দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলিতে ৩১ ডিসেম্বরের আগেই চালু হয়েছে। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে গোটা দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসেই কর্মী, অফিসারদের জন্য আধার কার্ডভিত্তিক বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালুর জন্য তত্পরতা চলছে। পশ্চিমবঙ্গে আয়কর দফতরের সমস্ত অফিসের কর্মী, অফিসারদের কাছে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রোফর্মা পাঠানো হয়েছে। সেখানে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি এবং আধার নম্বর দিতে হবে। আর যাঁদের আধার নম্বর নেই, তাঁরা যাতে দ্রুত আধার নম্বর পান, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের আয়কর দফতরের ৯টি অফিসে চলতি সপ্তাহে ক্যাম্পও করতে চলেছে ইউআইডিএআই বা আধার কর্তৃপক্ষ। তত্পরতা শুরু হয়েছে রেল-এর অফিসগুলিতেও। তবে ডাক বিভাগে এখনও তেমন কোনও উদ্যোগ শুরু হয়নি। কলকাতার আয়কর ভবনের এক কর্তার কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম জোনে আমাদের প্রায় ১০ হাজারের মতো কর্মী, অফিসার রয়েছেন। তাঁদের সকলকে প্রোফর্মা পাঠানো হয়েছে। যাঁদের আধার নম্বর নেই তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা ইউআইডিএআই-এর সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী ১০ -১২ দিনের মধ্যেই যাতে প্রত্যেকে আধার নম্বর পান, তা নিশ্চিত করতে চলতি সপ্তাহেই ক্যাম্প হবে। কী ভাবে কাজ করবে এই হাজিরা ব্যবস্থা? যে সমস্ত সরকারি কর্মী, অফিসারদের আধার নম্বর রয়েছে, তাঁদের attendance.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম, দফতরের নাম এবং আধার নম্বর দিয়ে লগ অন করতে হচ্ছে। তার পর অফিসে ঢোকার সময় বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ দিলেই নাম ও হাজিরার সময় লোড হয়ে যাবে দফতর বা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। একই ভাবে অফিস থেকে বেরোনোর সময়েও তাঁদের একই কাজ করতে হবে। এক কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারের কথায়, ‘বায়োমেট্রিক মেশিনের সার্ভার ইউআইডিএআই সার্ভারের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকবে। ফলে আঙুলের ছাপ দিলে তার সঙ্গে আধারে থাকা ব্যক্তির ডেটাবেস মিলিয়ে নেবে মেশিন।’ তবে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলিতে কোন সংস্থা নির্মিত বায়োমেট্রিক মেশিন লাগানো হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও কেন্দ্রীয় সার্কুলার না আসায় ২৬ জানুয়ারির মধ্যে সব জায়গায় প্রস্ত্ততির কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রশাসনিক নানা মহলেও। তবে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, সেল, ইন্ডিয়ান অয়েল বা বিএসএনএল-এর মতো কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে এখনই আধার ভিত্তিক বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হচ্ছে না। বিএসএনএল-এর কলকাতা সদর দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘সার্কুলারে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলিতেই আপাতত এ ব্যবস্থা চালু হবে। বিএসএনএল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা হওয়ায় আমরা এখনও লিখিত নির্দেশ পাইনি।’
সূত্র : এই সময়, ৬ জানুয়ারি, ২০১৫।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020