এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে কৃষক তাঁর সারা বছরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের সমস্ত খরচ মেটানোর জন্য ঋণ পাবেন।
এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে কৃষক যে কোনও সময় তাঁর কৃষিকাজের জন্য যে কোনও প্রয়োজনে ঋণ পাবেন। ঋণ পরিশোধ স্বেচ্ছানুসারে।
এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী (যাতে ১০ থেকে ২০ জন সদস্য আছেন) ব্যাঙ্ক থেকে বিনা জামানতে ঋণ পাবেন তাঁদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য। এ ছাড়া গোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্য ব্যাঙ্কের সহযাগ নিবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এবং গোষ্ঠীর সদস্যরা কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার, শ্যালো, বীজ ইত্যাদির যাবতীয় খরচ মেটানোর জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।
গোষ্ঠীর সঞ্চিত মূলধনের ১ থেকে ৪ গুন টাকা ঋণ হিসাবে মঞ্জুর করা হয়। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে তার সদস্যদের জন্য ঋণ মঞ্জুর করা যেতে পারে। গোষ্ঠী তার সদস্যদের যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে যেমন চিকিৎসা, বিবাহের খরচ এবং উৎপাদনের সাহায্যকারী কোনও সম্পদ ক্রয়ে ঋণ দেওয়া যায় তার সিদ্ধান্ত নেবে। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ব্যাঙ্কের সহযোগ নিবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।
দল সমষ্টিগত ভাবে ঋণ পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দেওয়া ব্যাঙ্কের ঋণের উপর সুদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী নেওয়া হয়। কিন্তু সদস্যদের ঋণের জন্য কত হারে সুদ দিতে হবে তা দলই ঠিক করবে। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে নগদে অথবা চেকে টাকা তুলবেন। ওই টাকা তিনি দলের মিটিং-এ সভ্যদের মধ্যে বিতরণ করবেন।
ব্যাঙ্কের এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল যাতে চাষিবন্ধুরা যাতে তাঁদের নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের হার বাড়াতে সক্ষম হন এবং পার্শ্ববর্তী জমিতে ভাড়া খাটিয়ে আরও আয়ের সুযোগ পান। এই প্রকল্পে নতুন ট্রাক্টর ছাড়া পুরানো সেকেন্ড হ্যান্ড ট্রাক্টর কেনার জন্যও ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
এ ছাড়া মহিলা ঋণ গ্রহীতাদের জন্য বিশেষ প্রকল্প -- স্ত্রী শক্তি ট্রাক্টর লোন; ে ক্ষেত্রে যেখানে জমি বন্ধক না রেখে ঋণ পাওয়া যায়।
এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে চাষিবন্ধুরা ব্যাঙ্ক থেকে কৃষিজমি কেনার জন্য/নিজস্ব ফার্মশেড তৈরি করার জন্য/চিকিৎসার জন্য/ছেলে মেয়ের বিবাহের জন্য এবং সর্বোপরি যখন উৎপাদিত ফসলের দাম বাজারে পাওয়া যায় না সেই সময় কাজ চালানোর জন্য ঋণের ব্যবস্থা। অনুর্বর কৃষিজমিকে উর্বর করার জন্য ঋণ
এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিগণ এবং যাঁদের কৃষি জমি নেই তাঁরা এই প্রকল্পের অধীনে ঋণ পাবেন।
এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে চাষি একক ভাবে/চাষিরা সমষ্টিগত ভাবে/ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী/সমবায় ম্যানেজমেন্ট শস্য মজুত ও সংরক্ষণ করার কাজে গুদাম তৈরির জন্য ঋণ পাবেন।
এই যোজনর মূল লক্ষ্য বর্গাদার, পাট্টাদার, ভাগচাষি, মৌখিক ইজারা চাষি। এঁদের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা করা হয় যাতে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব চাষের খরচ ও সাংসারিক খরচ মেটাতে পারেন।
এই প্রকল্পে সেই সব চাষিকে ঋণ দেওয়া হয় যাঁরা তেল জাতীয় ফসল, সবজি, ফলের চাষ করেন এবং যেখানে এই সমস্ত ফসল গুদামের ( হিমঘর ) মাধ্যমে সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এই যোজনায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়।
এই যোজনা তাঁদের জন্য যাঁরা বিভিন্ন ফসলের বীজ অন্যান্য চাষিদের নিকট হইতে কিনে ঝাড়াই বাছাই করে পরিষ্কার ভাবে সংরক্ষণ করেন।
হিমঘরের সংরক্ষণ ক্ষমতা ৫০০০ টনের উপরে হওয়া চাই।
এটা এমন একটা যোজনা যার মাধ্যমে চাষিরা তাঁদের পুরনো মহাজন-ঋণ এবং বর্তমান ফসল উৎপাদনের জন্য ঋণ ব্যাঙ্ক থেকে পেতে পারেন।
দুধ উৎপাদনের জন্য গাভী কেনার ঋণ তৎসহ শেড তৈরি করার জন্য ঋণ ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া যায়।
এই প্রকল্পে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) হাজার মুরগি কিনতে হবে। এটা একটি লাভজনক যোজনা।
টিস্যু কালচার একটি জীব-বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিগত কৌশল যার দ্বারা পরীক্ষাগারের নিয়ন্ত্রিত ও জীবাণুবিহীন পরিবেশে উদ্ভিদের নবীন কোষ, কলা অথবা কোনও অঙ্গ থেকে পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদের সৃষ্টি করা হয়।
উদ্ভিদ জগতের সঙ্গে প্রাণী জগতের বা মানব সমাজের সম্পর্ক অনেক ভাবেই ঘনিষ্ঠ। সারা পৃথিবীতে আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ বিভিন্ন ধরনের উচ্চ শ্রেণির উদ্ভিদ আছে যা থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নতুন ওষুধের সন্ধানও পাওয়া গেছে যেমন ক্যানসারের চিকিৎসায় নয়নতারা গাছের থেকে পাওয়া ভিনক্রিসটাইন বা ভিনব্লাসটাইন, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় চিন দেশের গাছ থেকে পাওয়া আর্টেমিসিনিন। তা ছাড়া গাছপালার সঙ্গে অনেক কীটপতঙ্গের জীবনও নিবিড় সূত্রে গ্রথিত। তাই সারা পৃথিবীতেই উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষণার সঙ্গে জীববৈচিত্র সংরক্ষণও ভীষণ ভাবে আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
সংকলক : ড. জে পি মণ্ডল
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/19/2020