সামুদ্রিক মৎস্যজীবীরা জীবন বিপন্ন করে মৎস্য শিকারে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেন। এবং সামুদ্রিক মৎস্য জোগান দেন। মেরিন সেক্টরে রাজ্য মৎস্য দফতর নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলো চালু করেছে।
গভীর সমুদ্রে যে সব মৎস্যজীবী মৎস্য শিকারে যান তাঁদের আইডেনটিটি কার্ড খুব প্রয়োজনীয়। পরিচিতি কার্ড না থাকলে উপকূল রক্ষী বাহিনী গ্রেফতার করতে পারে এবং তাঁরা নানা রকম হয়রানির শিকার হন। তা ছাড়া মৎস্যজীবী যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা যান বা নিখোঁজ হন তা হলে সরকারি সাহায্য পেতে তাঁর পরিবারের কোনও অসুবিধা হয় না।
মৎস্য শিকারে যে নৌকা ব্যবহৃত হয় তার লাইসেন্স এডিএফ (মেরিন) থেকে সংগ্রহ করতে হয়। ফিশিং বোটের লাইসেন্স না থাকিলে উপকূল রক্ষী বাহিনী জলদস্যু ইত্যাদি মনে করে গ্রেফতার করতে পারে। এই লাইসেন্স থাকা একান্ত জরুরি। লাইসেন্স ফি :
গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্যজীবীর মৃত্যু হলে বা তিনি নিরুদ্দেশ হলে তাঁর পরিবার এক লক্ষ টাকা অনুদান পাবে এডিএফ (মেরিন)-এর মাধ্যমে।
মৎস্যজীবীরা খুঁটি সমবায় সমিতি গঠন করে চর এলাকায় কম দামের মাছ রৌদ্রে শুকনো করে বিক্রি করেন। এই শুকনো মাছ মানুষের খাদ্য হিসাবে বা মাছের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। খুঁটি এলাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য এডিএফ (মেরিন) ওষুধ/চুন/ব্লিচিং পাউডার/ঝাড়ুদার/ডাক্তার/পানীয় জলের কল --– সব ব্যবস্থা করেন সরকারি খরচে।
এই প্রকল্পে এডিএফ (মেরিন) মৎস্যজীবীদের এলাকায় দরিদ্র মৎস্যজীবীদের জন্য গৃহ নির্মাণ / পানীয় জলের কল স্থাপন / রাস্তা তৈরি / রাস্তা মেরামত ইত্যাদি কাজ সরকারি খরচে করে থাকেন। সেভিং কাম রিলিফ স্কিমে এক জন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী ৬০০ টাকা জমা দেবেন। এক বছর পর তিনি মোট ১,৮০০.০০ টাকা পাবেন।
সূত্র : রাজ্য মৎস্য দফতর
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/25/2020