অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

গোলাপ রোগ নিয়ন্ত্রণ

কাল দাগ (Black spot) রোগ

রোগের কারণ

ডিপ্লোকারপন রোসি (Diplocarpon rosae) নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

পাতার পরিত্যক্ত অংশে জীবানু বেঁচে থাকতে পারে।

রোগের লক্ষণ

  • রোগাক্রান্ত গাছের পাতার উভয় পৃষ্ঠায় গোলাকার কাল রংয়ের দাগ পড়ে।
  • দাগগুলো একত্রিত হয়ে বড় দাগের সৃষ্টি করে।
  • আক্রান্ত গাছের পাতা ঝড়ে গিয়ে গাছ পাতা শুন্য হয়ে যায়।
  • কালো দাগ কান্ডেও দেখা যায়।

golap_kalo_01

চিত্র: গোলাপের কাল দাগ রোগের লক্ষণ

রোগের প্রতিকার

  • গাছে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল করতে হবে ।
  • গাছের অঙ্গ ছাটাই করতে হবে, যাতে গোড়ায় সুর্যালোক প্রবেশ করে।
  • গাছের অঙ্গ ছাটাই করে সেগুলো পুড়ে ফেলতে হবে।
  • জমিতে রোগ দেখা দিলে কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম হারে অথবা টেবুকোনাজল (যেমন-ফলিকুর ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে গাছে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

ডগা শুকানো (Die back) রোগ

রোগের কারণ

ডিপ্লোডিয়া রোসেরাম (Diplodia rosarum) নামক ছত্রাক দ্বারা সাধারণত এ রোগ হয়ে থাকে। অনেক সময় কোলেটোট্রিকাম এসপি. (Colletorichum sp.) নামক ছত্রাক দ্বারাও এ রোগ করে থাকে।

রোগের বিস্তার

পূরাতন বাগানে এ রোগের প্রকোপ বেশী। ছত্রাকটি গোলাপের পরিচর্যা বা ডাল ছাঁটার সময় সিকেচারের সাহায্য ছড়ায়। আর্দ্র আবহাওয়াতে প্রচুর পিকনিডিয়া ও স্পোর তৈরী হয় বলে রোগও বাড়ে।

রোগের লক্ষণ

  • রোগাক্রান্ত গাছের কঁচি ডাল আগা থেকে শুকাতে শুরু করে।
  • শুকানোটা ধীরে ধীরে ক্রমশ: নীচের দিকে নামতে থাকে।
  • শুকানো অংশটা কালচে বাদামী রংগের পচা ছালযুক্ত হয়।
  • এটা ফুলের বোঁটা, প্রশাখা থেকে শাখা, মূল কান্ড হয়ে পুরো গাছ ছেয়ে ফেলে।
  • গোড়ায় পৌঁছালে পূরো গাছটি মরে যায়।
  • রোগাক্রান্ত গাছে কলি ও ফুল হয় না।

golap_doga_02(1)

চিত্র: গোলাপের ডগা শুকানো রোগের লক্ষণ

রোগের প্রতিকার

  • আক্রান্ত ডাল কেটে পুড়ে ফেলতে হবে।
  • ডাল কাটার সময় কাল অংশসহ কেটে বাদ দিতে হবে।
  • কাটা ডালের মাথায় ৪ ভাগ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, ৪ ভাগ রেড লেড ও ৫ ভাগ তিসির তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে লাগাতে হবে।
  • ডিপ্লোডিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
  • কোলেটোট্রিকাম দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রোপিকোনাজোল (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

সাদা গুড়া (Powdery mildew) রোগ

রোগের কারণ

ওইডিয়াম এসপি. (Oidium sp. ) নামক ছত্রাক দ্বারা এরোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

গাছের পরিত্যক্ত অংশে জীবানু বেঁচে থাকতে পারে। আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে এ রোগটি বেশী হয়।

রোগের লক্ষণ

  • গাছের পাতার উপর পিঠে ছোপ ছোপ সাদা পাউডারের আস্তরণ দেখা যায়।
  • পরে সমস্ত পাতায় এই সাদা আস্তরণ ছড়িয়ে পড়ে।
  • পাতার বিকৃতি ঘটে।
  • কচি ফুল ও কলিতেও সাদা রংগের পাউডারের মত লেগে থাকে।
  • পরবর্তীতে সমস্ত গাছ আক্রান্ত হয়।
  • ফলে পাতা ও ফুল ঝড়ে যায়।

চিত্র: গোলাপের সাদা গুড়া রোগের লক্ষণ

রোগের প্রতিকার

  • রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।
  • আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।
  • রোগের প্রকোপ কম হলে দ্রুত বেগে পানি স্প্রে করেও দমন করা যায়।
  • সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (যেমন-বেকিং সোডা) ১ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩-৫ বার স্প্রে করতে হবে।
  • রোগ দেখা মাত্রই সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন-থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি বা কুমুলাস ডিএফ) ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে অথবা প্রোপিকোনাজোল (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

ইয়োলো মোজাইক (Yellow mosaic) রোগ

রোগের কারণ

ইয়োলো মোজাইক ভাইরাস (Yellow mosaic Virus) দ্বারা এরোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তার

বিকল্প পোষক উদ্ভিদে জীবানু বেঁচে থাকে ও সাদা মাছির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়।

রোগের লক্ষণ

  • গাছের যে কোন বয়সেই এ রোগ হতে পারে।
  • পাতায় সবুজ হলুদের মিশ্রন দেখা যায়।
  • হলুদ দাগগুলো পাতার শিরা উপশিরা বরাবরও দেখা যায়।
  • রোগ মারাত্মক হলে সম্পূর্ন পাতাই হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
  • পাতাগুলো কুকড়ায়ে যায়।
  • আক্রান্ত গাছ খর্বাকৃতি হয়।
  • ফুলও আকারে ছোট হয়।

চিত্র: গোলাপের ইয়োলো মোজাইক ভাইরাস রোগের লক্ষণ

রোগের প্রতিকার

  • ভাইরাস রোগমুক্ত নার্সারী হতে গোলাপের কলম সংগ্রহ করতে হবে।
  • রোগাক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে পুড়ে ফেলতে হবে।
  • বাহক পোকা দমন করার জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড (অ্যাডমায়ার বা ইমিটাফ) ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

সূত্র ও লেখকঃ বিজ্ঞানী ড. কে. এম. খালেকুজ্জামান

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/26/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate