টোল সংগ্রহ ব্যবস্থাকে ঝামেলাহীন করতে চালু হল ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ইটিসি) ব্যবস্থা। গত ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি এর উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যে দেশের ৫৫ টোল প্লাজায় ইটিসি বসানো হয়েছে এবং এগুলি সেন্ট্রাল ক্লিয়ারিং হাউস (সিসিএইচ)-র সঙ্গে সংযোগ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা বসানো হয়েছে দিল্লি-মুম্বই রুট ভায়া হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে। এর আগে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে দশটি টোলপ্লাজায় এই ইটিসি ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছিল। নতুন সড়ক তৈরির চুক্তিতে যাতে এই ইসিটি ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি উল্লেখ থাকে সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ জারি করেছে। দেশের সড়কগুলিকে, বিশেষত যেগুলি টোল সংগ্রহের মাধ্যমে উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়, সেগুলিকে একটি নেটওয়ার্কে আনার পরিকল্পনা ভারত সরকারের রয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০১২-১৩ সালে দু’কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। পরে দেশের ৫১ টোল প্লাজায় ইটিসি ব্যবস্থা চালু করতে ২০১৩-১৪ সালে ১৭.২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। সিসিএইচ পরিষেবার জন্য হাইওয়ে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইএইচএমসিএল) এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় সড়ক ফি (নির্ধারণ এবং সংগ্রহ) নিয়ম, ২০০৮ এবং তার সংশোধনী অনুযায়ী টোল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই টোল সংগ্রহ ব্যবস্থার মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা থেকে যাচ্ছিল। বিশেষত দেশের জাতীয় সড়কগুলির বিভিন্ন জায়গায় টোলের মূল্যের মধ্যে যথেষ্ট হেরফের রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। টোল সংগ্রহকারী এজেন্সিগুলি সংগ্রহ করা অর্থ ঠিকমত জমা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া, টোল জমা দেওয়া জন্য প্লাজাগুলিতে গাড়ির লম্বা লাইন সময় এবং জ্বালানি নষ্ট করে। সমগ্র টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়াটিকে ঝামেলাহীন করতে এবং টোলের মূল্যে সমতা বজায় রাখতে ইউনিট আইডেনটিফিকেশন অথরিটির চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানির নেতৃত্বে একটি বৈদ্যুতিন টোল সংগ্রহ প্রযুক্তি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/16/2020