পশ্চিমবঙ্গের সবখানেরই ওষুধি গাছ বেল। বাংলা নাম বেল। হিন্দি ও উর্দূ নামও বেল। বৈজ্ঞানিক নাম Aegle marmelos এবং পরিবার Rutaceae
মাঝারী আকারের বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল উদ্ভিদ বেল।
মসৃণ। হালকা ধুসর, মাথা এলোমেলো চারপাশে শাখা প্রশাখা মেলানো। সারা দেহে কাঁটায় সাজানো। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে পাতা গজানো শুরু হয়।কচি পাতা দেখতে তামাটে ও পরিণত অবস্থায় গাঢ় সবুজ। পাতা গজানোর পর পুল ফোটে।
সবুজ পাতা শীতে ঝরে। বসন্তে নতুন পাতা গজায়। পাতার বোঁটা ছোট। তিনটি পাতা। পাতা গুলো একান্তরভাবে সাজানো। লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.। বর্শার ফলার মত প্রান্ত কোণাকৃতি। চওড়ায় ১.৫ থেকে ২ সে.মি.।
বেলের ফুল ছোট, হাল্কা সবুজ। তবে তীব্র সুগন্ধি। পাপড়ি খোলামেলা। ৪/৫টি পাপড়ি থাকে। পরাগকেশর অসংখ্য।
বেলের ফল গোল,শক্ত খোসা। কাচাঁ বেল ফল হালকা ধুসর। পাকা ফল হলুদ ও সবুজের মিশ্রণ। খোসা কাঠের মত শক্ত। ফলের ভেতর ৮ থেকে ১০ টি প্রকোষ্টে ভাগ। প্রতিটি ভাগে কমলা-হলুদ রঙের শাঁস থাকে। শাঁস গুলো সুমিষ্ট,সুগন্ধি,নরম ও আশঁ সমৃদ্ধ।
বেলের পাতা,ফুল ও ফল মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। ফলের শাঁেস রয়েছে প্রচুর শর্করা,উদ্বায়ী তেল,এ্যালকোহল,তারপিন,ট্যানিন,প্রোটিন,খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। বেলের ছালে ও মুলে রয়েছে উপক্ষার,গ্লাইকোসাইড,কিউমারিন,অত্যাবশকীয় তেল।
দীর্ঘদিনের আমাশয়ের চিকিৎসায় বেল অত্যন্ত কার্যকরী। কচি কাঁচা বেল চাকা চাকা করে কেটে রোদে শুকিয়ে বেলশুট তৈরী করে নিতে হয় প্রথমে। বেল ফল থেকে তৈরী ২/৩টি বেলশুট সন্ধ্যায় ১ কাপ জল ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে ১ মাস। এতে পুরাতন আমাশয় সম্পূর্ণ ভালো হয়। বেল পাতার পুড়িয়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মুখের র্দূগন্ধ দুর হয় ও দাতেঁর মাড়ি শক্ত সবল হয়। পাকা বেলের শাঁস জল মিশিয়ে শরবত করে খেলে বদহজম দুর হয়। হজম শক্তি বাড়ে। শরীর ঠান্ডা হয় সাথে সাথে।
তথ্য সংকলন: পোর্টাল কনটেন্ট টীম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/12/2019