অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

সয়াবিন রোগ নিয়ন্ত্রণ

হলুদ মোজাইক (Yellow mosaic) রোগ

রোগের কারণ

হলুদ মোজাইক ভাইরাস (Yellow mosaic Virus) দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

এ রোগ সাধারণত মাঠে কর্মরত কৃষক এবং জাব পোকার মাধ্যমে আক্রান্ত গাছ হতে সুস্থ গাছে ছড়িয়ে পড়ে।

রোগের লক্ষণ

  • সয়াবিনের সবুজ পত্রফলকের উপরিভাগে উজ্জ্বল সোনালী বা হলুদ রঙের চক্রাকার দাগের উপস্থিতি এ রোগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
  • হলদে পাতাযুক্ত আক্রান্ত গাছ সাধারণত খাটো এবং বামনাকৃতি হয়ে থাকে।
  • আক্রান্ত বীজের অংশ বিশেষ খয়েরী বা কালো কালো রংগের হয়ে খাকে ।

mozaic1

mozaic2

mozaic3
mozaic4

mozaic5

mozaic6

চিত্র: সয়াবিনের হলুদ মোজাইক রোগের লক্ষণ

রোগের প্রতিকার

  • রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করতে হবে, যেমন- বাংলাদেশ সয়াবিন-৪, বারি সয়াবিন-৫ ও বারি সয়াবিন-৬।
  • সুস্থ ও জীবানুমুক্ত বীজ বপনের মাধ্যমে এ রোগের আক্রমন কমানো যায়।
  • জমিতে এ রোগে আক্রান্ত গাছ দেখামাত্র তুলে পুড়ে ফেলতে হবে।
  • লেডিবার্ড বিটল এফিডকে খেয়ে থাকে, তাই জমিতে লেডিবার্ড বিটল ছেড়ে দিতে পারলে এ রোগের প্রকোপ কমে যাবে।
  • বাহক জাব পোকা দমনের জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড (যেমন-অ্যাডমায়ার/ইমিটাফ) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা ম্যালাথিয়ন ৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মিলি হারে পানিতে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করতে হবে।

beetle


চিত্র: লেডিবার্ড বিটল এফিড খাচ্ছে

গোড়া ও মূল পঁচা (Foot and root rot) রোগ

রোগের কারণ

স্কেলেরোশিয়াম রফসি (Sclerotium rolfsii) / ফিউজারিয়াম (Fusarium) / রাইজোকটনিয়া (Rhizoctonia) নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

গাছের চারা অবস্থা থেকে পূর্ণতাপ্রাপ্ত পর্যন্ত এ রোগের আক্রমন দেখা যায়। সাধারণত খরিফ মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী হয়।

রোগের লক্ষণ

  • চারা বা বড় গাছের পাতা হলুদ হওয়া দেখেই মাঠে এ রোগের আক্রমণ সনাক্ত করা যায়।
  • আক্রান্ত গাছের গোড়া ও মূলে খয়েরী বা কালো দাগ দেখা যায়।
  • আক্রান্ত গাছের গোড়ায় সাদা মাইসেলিয়াম এবং গোলাকার সরিষার দানার মত স্ক্লেরোশিয়াম দেখা যায়।
  • আক্রান্ত চারা বা গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় এবং অবশেষে মারা যায়।

mul1

mul2

mul3

mul4

চিত্র: সয়াবিনের গোড়া ও মূল পঁচা রোগের লক্ষণ

রোগের প্রতিকার

  • জমিতে শস্য পর্যায় অবলম্বন করতে হবে।
  • কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন + থিরাম (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে।
  • এই ছত্রাকটি সাধারণত মাটির উপরিভাগে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সুতরাং গভীর চাষের মাধ্যমে মাটি আলগা করে ৩-৪ দিন রোদে শুকিয়ে রোগের উৎস নষ্ট করে আক্রমণ কমানো যায়।
  • জমিতে ফসলের পরিত্যক্ত অংশ, আগাছা, আবর্জনা পরিস্কার করা হলে এ রোগের উৎস নষ্ট হবে।
  • অর্ধকাচা মুরগির বিষ্ঠা হেক্টর প্রতি ৫ টন হারে বীজ বপনের ২-৩ সপ্তাহ আগে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
  • কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর গাছের গোড়ায় মাটিতে ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

সূত্র ও লেখকঃ বিজ্ঞানী ড. কে. এম. খালেকুজ্জামান

সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/30/2023



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate