অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বিয়ে রুখে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছে অঙ্কিতা

বিয়ে রুখে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছে অঙ্কিতা

পাঁচ বোনের সব চেয়ে ছোট সে। কিন্তু চার দিদি যা পারেনি, সেটাই করে দেখাল জামশেদপুরের অঙ্কিতা খেওয়াত। বিয়ের বয়স না হলেও বাবা-মার কথা শুনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন চার দিদি। কিন্তু তার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছে, তা শোনার পরই কার্যত জেহাদের পথে হাঁটল ওই নাবালিকা। সোজা পৌঁছল থানায়। মা, বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগও লিখল। তার জেরেই বিয়ে আটকে গেল ১৭ বছরের মেয়েটির। এবার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছে অঙ্কিতা।

জামশেদপুরের সিতারামডেরা থানা এলাকার কল্যাণ নগরের বাসিন্দা অঙ্কিতা খেওয়াতের পরিবারে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। বাবা বুধি খেওয়াত সাকচি এলাকায় ফেরিওয়ালা। এক চিলতে ঘরে পড়াশোনার পরিবেশ নেই বললেই চলে। কিন্তু সে সব ভুলে পঠনপাঠন চালিয়ে গিয়েছে অঙ্কিতা। এ বছর ম্যাট্রিক পরীক্ষাও দিয়েছে সে।

অপেক্ষায় ছিল রেজাল্টের। আচমকা বুধি তাকে জানান, পড়াশোনা অনেক হয়েছে। ভাল পাত্র পাওয়া গিয়েছে। আগামী মাসে বিয়ের দিনও পাকা করে ফেলা হয়েছে।

থানায় অভিযোগ লেখার পর অঙ্কিতা জানায়, সে কথা শুনেই সে প্রতিবাদ করে। কিন্তু মা, বাবা কোনও কিছুই শুনতে রাজি হননি। তখন ঘর থেকে পালিয়ে সে চলে যায় তার দিদি সুলোচনার বাড়িতে। দিদিকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছয় জামশেদপুরের এসএসপি অনুপ টি ম্যাথুর অফিসে। ম্যাথু অফিসে না থাকায় তাঁর অফিস থেকে অঙ্কিতাকে পাঠানো হয় ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) বি এন সিংহের কাছে। সেখানেই সে অভিযোগ লেখে বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। ডিএসপি ডেকে পাঠান অঙ্কিতার বাড়ির লোকদের।

থানা থেকে বেরিয়ে অঙ্কিতা কিছু বলতে না চাইলেও তার দিদি সুলোচনা বলেন, “বোন আমাকে সব কথা জানায়। বোনকে বলি আমিও পুলিশের কাছে যাব। আমরা যেটা পারিনি তুই সেটা করে দেখা। বোনের জন্য গর্ব হচ্ছে।” যদিও অঙ্কিতার বাবা বুধি বারবার বলতে থাকেন, “আমি মেয়ের ভালই জন্যই ওর বিয়ে ঠিক করেছিলাম। আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে। কত দিন ফেরিওয়ালার কাজ করতে পারব জানি না। তাই চেয়েছিলাম মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। পড়াশোনার কত খরচ। আমাদের মতো গরিব পরিবারের মেয়ে তা চালাতে পারবে?”

অঙ্কিতা জানিয়েছে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেক বছর ধরে সে পড়াশোনা চালাচ্ছে। ম্যাট্রিক পাশ করলে কলেজে পড়ার খরচ সে নিজেই টিউশন পড়িয়ে তুলবে। কিন্তু পড়াশোনা কোনও ভাবেই ছাড়বে না।

এসএসপি অনুপ টি ম্যাথু বলেন, “অঙ্কিতার বাবা ও দাদাদের সর্তক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফের এ রকম কোনও অভিযোগ উঠলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সুত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা , ১৮ মার্চ , ২০১৬

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/15/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate