প্রজনন
কমন কার্প বা সাইপ্রিনাস কার্পের প্রজনন পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ কারণ এরা বদ্ধ জলাশয়ে ডিম পাড়ে। এদের ডিমগুলো একটু আঠালো হওয়ার জন্য কোনও জলজ উদ্ভিদের গায়ে লেগে থাকে। এদের প্রজননের সাধারণ দু’টি পদ্ধতি উল্লেখ করা হল —
- ক) কোনও ছোট পুকুরে জলজ উদ্ভিদ যেমন ঝাঁঝি ইত্যাদি দড়ির তৈরি জালের উপর বিছিয়ে পুকুরের জলের চার পাশে সাজিয়ে রাখতে হয় কিংবা নির্দিষ্ট দূরত্বের ব্যবধানে বাঁশের সাথে কচুরিপানা সাজিয়ে রেখে প্রজনন উপযোগী ১টি স্ত্রী ও ২ – ৩টি পুরুষ মাছ ছেড়ে দিতে হয়। পুরুষ মাছের ও স্ত্রী মাছের মোট ওজন প্রায় কাছাকাছি থাকা দরকার। ঝাঁঝি কিংবা কচুরিপানার মূলে নিষিক্ত ডিম আটকে থাকে। এই সমস্ত জলজ উদ্ভিদ ডিম সহ তুলে নিয়ে হাপাতে রেখে ডিম ফোটানো হয়।
- খ) আরও নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রজননের জন্য সিমেন্টের চৌবাচ্চা কিংবা হাপা ব্যবহার করা হয়। এখানে চৌবাচ্চা কিংবা হাপাতে ঝাঁঝি বা কচুরিপানা সাজিয়ে রাখতে হয়। এই জলজ উদ্ভিদের পরিমাণ স্ত্রী মাছের ওজনের চার গুণ পরিমাণ হওয়া উচিত। সন্ধ্যাবেলা প্রজনন উপযোগী স্ত্রী ও পুরুষ মাছ এদের মধ্যে ছাড়লে ৬ ঘণ্টা থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে প্রজনন হয়। সকালবেলা ঝাঁঝি বা কচুরিপানা তুলে দেখলে দেখা যাবে এদের সঙ্গে নিষিক্ত ডিম লেগে আছে। এখানে জলজ উদ্ভিদ ডিম সংগ্রাহকের কাজ করে। নিষিক্ত ডিমের রং ঈষৎ হলুদ এবং খারাপ ডিম সাদা হয়। ভালো প্রজনন হলে ১ কেজি স্ত্রী মাছ থেকে ১ লাখ ডিম পাওয়া যেতে পারে। প্রজননের পর পুরুষ ও স্ত্রী মাছগুলিকে হাপা বা চৌবাচ্চা থকে সারিয়ে নিতে হয়। ডিমযুক্ত জলজ উদ্ভিদ অন্য হাপাতে ফোটানোর জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। নিষিক্ত ডিম থেকে ডিমপোনা বেরিয়ে আসতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। হাপাতে ডিমপোনা ২ – ৩ দিন রাখার পরে নার্সারি পুকুরে ছাড়া হয়।
তথ্যসূত্র : মৎস্য দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.