পাঁচ বছরের নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তিতে অনলাইন পণ্য বিক্রয়কারী সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন প্রকার ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের যে শিল্পক্ষেত্রগুলিতে নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে সেই ক্ষেত্রগুলির পণ্য রফতানিতে সহায়তা করলে তবেই ওই ভাতা পাবে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থা। বুধবার এই নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি পেশ করে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘সরকার যে শিল্পক্ষেত্রগুলিতে কর্মসংস্থানের উপর জোর দিচ্ছে সেই ক্ষেত্রগুলির পণ্য অনলাইনে রফতানি করলে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থাকে উত্সাহভাতা দেওয়া হবে।’ নতুন পঞ্চবার্ষিকী বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে (২০১৫-২০) রফতানি বাড়াতে দু’টি নতুন প্রকল্প --- মার্চেন্ডাইজ এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিম (এমইআইএস) এবং সার্ভিসেস এক্সপোর্ট ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিমের (এসইআইএস) সূচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে সমস্ত সংস্থা অনলাইন পণ্য বিক্রয়কারী সংস্থাকে ব্যবহার করে ক্যুরিয়র বা বিদেশি ডাকঘরের মাধ্যমে প্রতি বার ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের পণ্য রফতানি করে তাদের এমইআইএস প্রকল্পের অধীনে ভাতা দেওয়া হবে। ভারতে উত্পাদিত, বিদেশের বাজারে বিপুল চাহিদা রয়েছে, কর্মস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে এগিয়ে রাখতে পারে এমন পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যা এবং তার সঙ্গে জড়িত খরচের হাত থেকে বাঁচাই এমইআইএস প্রকল্প চালুর মূল উদ্দেশ্য। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিবার ২৫,০০০ টাকার বেশি পণ্য পাঠানো হলেও ২৫,০০০ টাকার ফ্রেট অন বোর্ডের উপরেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে যে পণ্যগুলিকে সুবিধা দেওয়া হবে তার মধ্যে হস্তশিল্প, বই ও সাপ্তাহিক পত্রিকা, চামড়ার জুতো, খেলনা এবং ফ্যাশন গার্মেন্টস রয়েছে। ‘পরীক্ষামূলক ভাবে এই সব পণ্য ক্যুরিয়রের মাধ্যমে দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাই বিমানবন্দর মারফত রফতানির সুযোগ দেওয়া হবে। রাজস্ব দফতর ক্যুরিয়ার টার্মিনালগুলিতে বৈদ্যুতিন তথ্য আদানপ্রদানের (ইলেকট্রনিক ডেটা এক্সচেঞ্জ) প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করবে,’ নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে জানিয়েছে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক৷
সূত্র : এই সময়, ২ এপ্রিল ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/15/2019