতিমধ্যে ওই নিয়ম চালু করেছে।

স্ব-প্রত্যয়ন কোন কোন ক্ষেত্রে

প্রাথমিক ভাবে স্কুল-কলেজে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও মালিকানা হস্তান্তর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১ ডিসেম্বর থেকে স্ব-প্রত্যয়ন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন বৃত্তির জন্য বা সরকারি ফ্ল্যাট বুকিংয়ের জন্য আয়ের শংসাপত্র, ক্লাব বা খেলোয়াড়দের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া, সরকারি ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর কিংবা দমকলের ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে-হলফনামা দিতে হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে তা-ও দিতে হবে না।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, ১৭ জুলাই রাজ্যগুলির প্রতি তাদের প্রথম নির্দেশে দ্রুত ‘সেল্ফ অ্যাটেস্টশন’ প্রক্রিয়া চালু করার সুপারিশ করে। তার পরে ওই প্রক্রিয়া চালু করার পথে হেঁটেছে মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো রাজ্য। কেন্দ্রের প্রশসনিক সংস্কার ও জন অভিযোগ মন্ত্রকের ওই প্রস্তাব মেনে রাজ্য সরকার জুলাইয়েই সেল্ফ অ্যাটেস্টেশন প্রক্রিয়া চালু করার কাজে নামে। কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর ২৫ জুলাই রাজ্যের সব দফতরকে চিঠি দিয়ে জানতে চায়, সংশ্লিষ্ট দফতরে এই ব্যাপারে কী রীতি-রেওয়াজ চালু আছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সেল্ফ অ্যাটেস্টেশন অনুমোদন করতে পারে।

সব ক্ষেত্রে অবশ্য এখনই স্ব-প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে না। আইনি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত দাবি-সহ যে-সব ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে, তাতে সরকারি গেজেটেড অফিসারদের দিয়েই প্রত্যয়ন এবং হলফনামা দাখিলের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখছে রাজ্য।

কিন্তু কেউ যদি স্ব-প্রত্যয়ন বা স্ব-ঘোষণায় অসত্য তথ্য দেন?

‘আমরা মানুষকে বিশ্বাস করছি। যাতে বিপদে পড়তে না হয়, সেই জন্যই তাঁরা ঠিক তথ্য দেবন,’ পরিষ্কার বলে দিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী। আর রাজ্য প্রসাশনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, নথিতে মিথ্যে বললে সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে পারে — এমন কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে স্ব-ঘোষণাপত্রে রাখতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবেই। এর বয়ান খুব শীঘ্রই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে সরকার। আর ভুয়ো তথ্য দাখিল করে যদি কেউ কোনও রকম সুযোগ সুবিধা নেন, ধরা পড়লে তত্ক্ষণাৎ তা বাতিল হয়ে যাবে।

সামাজিক ন্যায়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

নয়াদিল্লি : পানীয় জলের অভাব থেকে শিশুদের অপুষ্টি, স্কুলের মিড ডে মিল থেকে চিকিত্সা সংক্রান্ত সুযোগসুবিধা, নিত্যি দিনের এমন সব খুঁটিনাটি দিকগুলো নিয়ে নালিশ জমলে বিচারের উপায় জনস্বার্থ মামলা। কিন্তু সারা বছরে এই ধরনের বিষয় নিয়ে যত মামলা রুজু হয়, তার অনেকগুলিরই নিষ্পত্তি হয় না। ধারে ও ভারে অন্যান্য মামলার তুলনায় কিছুটা পিছিয়েই থাকে সামাজিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে হওয়া এই মামলাগুলি। বিচারের বাণী নীরব থেকে যায় বছরের পর বছর। দেশের সংবিধান মানুষকে যে সার্বিক ন্যায়বিচারের অধিকার দিয়েছে, তার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্য আছে এই বিচারব্যবস্থার? প্রশ্ন তুলল খাস সুপ্রিম কোর্ট৷

সমস্যার সমাধানে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ করেছেন প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর৷ সামাজিক ন্যায় ও অধিকার সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি ও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এক বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দুই সদস্যের এই বেঞ্চের কাজ শুরু করার কথা আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে।

নতুন এই ‘সোশ্যাল জাস্টিস বেঞ্চ ’-এর সদস্য হবেন দু’জন বিচারপতি, মদন বি লোকুর ও ইউ ইউ ললিত। ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার দুপুর দু’টো থেকে এই বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি বিবৃতিতে এই বেঞ্চে কী ধরনের মামলার শুনানি হবে, তা উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ, নিরাপদ পানীয় জলের সরবরাহ, স্কুলের মিড ডে মিলের মতো বিষয়গুলিকে আলাদা করে নজর দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ। এ বিষয়ে আদালতে ঝুলে থাকা মামলাগুলি যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করবে নতুন বেঞ্চ। পাশাপাশি নতুন করে রুজু হওয়া বিভিন্ন মামলারও শুনানি হবে। শীর্ষ আদালতের ওয়বেসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতের মানুষকে যে ত্রিমাত্রিক ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সামাজিক ন্যায়বিচার তার অন্যতম। কিন্ত্ত বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই আদর্শ বজায় থাকে না। কারণ সমাজ এবং সমাজের নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় হওয়া মামলাগুলি কখনও এতই দীর্ঘমেয়াদি হয়, যে তা অবিচারের সামিল হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতার প্রায় সাত দশক পরেও তাই দেশের জনগণ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সামাজিক অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সামাজিক সুরক্ষার বিষয়গুলি অনেকটাই অবহেলিত। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর তা মিথ্যাও নয়। কেবলমাত্র সামাজিক ন্যায় ও অধিকার সংক্রান্ত মামলাগুলিরই শুনানি হতে পারে, এমন একটি বেঞ্চ গঠন করা কি এ বার বিচারব্যবস্থায় দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ইঙ্গিত?

