সমাজ বিকাশের জন্য দেশের নির্দিষ্ট কিছু চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে বিকাশপিডিয়া তৈরি হয়েছে। এটি একটি জ্ঞানভিত্তিক পোর্টাল। এক-জানলা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভারতের বঞ্চিত মানুষ বিশেষ করে দরিদ্রদের কাছে তথ্য, পণ্য ও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বহুভাষিক পোর্টালটি তৈরি করা হয়েছে। জ্ঞান বিনিময়ের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পোর্টাল বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভূমিকা পালন করছে।
গরিব মানুষের সঙ্গে সরকার, নাগরিক গোষ্ঠী/বেসরকারি সংগঠন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ করে দিয়ে, বিকাশপিডিয়া দারিদ্র ও উন্নয়নের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনতে চায়। এই পোর্টালের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল দেশব্যাপী যোগাযোগের মধ্য দিয়ে পরিষেবা-নির্ভর, জনগণ-বান্ধব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে জনগোষ্ঠীর সেবায় কাজে লাগানো এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটিয়ে দেওয়া। সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্রের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত উদ্যোগের সুবিধাগুলি গ্রামীণ ভারত যখন কাজে লাগানোর পর্যায়ে চলে এসেছে, তখন বিকাশপিডিয়া স্থানীয় ভাষায় তাদের কাছে তথ্য ও পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে --- যা তাদের জীবন পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (এমইআইটি)তৈরি করা ‘ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট গেটওয়ে’ উদ্যোগের অংশ এই পোর্টালটি। এটি তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সি-ড্যাক)।
ভারত সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রকের (পূর্বতন বৈদ্যুতিন দফতর) একটি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৮ সালের মার্চে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সি-ড্যাক) তৈরি হয়। সি-ড্যাক মূলত একটি গবেষণা ও বিকাশ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান, এটি বিভিন্ন বৈদ্যুতিন ও উন্নত তথ্যপ্রযুক্তিগত পণ্য ও ব্যবস্থার নকশা তৈরি, বিকাশ ও প্রয়োগের কাজ করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত পরম (PARAM) সিরিজের সুপার কম্পিউটার।
সি-ডাক হায়দরাবাদ, , ই-নিরাপত্তা, ই-শিক্ষা, জোগান শৃঙ্খল পরিচালনা, মুক্ত উৎস সফটওয়্যার, ভিএলসিআই এবং সংযুক্ত ব্যবস্থার নকশা সংক্রান্ত গবেষণায় যু্ক্ত রয়েছে।