কজাল অরগানিজম – আমরিটোডাস অ্যাটকিনসোনি, ইডিয়াসকোপাস ক্লাইপিয়ালিস, ইডিয়াসকোপাস নিভিওসপারসাস
সব থেকে ক্ষতিকারক এই পোকাটিকে দেখতে আকারে ছোট, ডানাগুলি শক্ত ও মাথাটি বেশ বড় এবং ধূসর রঙের হয়। গাছে মুকুল আসার পর আক্রমণ শুরু হয়, তবে বছরের অন্য সময়েও আক্রমণ হতে পারে। সাধারণত এরা জানুয়ারি–মার্চের মধ্য ডিম পাড়ে, উত্তর ভারতে বছরে এরা দু’বার ডিম পাড়ে ফেব্রুয়ারি–এপ্রিল এবং জুন–আগস্টের মধ্যে। সাধারণত ফুল, কাণ্ড বা মুকুলের মধ্যে এরা ডিম পাড়ে, ফের ঝাঁকে ঝাঁকে অসংখ্য পূর্ণাঙ্গ পোকা মুকুল, কচি পাতা ও আমের গুটি আক্রমণ করে রস চুষে খায় ফলে মুকুল হলদে হয়ে শুকিয়ে ঝরে যায়। এই পোকার শরীর থেকে এক ধরনের মিষ্টি রস বের হয়। যা থেকে পরবর্তীতে ফুল ও পাতায় এক প্রকার ছত্রাকের জন্ম দেয়, এর ফলে পাতা ও ফুল কালো হয়ে যায়।
প্রথমত, বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত গাছ বা জল জমে যেন না থাকে। কারণ বেশি আর্দ্রতা এই পোকার বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল। শীতকালে গাছের গুড়িতে পোকাগুলি থাকে। এ জন্য নিম্নের যে কোনও রাসায়নিক ওষুধ দিয়ে গুড়ি স্প্রে করে ধুয়ে দিতে হবে। এ ছাড়াও কুঁড়ি বের হওয়ার আগে, তার পর মুকুল বেরোনোর সময় ২–৩ বার, ১৫–২০ দিন অন্তর যে কোনও একটি রাসায়নিক ওষুধ স্প্রে করতে হবে। যেমন এত্তোসালফান ৩৫ ইসি ১.৫ মিলি বা মিথাইল ডেমিটন ২৫ ইসি ২.০ মিলি বা কার্বারিল ৫০% ২.৫ গ্রাম বা মনোক্রটোমফস ৩৬ ইসি ১.৫ মিলি বা ইমিডাক্লোরোপিড ১৭.৮% এসএল ১ মিলি (৫ লিটার জলে) বা সায়োমিথাগ্রাম ২৫% ডব্লু জি ১ গ্রাম বা এবামেফটিন ১.৯% ইসি ২ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।
কজাল অরগানিজম - অ্যাপসিলা সিসটেল্লাটা
এই পোকার আক্রমণে গাছের ডগায় মুকুলের পরিবর্তে ছোট ছোট সবুজ রঙের পদ্ম কোরকের মতো গুটি তৈরি করে। গুটির ভিতরে ছোট ছোট প্রায় গোলাকার হালকা ঘি রংয়ের কীড়া দেখা যায়। ওই গুটি-ধরা ডালে আম হয় না, মার্চ মাসে পাতার নীচের দিকে মধ্যশিরা বরাবর এরা ডিম পাড়ে। আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গুটিগুলির সৃষ্টি হয়।
আক্রান্ত শাখা গুলি ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত গাছের গোড়ায় এপ্রিল–মে মাসের মাঝামাঝি গাছের গোড়ায় মিথাইল প্যারাথিয়ন ২% (গুঁড়ো) ২৫–৩০ কেজি/হেক্টর ছড়ালে আক্রমণের প্রাদুর্ভাব কম হয়। এ ছাড়াও, সেপ্টেম্বর মাসে শোষক পোকার ন্যায় যে কোনও একটি রাসায়নিক ওষুধধ স্প্রে করতে হবে।
কজাল অরগানিজম - ড্রোসিকা ম্যানগিফেরা
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুন–জুলাই মাস পর্যন্ত এই পোকার আক্রমণ হয়। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত মাটির ৫–১৫ সেমি গভীরে এরা ডিম পাড়ে। পরবর্তীতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে অপূর্ণাঙ্গ পোকা বের হয়ে গাছে ওঠে এবং পোকাগুলি এক জায়গায় জড়ো হয়ে গাছের নরম ডাল ও মুকুলের রস চুষে খায়। তার ফলে আক্রান্ত অংশ শুকিয়ে যায় এবং ফলন ভীষণ ভাবে কমে যায়।
বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং গ্রীষ্মকালে গোড়ার চার পাশে মাটি খুঁড়ে ডিমগুলি নষ্ট করে দিতে হবে। এ ছাড়াও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি গাছের গোড়ায় ২৫০ গ্রাম হারে মিথাইল প্যারাথিয়ন ২% গুঁড়ো প্রয়োগ করতে হবে। ডিসেম্বর–জানুয়ারি মাসে যখন পোকা গাছে ওঠা শুরু করছে তখন কার্বারিল ৫০% ডবলুপি ২.৫ গ্রাম বা নুভাক্রন ৩৬% ১.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে কাণ্ডে ভালো ভাবে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়াও, কীটগুলি যাতে গাছে উঠতে না পারে তার জন্য কাণ্ডের চার ধারে রেড়ির তেল ও রেজিন দিয়ে তৈরি মিশ্রণটি কাণ্ডের গায়ে লাগিয়ে রাখত হবে এবং দু’ ফুট চওড়া পলিথিনের চাদর গাছের কাণ্ডে লেপের মতো বেঁধে দিলে পোকাগুলি পিছলে পড়ে ওই চাদরে পড়ে যাবে এবং পরে পোকা গুলি সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
কজাল অরগানিজম - ব্যাকটোসেরা ডোরসালিস
আম পাকার সময় এরা ফলের গায়ে এক সাথে ১৫০–২০০টি ডিম পাড়ে। কয়েক দিনের মধ্যে ডিম ফুটে কীড়া বের হয়ে আমের শাঁস খেতে শুরু করে। আক্রান্ত আম ভিতর থেকে পচতে শুরু করে ও ঝরে পড়ে। ফলের চেহারা প্রথম দিকে স্বাভাবিক থাকে। পরে ফলের গায়ে গাড় বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের গোলাকার পচনশীল দাগ দেখা যাবে এবং দুর্গন্ধ যু্ক্ত হবে।
বাগান পরিষ্কার ও আবর্জনা মুক্ত রাখতে হবে। গ্রীষ্মকালে গাছের তলা ও চার পাশের মাটি লাঙল দিয়ে রোদ খাওয়াতে হবে যাতে মূককীটগুলি রোদে নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়াও আক্রান্ত ঝরে পড়া আমগুলি সংগ্রহ করে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে হবে। রাসায়নিক ওষুধের মধ্যে ম্যালাথিয়ন ৫০% ২.০ মিলি বা র্কাবারিল ৫০% ডবলুপি ২.৫৪ গ্রাম বা অ্যাসিফেট ৭৫% ডবলুপি ০.৭৫ গ্রাম ইত্যাদি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়াও বিষাক্ত টোপ ব্যবহার করেও এদের দমন করা যায় -- সোডিয়াম ফ্লুসিলিকেট (১ ভাগ) তার সাথে ঝোলা গুড় (৬ ভাগ) জলের সাথে মিশ্রণ অথবা লেড আর্সেনেট (১ ভাগ) তার সাথে ঝোলা গুড় (২৪ ভাগ) জলের সাথে মিশ্রণ।
কজাল অরগানিজম – ডিউমেশিয়া ট্রান্সভারসা
এই পোকার কীড়া বর্ধনশীল শাখার আগায় ছিদ্র করে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ৮–১০ সেমি পর্যন্ত শাখার নীচের দিকে ছিদ্র করে। এর আক্রমণের ফলে শাখা শুকিয়ে মরে যায়।
আক্রান্ত শাখা কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর নতুন শাখা গজানোর সময় কার্বারিল ০.২% , নুভাক্রন ৩৬% ১.৫ মিলি বা ডাইক্লোরেডিস ৭৬% ০.৭৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে এক দু’ বার স্প্রে করলে এই পোকা দমন করা যায়।
কজাল অরগানিজম – ডিয়ানোলিস আলবিজোনালিস
পূর্ণাঙ্গ পোকা আমের খোসার নীচে ডিম পাড়ে। কীড়া ডিম থেকে বেরিয়ে শাঁস ভেদ করে বীজে প্রবেশ করে। বত্সরে দু’বার, একবার মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ফল যখন ছোট মার্বেলের আকারে আর এক বার ও মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে ফল যখন ১৮–১০ সেমি লম্বা তখন আক্রমণ হয়। এরা সর্বদা আমের অগ্রভাগ অর্থাৎ বোঁটার উল্টো দিক থেকে প্রবেশ করে।
বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়াও রাসায়নিক ওষুধ দ্বারা দমনের জন্য এডোসালফান ৩৫% ২.০ মিলি বা মনোঘাটোফস ৩৬% ১.৫ মিলি বা কুইনালফস ২৫% ২.০ মিলি বা ক্লোরোপাইরিফস ২০% ২.৫ মিলি বা কার্বারিল বা ডাইক্লোরোভস ৭৬% ০.৭৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে ২৫ দিন অন্তর দুবার স্প্রে করতে হবে।
কজাল অরগানিজম – ব্যাক্টোসেরা রুফোমাকুলাটা
এই পোকার কীড়া (গ্রাব) গাছের কাণ্ড ও শাখায় ফুটো করে ভিতরে ঢুকে নরম অংশ কুরে খায়। আক্রান্ত অংশে যে নালির সৃষ্টি হয় তার বাইরে মল ও কাঠের গুঁড়ো দেখে এদের উপস্থিতি বোঝা যায়। আক্রান্ত শাখা শুকিয়ে মরে যায়, গাছের কাণ্ড ফোঁপরা হয়ে সহজে ভেঙে যায়।
আক্রান্ত নালিতে আলকাতরার সাথে ডিডিডিপি বা ন্যাপথেলিন মিশ্রণ ঢুকিয়ে গর্তের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও রাসায়নিক ওষুধ যেমন ফসফোমেডিন ৪০% বা মনোক্রটোফস ৩৬% ১.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে কাণ্ডে ভালো ভাবে স্প্রে করতে হবে।
কজাল অরগানিজম – স্টেরাওসেটাস ম্যানগিফেরা
নাবি জাতের ক্ষেত্রে আক্রমণ বেশি হয়। মূলত দক্ষিণ ভারতে প্রাদুর্ভাব বেশি। পূর্ণাঙ্গ মাছি ঘন বাদামি রঙের এরা আমের খোসার ওপর মটর দানার মতো ডিম পাড়ে। পরে ডিম থেকে কিড়া (গ্রাব) বের হয়ে শাঁস ভেদ করে বীজে ঢুকে যায়। ফল পাকার সময় পূর্ণাঙ্গ পোকা আঁটি থেকে বের হয়ে আসে, পূর্ণাঙ্গ পোকা সাধারণত মাটির ভিতরে লুকিয়ে থাকে পরবর্তী মরশুমের জন্য।
বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে। আক্রান্ত ফল ও আঁটি সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে নষ্ট করতে হবে বা পুড়িয়ে ফলতে হবে। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালীন চাষ দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি রোদ খাওয়াতে হবে। আর রাসায়নিক ওষুধ ফেনথিয়ন ১৫ দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হবে যখন গায়ের গুটি মার্বেল সাইজের মতো হবে।
কজাল অরগানিজম – ওইডিম ম্যানগিফেরা
শীতের সময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। ফুল থেকে ফল ধরার মধ্যবর্তী সময়ে বায়ুমণ্ডলের অধিক আর্দ্রতা তার সঙ্গে মেঘলা আবহাওয়া আর রাত্রিবেলায় উষ্ণ তাপমাত্রা এই রোগ বিস্তারের পক্ষে অনুকূল। আক্রান্ত গাছের পাতা, ফুল ও ফলের ওপর ধূসর সাদা রঙের এক ধরনের পাউডারের আস্তরণ দেখা যায়। আক্রান্ত ফুল ও ফল শুকিয়ে ঝরে পড়ে।
আক্রান্ত গাছে নিয়মিত ভাবে ছত্রাকঘটিত রাসায়নিক ওষুধ যেমন সালফার ৮০% ডব্লুপি ৩.০ গ্রাম, বা হেক্সাকোনাজল ৫% ইসি ১.০ মিলি বা ক্যাটাডোজিম ৫০% ডব্লুপি, ১.০ গ্রাম বা ট্রায়াডিমেফন ২৫% ডব্লুপি ০.৭৫ গ্রাম বা ট্রাইডেমর্ফ ৮০% ইসি ০.৫ গ্রাম বা পেনকোনাজল ১০% ইসি ০.৫ মিলি ইত্যাদির যে কোনও একটি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। প্রথম বার মুকুল বের হওয়ার সময় এবং ১০-১৫ দিন অন্তর আরও দু’বার ওষুধ দিতে হবে। মাঝারি সাইজের গাছের জন্য ১০ লি ওষুধ মিশ্রিত দ্রবণের প্রয়োজন।
কজাল অরগানিজম – সেল্লেটোট্রিকাম গ্লোওসপরিআইডেস
ছত্রাক ঘটিতএই রোগের লক্ষণ হল কচি পাতা, কচি ডালের মুকুল ও ফলের উপর গাঢ় বাদামি বা কালো দাগ দেখা যায়। ছোট ফল আক্রান্ত হয়ে কালো হয়ে ঝরে পড়ে। বড় ফলের উপর কালো ছিটেফোঁটা দাগ পড়ে। পরে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আম পাকার সময়ও পচে যায়। মেঘলা আবহাওয়া তার সাথে উচ্চ আর্দ্রতা এই রোগের অনুকূল।
এই রোগ দমনের জন্য বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে ও আক্রান্ত অংশগুলো কেটে ফেলে নষ্ট করতে হবে। এ ছাড়া কপার অক্সিক্লোরাইড ৫০% ডব্লুপি ৪.০ গ্রাম বা ম্যাঙ্কোজেব ৭৫% ডব্লুপি ২.৫ গ্রাম বা কার্বাডেজিম ৫০% ডব্লুপি ১.০ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে যে কোনও একটি ১৫ দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হবে। ফল কাটার পর জুন–জুলাই মাসে এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অবশ্যই স্প্রে করতে হবে।
কজাল অরগানিজম – সয়ডোমোনাস ম্যানগিফেরা
জীবাণুঘটিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব বর্ষাকালীন আবহাওয়ায় বেশি হয়। গাছের পাতা ও ফলের ওপর প্রথমে জলে ভেজা গাঢ় সবুজ বর্ণের ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। পরে তা কালো দাগে পরিণত হয়। পরে দাগ বরাবর ফেটে যায় ও কাটা জায়গা দিয়ে আঠা বের হয়। আক্রান্ত ফল ঝরে যায় আর ফলনও ভীষণ ভাবে কমে যায়।
স্টেপটো সাইক্লিন সালফেট (২০০ পি পি এম ) ১.০ গ্রাম প্রতি ৫ লি জলে গুলে ১৫ দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করলে এই রোগ দমন করা যায়।
কজাল অরগানিজম – ফুসালিয়াম মোনিলিফর্মা
এক ধরনের মাকড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। মাকড়টি হল অ্যাসেরিয়া ম্যানগিফেরা। ছত্রাকঘটিত এই রোগের ফলে অবিন্যস্ত মুকুল বলের আকারে দেখা যায়। নির্বীজ ফুলের ফলে ফলন কমে যায়। বোঁটার কাছে শাখার সাইজ ছোট হয়ে যায়।
আক্রান্ত শাখা কেটে ফেলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর কার্বাডাইজিম ১ গ্রাম + ইথিয়ন ১ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে ছত্রাক ও মাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ব্যাকটিপ (ম্যাঙ্গো নেক্রোসিস)
আক্রান্ত ফলের নীচের প্রান্তে প্রথমে হালকা হলদে দাগ দেখা যায়। পরে দাগ গুলো আস্তে আস্তে আকারে বেড়ে যায় ও হলুদ দাগ ক্রমে বাদামি থেকে কালো হয়ে যায়। আক্রান্ত অংশ শক্ত হয়ে যায়। ইটের ভাটা বাগানের কাছাকাছি (৭০০ গজের মধ্য) থাকলে ইট পোড়ানোর ধোঁয়ায় এই রোগটি হয়।
ইটের ভাটা কাছাকাছি না থাকা বাঞ্ছনীয়। ভাটার চিমনি ১৫–১৮ মিটার উঁচু হওয়া উচিত। সোহাগা (বোরাক্স) দু’গ্রাম প্রতি লিটার ঈষদুষ্ণ জলে গুলে ঠান্ডা জলে মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ ফুল আসার আগে, ফুল আসার পর ও সবশেষে ফল ধরার পর প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 10/30/2023