খরগোশ অত্যন্ত নিরীহ একটি প্রাণী। দুই থেকে তিন কেজি ওজনসম্পন্ন অধিক উৎপাদনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল খরগোশ পালন বেশ লাভজনক। অল্প পুঁজি ও পরিশ্রমে খরগোশ পালন করা যায়। খরগোশের মাংস অধিক পুষ্টিমানসম্পন্ন ও চামড়া মূল্যবান পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। শিশুদের কাছে খরগোশ খুবই পছন্দের একটি পোষা প্রাণী। বেকার তরুণ-তরুণী অল্প জায়গা ও মূলধনে এ খাত থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
খরগোশ অত্যন্ত নিরীহ ও শান্ত প্রাণী। এটি পালন বেশ সহজ ও লাভজনক। কম জায়গা ও কম মূলধনের জন্য এটি হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। ছয় মাস বয়সে খরগোশ বাচ্চা দেওয়া শুরু করে। প্রতিবারে এরা ২ থেকে ৮টি বাচ্চা দেয় এবং বছরে ৪ থেকে ৬ বার বাচ্চা দেয়। তিন মাস বয়সে একটি খরগোশের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি হয়ে থাকে। এটি একটি উৎপাদনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণী। খরগোশ তৃণভোজী প্রাণী। এদের খাদ্য সহজলভ্য। অল্প পরিমাণের খাদ্য এদের চাহিদা পূরণ করে। খরগোশের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এদের গোশতে চর্বি ও কোলেস্টরলের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশ কম। খরগোশের মাংসে অন্য মাংসের চেয়ে খাদ্যমান অনেক বেশি।
খরগোশ পালনে প্রথমেই জেনে নেয়া প্রয়োজন এটি পালনের করণীয় সম্পর্কে। এদের নিরাপদে বাসস্থান, খাদ্য, প্রজনন প্রক্রিয়া, রোগব্যাধি সম্পর্কে ধারণা নিয়েই খরগোশ পালনে অগ্রসর হওয়া ভালো। খরগোশ পালন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া খরগোশ পালন সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বই বেরিয়েছে। প্রয়োজনে বইগুলো সংগ্রহ করলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
একজোড়া পূর্ণবয়স্ক খরগোশ কেনা যাবে ৪০০-১০০০ টাকায়। প্রতি মাসে এরা বাচ্চা দিতে পারে। তবে বছরে ৮ বারের বেশি বাচ্চা নেওয়া উচিত নয়। প্রতিবার এরা ২ থেকে ৮টি বাচ্চা দেয়। এই হিসেবে বছরে একজোড়া খরগোশ থেকে গড়ে ৩২ থেকে ৪০টি খরগোশ হতে পারে। পাশাপাশি ৩ মাস অন্তর অন্তর এরা পূর্ণবয়স্ক হয়ে পুনরায় এদের থেকেই আবার বাচ্চা জন্ম নেয় এর ফলে পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা রাখতে হয়। গড় হিসেবে দেখা গেছে এক হাজার টাকার একজোড়া ছয়মাস বয়সী বাচ্চাকিনে বছরে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। মাংস হিসেবে এটি যথেষ্ট চাহিদাসম্পন্ন। বিদেশে এর মাংস ও চামড়া রপ্তানি হয়।
লম্বা ৯ হাতX ১/৫ হাত থেকে ২ হাত, মেঝে ১৬ কেজি তারের জাল ৯ হাতX ১/৫ হাত।
পাতলা ও শক্ত কাঠের তক্তা দিয়ে করতে হবে।
তারের জাল দিয়ে তৈরি করতে হবে। স্ত্রী খরগোশের খাঁচায় একটি ছোট নেট বক্স দিতে হবে। এবং এর মাপ হবে ১ফুটX১ফুট, উচ্চ ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি হবে। বাক্সের একপাশ এবং উপরের অংশ খোলা রাখতে হবে।
কচি ঘাস, লতা-পাতা, শস্য দানা, গাজর, মূলা, শশা, মিষ্টি আলু, খড়কুটো, তরকারির ফেলনা অংশ, গম, কুড়া, ভুসি, খৈল, সয়াবিন, দুধ, পাউরুটি, ছোলা ইত্যাদি খরগোশের খাবার। ঘাস, শাক ইত্যাদি সব সময় শুকনা বা ঝকঝকে অবস্থায় দিতে হবে। ভেজানো গম বা ছোলা অল্প সিদ্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এর সাথে ভুসি মিশিয়ে দিলে আরো ভালো হয়।
তথ্য সঙ্কলনঃ বেঙ্গল ফার্মার, গ্রামঃ নফরচন্দ্রপুর, পোস্টঃ বেতাই, জেলাঃ নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ ৭৪১১৬৩
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/10/2021