‘‘বিন্নি ধানের খই আর মৌল ধানের মুড়ি
কনকচূড়ের, মোয়ার জেনো নেই কোন জুড়ি।
অসুখ-বিসুখে কবিরাজশাল পথ্যে গোবিন্দভোগ
ভূতমুড়ি ধানে সারে রক্তাল্পতা রোগ।’’
পুরোনো দিনের হারিয়ে যাওয়া দেশি ধানের গুণকীর্তন করে এ রকম কত ছড়াই না ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বাংলা সাহিত্যের বিবিধ আখরে! এক সময় এই বাংলায় চাষ হত সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি দেশজ ধান, উপচে পড়ত বঙ্গলক্ষ্মীর সমৃদ্ধ ঝাঁপি। আজকের ধানচাষের মানচিত্রে এদের অধিকাংশকেই খুঁজে পাওয়া ভার। হারিয়ে গেছে পুরোনো দিনের বহু দেশি ধান, হারিয়ে গেছে কৃষকের বংশপরম্পরাগত ঐতিহ্য। সবুজ বিপ্লবের উচ্চ ফলনশীল অলৌকিক ধানের বিপুল জোয়ারে ভেসে গেছে বাংলার চিরায়ত লৌকিক ধান ! অথচ এই সব দেশি ধানের মধ্যে যে সব অসাধারণ গুণাবলি ছিল, তার ছিটেফোঁটাও মেলা ভার আজকের এই উচ্চফলনশীল বা সংকর ধানে।
ধান এমন এক ফসল যা চাষ হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বৈচিত্রময় পরিবেশে। পরিবর্তনশীল প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ধানের অসাধারণ। তাই ধান চাষের বিস্তৃতি উত্তর গোলার্ধে ৫৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত উত্তর-পূর্ব চিন থেকে দক্ষিণ গোলার্ধে ৩৫ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিউ সাউথ ওয়েলস পর্যন্ত অর্থাৎ নিরক্ষীয়, ক্রান্তীয়-উপক্রান্তীয় থেকে নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত ধান চাষের এলাকা। খ্রিস্টপূর্ব ৬৭৫০ শতকের প্রস্তরীভূত ধানের অস্তিত্ব থেকে প্রমাণিত যে, সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয়রা ধানের সাথে পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশে যে ধান চাষ হয়, তার বৈজ্ঞানিক নাম ওরাইজা স্যাটিভা ভার ইন্ডিকা। আর ভারতবর্ষের ধানের গোলা (Rice Bowl) হল পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরের তুষারশৈল হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চল থেকে শুরু করে, দক্ষিণের সুন্দরবনের লবণাক্ত মৃত্তিকা অঞ্চল হয়ে পশ্চিমের খরাপ্রবণ লাল কাঁকুরে মাটি অঞ্চল পর্যন্ত বৈচিত্র্যময় পরিবেশে বংশপরম্পরায় চাষ হয়ে আসছে জৈববৈচিত্র্যে ভরা বাংলার লোকায়ত ধান। এই সব ধানের আছে অগুনতি প্রকারভেদ। লম্বা গাছ, বেঁটে গাছ, শক্ত কাণ্ড, দুবলা কাণ্ড, রোমযুক্ত পাতা, মসৃণ পাতা, সরু ধান, মোটা ধান, শুঁড়ওয়ালা ধান, শুঁড়বিহীন ধান, সুগন্ধী ধান, গন্ধহীন ধান, লাল-কালো-হলদে-সাদা বা খয়েরি রঙের ধান। কত বিভিন্ন জাতের ধান এ রাজ্যে পাওয়া যায়, তার সম্পূর্ণ হদিশ মেলা ভার।
বাংলার দেশজ সব ধানের অনন্যসাধারণ গুণাবলি, বৈচিত্রময় নামকরণ, প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকা -- সমস্ত কিছুই এক কথায় তুলনারহিত। এক সময় বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর (বর্তমানে পশ্চিম) জেলায় ব্যাপকভাবে চাষ হত ভূতমুড়ি নামে এক ধরনের ধান, যার ভেষজ গুণ অতুলনীয়। এই ভূতমুড়ি চালের ভাত শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায় যা রক্তাল্পতা সারাতে খুব কাজ দেয়। আগেকার দিনে তাই আসন্ন প্রসবা মহিলা বা সন্তান প্রসবের পর মায়েদের ভূতমুড়ি চালের ভাত খেতে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। তবে ভূতমুড়ি ধানের চাষ পুরোপুরি অবলুপ্ত হয়ে যায়নি এখনও। বাঁকুড়া জেলার রাণীবাঁধ, ঝিলিমিলি, আমলাশোল ও সিমলিপাল অঞ্চলের কিছু কিছু পুরোনো দিনের মানুষ বংশপরম্পরায় এখনও চাষ করেন ঐতিহ্যবাহী ভূতমুড়ি ধানের, বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতিকে। ঠিক এ রকমই আর একটি ধান মেদিনীপুরের কবিরাজশাল। নামেই প্রতিফলিত এর ভেষজ মাহাত্ম্য।
এক সময় গ্রামবাংলায় কবিরাজের ভূমিকা পালন করত এই ধান। বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ যেমন অপুষ্টি, অরুচি, ক্ষুধামান্দ্য এবং রক্তাল্পতায় দারুন কার্যকর কবিরাজশালের ভাত। এই কবিরাজশালও প্রায় অবলুপ্তির পথে। পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু নিচু অঞ্চল ব্যতিরেকে এই ধানের চাষ আর হয় না বললেই চলে। ভূতমুড়ি, কবিরাজশাল ছাড়াও বর্তমানে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বেশ কিছু দেশি ধান চিহ্নিত হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে দারুন সব ভেষজ গুণ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পূর্ব মেদিনীপুরের চাপাখুশি ও জয়াসিলেট এবং বর্ধমানের সীতাভোগ। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন এই তিনটি উচ্চ লৌহ-সমৃদ্ধ ধানের জাতকে যেগুলির মধ্যে লৌহের পরিমাণ সাধারণ উচ্চফলনশীল ধান অপেক্ষা ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি। দু’শো (২০০)-টিরও বেশি বিভিন্ন ধানের জাত (উচ্চফলনশীল, দেশি ও সুগন্ধী) নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, সুগন্ধী ও দেশি জাতের মধ্যে লৌহের পরিমাণ সর্বাধিক। সাধারণ উচ্চফলনশীল ধানের মিলিং করা প্রতি কেজি চালে যেখানে লৌহ থাকে মাত্র ৩-১২ মিলিগ্রাম, সে ক্ষেত্রে এই তিনটি দেশীয় জাতের প্রতি কেজি মিলিং করা চালে লৌহ পাওয়া গেছে ৪৫-৪৬ মিলিগ্রাম। লৌহ সমৃদ্ধ এই জাতগুলি নিয়ে দু’বছর ধরে ‘‘ফিডিং ট্রায়াল’’ করে দেখা গেছে যে, লৌহের অভাবজনিত রক্তাল্পতায় এই জাতগুলি দারুন উপযোগী।
এমনই একটি বিরল ধান দুধের সর। ২০০০ সালের প্রবল বন্যায় বা ২০০৯ সালের আয়লার পর সুন্দরবনের অতিরিক্ত লবণাক্ত অঞ্চলে যখন সব ধরনের ধানের জাত নষ্ট হয়ে গেল, তখনও দিব্যি বেঁচে ছিল এই দুধের সর জাতটি।
বাংলার লক্ষ্মীর ঝাঁপিতে বৈচিত্র্যময় ধানের এ রকম অজস্র উদাহরণের অভাব নেই। কম দিনে, কম জলে পুরুলিয়ার খরা অঞ্চলে বহুকাল ধরে চাষ হয়ে আসছে গোরা, ষাটিকা, ঝুলুর, আসনলয়া প্রভৃতি ধান। উচ্চফলনশীল জাতগুলিকেও টেক্কা দিতে পারে এমন দেশি জাতগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – কমলা, কবিরাজশাল, জামাইনাড়ু, যুগল, কেরালাসুন্দরী, বহুরূপী, পাটনাই, তালমাড়ি প্রভৃতি।
এই বাংলাতেই এক সময় বহু এলাকায় চাষ হত বিশেষ গুণসম্পন্ন বৈচিত্র্যময় এক ধরনের ধান, যার একটি খোসার মধ্যে থাকে দু’টি চাল (Double Rice)। এই জাতটি কোথাও ‘যুগল’, কোথাও ‘গৌর-নিতাই’ আবার কোথাও বা ‘লব-কুশ’ নামে পরিচিত। নাম যাই হোক না কেন, জাত একই এবং এই জাতটির প্রতিটি ধানেই কিন্তু দু’টো করে চাল থাকে না, শতকরা ৩৫-৪০ ভাগ ধানে আলাদা আলাদা ভাবে দু’টো করে চাল থাকে, আর ১০-১৫ ভাগ ধানে দু’টো চাল জোড়া অবস্থায় থাকে। যুগল ধানের ফলনও কিন্তু উচ্চফলনশীল ধানের সমতুল্য। অসাধারণ এই জাতটি হারিয়ে যেতে বসলেও, পুরোপুরি অবলুপ্ত হয়ে যায়নি। বীরভূমের কামারপাড়া, বর্ধমানের বলচাঁদ এবং হুগলির খানাকুলের কিছু পুরোনো দিনের চাষি অধিক যত্নে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই দুর্লভ জাতটিকে। এই প্রবন্ধের লেখক কয়েক বছর আগে খানাকুলের ঘোষপাড়ার কৃষিমেলা থেকে সংগ্রহ করেন দুষ্প্রাপ্য যুগল জাতটি। ঐ গ্রামেরই নবীনা এক গৃহবধূ যুগল ধানের মালা গেঁথে (নামকরণ ছিল – ‘‘একটি ধানে দু’টি চাল, সেই ধানেরই মালা’’) সুন্দর ভাবে প্রদর্শিত করেছিলেন কৃষিমেলায়। যুগল, গৌর-নিতাই বা লব-কুশ পুরোপুরি হারিয়ে না গেলেও অপর এক বিস্ময়কর ধান ‘সতীন’ (Triple-rice) বোধহয় সম্পূর্ণভাবে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। প্রকৃতির অদ্ভূত খামখেয়ালিপনায় তৈরি এই সতীন জাতটির একটি ধানের মধ্যে থাকে তিনটি চাল, একটি বড় চাল, তার দু’ পাশে দু’টি ছোট চাল। স্বামীরূপ মাঝখানের বড় চালটির দু’ পাশে ছোট চাল দু’টি, দুই-বউ/দুই-সতীন হিসেবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সহাবস্থান করে একই ঘরের (খোসার) মধ্যে। গত শতাব্দীর শেষ দশকেও বাঁকুড়া জেলার কোনও প্রত্যন্ত গ্রামে সতীন ধানের চাষের কথা শোনা গিয়েছিল কোন এক গরিব চাষির ক্ষেতে। কিন্তু হদিস মেলেনি সতীন ধানের। এখনও অধরা সতীন ধান, হয়তো বা অবলুপ্ত।
বাংলার সুগন্ধী ধানের ভাণ্ডারটিও বড় কম নয়। এক সময় এই বাংলাতেই চাষ হত কয়েকশো রকমের দেশি সুগন্ধী ধান। উচ্চফলনশীল ধানের সবুজ বিপ্লবের জোয়ারে অন্যান্য দেশি ধানের সঙ্গে ভেসে গেছে অধিকাংশ দেশি সুগন্ধী জাত। তবে অন্যান্য দেশি ধানের মতো পুরোপুরি অবলুপ্ত হয়ে যায়নি সমস্ত সুগন্ধী জাত। অসাধারণ গুণাবলির জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে বেঁচে আছে ৫০-৫৫ রকমের দেশি সুগন্ধী জাত (যদিও বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হয় মাত্র ১০-১২টি জাত)। এই সব জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তরাই অঞ্চলের কালোজিরা, কালোনুনিয়া, তুলাইপাঞ্জি, কাটারিভোগ, তুলসীভোগ, চিনিসাক্কর ইত্যাদি, গাঙ্গেয় পলিমাটি অঞ্চলের বাদশাভোগ, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, সীতাভোগ, রাঁধুনিপাগল ইত্যাদি, লাল-কাঁকুরে মাটি অঞ্চলের দানাগুড়ি, মোতিবাস, মহিষলাদান, গোলাপসরু, বাসমতি আমন ইত্যাদি এবং লবণাক্ত মৃত্তিকা অঞ্চলের কনকচূড়, দাদশাল, জামাইনাড়ু, কামিনীভোগ ইত্যাদি। বিভিন্ন ধর্মীয়, লৌকিক, সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক গুণসম্পন্নতার কারণে এই জাতগুলি এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন পুরোনো দিনের ঐতিহ্যবাহী কিছু শৌখিন চাষি।