জাতীয় জীবিকা নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি

ভারত সরকার কিছু দিনের মধ্যেই জীবিকা সংক্রান্ত সমীক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন পদ্ধতি চালু করতে চলেছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি এবং জীবিকায় মহিলাদের অবদানকে অনেক নির্দিষ্ট ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে। এই পদ্ধতিতে প্রতি ঘণ্টার হিসেবে মহিলাদের কাজের বিশদ হিসেব রাখা হবে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতর এই ‘টাইম-ইউস সার্ভে’ অর্থাৎ ‘সময়-ব্যবহার সমীক্ষা’ দেশের জাতীয় পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করবে।

এই পদ্ধতিতে পরিবারের বিভিন্ন সদস্য, বিশেষত মহিলারা, সারা দিনের নানা কাজে কত সময় ব্যয় হচ্ছে তার একটি বিশদ হিসেব রাখবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করেও এই তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র একটি বিশেষজ্ঞ দল নিযুক্ত করেছে। এই দল ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কাজের ও সেই কাজের যথাযথ উৎপাদন মূল্যের একটি তালিকা তৈরি করেছেন যেটি সমীক্ষার নতুন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হবে।

অনেক পরিসংখ্যানবিদ মনে করেন, এখন যে পদ্ধতি মেনে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন (জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থা) জীবিকা সংক্রান্ত তথ্যের সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে থাকে তাতে জীবনধারণের জন্য যে বিভিন্ন ধরনের কাজ দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা, করে থাকেন, তার সঠিক হিসেব হয় না। মহিলারা সংসারে অর্থনৈতিক ভাবে উৎপাদনশীল অনেক কাজ করে থাকেন যা কিনা অন্তরালেই থেকে যায়। ‘টাইম-ইউস সার্ভে’ অর্থাৎ ‘সময়-ব্যবহার সমীক্ষা’ পদ্ধতিতে এই সব কাজের বিশদ খতিয়ান সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) হিসেবও আরও সঠিক ভাবে করা যাবে।

ঠিক কবে থেকে এই নতুন পদ্ধতি চালু হবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে এটি চালু করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

তবে খুব শীঘ্রই যাতে এই পদ্ধতি চালু করা যায় তার জন্য‌ সর্বস্তরে চেষ্টা চলছে। নীচু তলা থেকেও সত্বর এই পদ্ধতি চালু করার জন্য‌ চাপ আসছে। মানুষের কাছে ইতিমধ্য‌েই এই পদ্ধতির ভালমন্দের খবর পৌঁছে গিয়েছে।

তবে খুব শীঘ্রই যাতে এই পদ্ধতি চালু করা যায় তার জন্য‌ সর্বস্তরে চেষ্টা চলছে। নীচু তলা থেকেও সত্বর এই পদ্ধতি চালু করার জন্য‌ চাপ আসছে। মানুষের কাছে ইতিমধ্য‌েই এই পদ্ধতির ভালমন্দের খবর পৌঁছে গিয়েছে।

চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করতে চলেছে রাজ্য‌

চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷‌ মঙ্গলবার বিধানসভায় এ খবর জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক৷‌ তিনি জানান, চা-শ্রমিকদের এই ন্যূনতম মজুরি কী হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে একটি কমিটির ওপর৷‌ এই কমিটিতে মালিক, সরকার, শ্রমিক– প্রত্যেক পক্ষের ৮ জন করে প্রতিনিধি থাকবেন৷‌ আগামী ১৬ মার্চের আগেই এই কমিটি তৈরি করা হচ্ছে৷‌ এবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে চা-শ্রমিকদের সর্বাধিক মজুরি বেড়েছে৷‌ দার্জিলিং পাহাড়ে ৪২ টাকা এবং তরাই ও ডুযর্াস অঞ্চলে ৩৭ টাকা মজুরি বেড়েছে৷‌ চটকল বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রমমন্ত্রী জানান, শ্রম দপ্তরের তৎপরতায় এখন ডেল্টা ছাড়া সব চটকলই খোলা৷‌ বিধায়ক গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির জিজ্ঞাসা, ১৪১টি কারখানা বন্ধ কেন? বাসুদেব খাঁ সরকারকে সবচেয়ে অস্বস্তিত্বে ফেলেছেন৷‌ তিনি জানতে চান, যাঁরা বহু বছর ধরে এমপ্লয়মেন্ট এ‘চেঞ্জে নাম লিখিয়েছেন তাঁদের কী হবে? শ্রমমন্ত্রী বলেছেন এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে সবাইকে নতুন করে নাম লেখাতে হবে৷‌ বেকার ভাতা কিংবা চাকরির ডাক পেতে গেলে এটাই নতুন পদ্ধতি৷‌ বাসুদেব খাঁ পরে বাইরে বলেন, এমপ্লয়মেন্ট এ‘চেঞ্জে নাম লেখানো চাকরিপ্রার্থীরা সিনিয়রিটি হারাচ্ছেন৷‌

সূত্র : আজকাল, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate