অনলাইন ব্যবসায় ঢুকতে পৃথক সংস্থা তৈরি করবে ডাক বিভাগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক বৈঠকে ডাক বিভাগ ওই সংস্থা গড়ার আর্থিক যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখতে একটি সমীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামী বছর ই-কমার্স সংস্থার জন্য কাজ শুরু করা হতে পারে। ই-কমার্স ক্ষেত্রের ব্যবসায়িক, বিপণন কৌশল ও নিত্যদিনের কাজের ধরন বাতলাতে এক জন উপদেষ্টাকে জুলাইয়ের মধ্যেই নিয়োগ করতে পারে ডাক বিভাগ। ডাকবিভাগ সূত্রে খবর, এপ্রিলের মধ্যে ডাকঘরের অনলাইন সংস্থার পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
ডেলিভারি ব্যবসা তৈরি হবে জুলাইয়ের মধ্যে। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন ইন্ডিয়া, স্ন্যাপডিল এবং শপক্লুজের সঙ্গে ইতিমধ্যেই গাঁটছড়া বেঁধেছে ডাক বিভাগ। ই-বে এবং জাপান পোস্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গাঁটছড়া রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির। ডাক বিভাগের পুনর্গঠনের জন্য টি এস আর সুব্রহ্মণ্যম কমিটি সুপারিশ করেছে, পোস্ট অফিসের মূল পাঁচটি বিভাগ থাকা উচিত। তার মধ্যে তিনটি হবে ব্যাঙ্কিং , বিমা এবং ই –কমার্স।
ইতিমধ্যে ই-কমার্স ব্যবসা ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৬-র মধ্যে এই ব্যবসা ৬৭৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ডাক যদি এই ব্যবসায় ঢুকে পড়ে তবে সংস্থাটি অনেক বেশি লাভবান হবে। কারণ, ডাক বিভাগের নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে সহজে ই-কমার্স ব্যবসাকে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তার ঘটাতে পারবে এই সংস্থাটি।
আমানতের দিক থেকে ডাকবিভাগ দেশের অন্য ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। ডাকঘরগুলিতে মোট ছ’লক্ষ কোটি টাকা আমানত রয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমানত রয়েছে কেবল স্টেট ব্যাঙ্কের কাছে। দেশে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার মতো ডাকঘর আছে, এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩৯ হাজারের বেশি গ্রামাঞ্চলে। গড়ে প্রতিটি ডাকঘরের অধীনে ২১ .২১ বর্গকিলোমিটার এলাকা ও ৭,১৭৫ গ্রাহক রয়েছে। ফলত ডাকবিভাগ ই-কমার্স ব্যবসায় নামলে খুব তাড়াতাড়ি সাফল্যের মুখ দেখতে পাবে বলে মনের করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : এই সময়, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019