ধানের এই বিপুল বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্য আপনা থেকে মানুষের কাছে ধরা দেয়নি। হাজার হাজার বছর ধরে এ দেশের নাম না জানা কৃষক ও কৃষি গবেষক ফলিত উদ্ভিদ প্রজননবিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে ধানের আদিম কোনও জাত থেকে পছন্দমতো নানা বৈশিষ্ট্য বাছাই করে সৃষ্টি করেছেন নতুন নতুন ধানের জাত।
সুদীর্ঘ কালের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে উদ্ভূত ধানের বিভিন্ন ধরনের জাত এক এক ধরনের জমিতে ফলনের উপযোগী। শুকনো উঁচু জমি, বন্যা প্লাবিত নাবাল জমি, বৃষ্টি নির্ভর মাঝারি জমি ও নিচু জমি, প্রতিটি উপযোগী নানান জাতের ধান আমাদের দেশে চাষ হয় (নীচের তালিকা দেখুন)।
উপযোগী জাত : ঝুলুর, বাদকলমকাটি, লাটিশাল, ষাটিকা, সাথীজ, ওড়া, মেটে
উপযোগী জাত : দুলার, আসনলয়া, চূর্ণকাটি, গোড়া
উপযোগী জাত : নাগরা, ঝিঙাশাল, ভাসামাণিক, রূপশাল, দুধের সর ও জামাইনাড়ু
উপযোগী জাত : পাটনাই, রঘুশাল, কবিরাজশাল, কলারমোচা, মরিচশাল, হোগলা, জংলীজটা, ঘেউস, চন্দ্রকান্তা
উপযোগী জাত : তিলকাছারী, আছড়া, কুমড়াগোড়
উপযোগী জাত : কলাঘেরশাল, ঘেটু, ওড়া, মেটে
উপযোগী জাত : নোনাবকরা, হ্যামিলট, মাতলা, গেটু, পোকালি, নোনাশাল
উপযোগী জাত : দুধেরসর, কক্ষ্মীদীঘল, বন্যাশাল, জল, জলকামিনী, ডুমুরকাঁদি, অগ্নিশাল, মাঝিশাল, ভূতমুড়ি
উপযোগী জাত : টেলিবোরো, চুঁচুড়াবোরো ১ ও ২, আড্ডে ধুঙ্গনশালী, রামতুলসী
উপযোগী জাত : লাটিশাল, রূপশাল, জটাকলমা, কলমা, চাঁপাখুশি, জয়সিলেট
ঠিক তেমনি, খরা, অতিবৃষ্টি, অকাল বর্ষা, অত্যধিক ঠান্ডা প্রভৃতি আবহাওয়ার নানা খামখেয়ালিপনার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া নানান জাতের ধানও আমাদের দেশে ফলেছে। ধানের এই বিভিন্ন জাত মানেই ধানগাছের বৈচিত্র্য, বংশগত গুণাবলির বৈচিত্র্য, আর এই জৈববৈচিত্র্যের ব্যাপ্তিও বিশাল। সমুদ্রতলের নীচে জোয়ারের নোনা জলে ধোয়া লবণাক্ত জমিতে ফলন দেয় এমন ধানও যেমন আছে, তেমনি হিমাঙ্কের চার ডিগ্রি নীচে, তুষারপাতের মধ্যেও দিব্যি ফলন দেয় তুষার-সহ এমন ধানও আছে দার্জিলিং হিমালয়ের ২০০০ মিটার উচ্চতায়। সেচের সুযোগবিহীন খরাপ্রবণ এলাকার ঢালু জমিতেও বেশ কয়েক জাতের ধান চাষ হয়। দক্ষিণবঙ্গের বারমেসে জলাজমিতে কয়েক জাতের ধান ফলে, যেগুলির শীর্ষ দশফুট গভীর জলের আরও ফুট দু’য়েক উপরে আন্দোলিত হয়। বাংলার পশ্চিমের জেলাগুলিতে এমন কয়েক জাতের ধান পাওয়া যায়, যাদের শীর্ষ প্রবল হাওয়াতেও ভূমিস্পর্শ করে না।
সূত্র : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংসদ ও দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020