অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন

পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন

পাসপোর্ট সেবা প্রকল্প

পাসপোর্ট পাওয়ার স্বচ্ছ ও ঝামেলাহীন রাস্তা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে পাসপোর্ট সেবা প্রকল্প চালু করে বিদেশ মন্ত্রক। এই প্রকল্পে সারা দেশে ৭৭ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া, এই প্রকল্পের আওতায় একটি ডেটা কেন্দ্র, বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র, কল সেন্টার যা মোট ১৭ ভাষায় কাজ করবে এবং কেন্দ্রীয় ভাবে দেশব্যাপী কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত পাসপোর্ট প্রদান পদ্ধতি গড়ে তোলা হয়।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বর্ধিত অংশ হিসাবে এই ৭৭ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র কাজ করছে। তাই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার আগে আবেদনকারীকে দেখে নিতে হবে তিনি কোন আঞ্চলিক পাস পোর্ট অফিস এবং পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের আওতায় পড়ছেন।

পাসপোর্ট পরিষেবা

নতুন পাসপোর্টের জন্য অথবা পাসপোর্ট পুনরায় বার করার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া আপনি সরাসরি আপনার আবেদন সংশ্লিষ্ট সিপিও/পাসপোর্ট অফিস/পাসপোর্টে সেবা কেন্দ্র/ জেলা পাসপোর্ট সেল/স্পিড পোস্ট সেন্টারে জমা দিতে পারেন।

বিভিন্ন পাসপোর্ট পরিষেবা

  • নতুন পাসপোর্টের জন্য: আপনি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবদেন করতে পারেন, যদি আপনি প্রথম বার আবেদন করেন।
  • পাসপোর্ট পুনরায় বার করা: নিম্নলিখিত কারণে চলতি পাসপোর্টের বদলে আপনি যদি আর একটি পাসপোর্ট চান তা হলে পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন :
    • নিজের সম্পর্কে দেওয়া তথ্যে কোনও পরির্বতন হলে
    • যদি তিন বছরে বৈধতার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়/মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে
    • তিন বছরেরও বেশি আগে যদি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
    • পাতা শেষ হয়ে গেলে
    • পাসপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে
    • হারিয়ে গেলে
  • অন্যান্য পরিষেবা : পুলিশ ছাড়ের শংসাপত্র (পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট) প্রদান

পদ্ধতি

পাসপোর্ট অফিসের প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়িয়ে তোলার জন্য পাসপোর্ট সেবার অধীনে বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি এবং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতি এবং ব্যবস্থার লক্ষ্য হল দেশের নাগরিককে ঝামেলাহীন, স্বচ্ছ, সুবিধাজনক পদ্ধতিতে পাসপোর্ট প্রদান এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চত করা। এ কারণে আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। আবদেনকারীর উপস্থিতিতেই তাঁর ছবি, বায়োমেট্রিক গ্রহণ করে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ যাতে তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা।

সুত্রঃ passportindia.gov.in

অনলাইনে আবেদন ও সাক্ষাৎকার

পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভিড় এড়াতে এবং আবেদনকারীর সময় বাঁচাতে অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে যে রকম সুযোগ মিলবে সেই অনুযায়ী ওই কেন্দ্র থেকেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে সাক্ষাৎকারের সময় ও তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়।

অনলাইনে আবেদন এবং সাক্ষাৎকারের সুযোগ পাওয়ার ধাপগুলি হল :

  • অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন, অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে (বিকল্প পদ্ধতিতে ই-ফর্ম ডাউনলোড করে, তা পূরণ করে আবার তা আপলোড করে দিতে হবে)।
  • সাক্ষাৎকারের জন্য একটি তারিখ এবং সময় নির্দিষ্ট করুন। দেখুন (Online Appointment Booking instruction । পাসপোর্ট পাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ওই দিন নির্দিষ্ট পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে যান।
  • সাক্ষাৎকারের সময়ের জন্য নিম্নলিখিত ধাপ মেনে চলতে হবে :
    • ধাপ ১ : passportindia.gov.in-এ ক্লিক করুন
    • ধাপ ২ : ‘ইউজার নেম’ রেজিস্ট্রার করুন এবং পাসওয়ার্ড নিন
    • ধাপ ৩ : ‘ইউজার নেম’ এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করুন
    • ধাপ ৪ : আবেদনপত্র পূরণ করে অনলাইনেই তা জমা দিতে পারেন (বিকল্প পদ্ধতিতে ই-ফর্ম ডাউনলোড করে, তা পূরণ করে আবার তা আপলোড করে দিতে হবে)। নথিপত্র আপলোড করাটা ঐচ্ছিক।
    • ধাপ ৫ : এ বার নিকটবর্তী পাসপোর্ট কেন্দ্রে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নিন (অঞ্চল অনুযায়ী সাক্ষাৎকারের সময় দেওয়া হয়)। তবে ১ থেকে ৪ ধাপ পূরণ করে তবেই সাক্ষাৎকারের সময় নিন। সাক্ষাৎকারের সময় পাওয়া গেলে আপনি ‘সিডিউল অ্যাপয়েনমেন্টে’ ক্লিক করুন এবং সময় ‘বুক’ করুন। যদি মেলে তবে আপনার সাক্ষাৎকারের সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে ‘বুক’ হয়ে যাবে।

পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে সাক্ষাৎকারের সময় ‘বুক’ করার আগে অনলাইনে পাসপোর্টের ফি অগ্রিম জমা দিতে হবে। এই জন্যই পাসপোর্ট সেবা অনলাইন পোর্টালে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার সুবিধা চালু করা হয়েছে। নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় টাকা জমা দেওয়া যায় :

  • ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড (মাস্টারকার্ড এবং ভিসা)
  • ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং (স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং সহযোগী ব্যাঙ্কের মাধ্যমে)
  • এসবিআই ব্যাঙ্ক চালানের মাধ্যমে

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দেওয়া

পার্সপোর্টের পেমেন্ট ডেবিট বা ক্রেডিক কার্ডের মাধ্যমে করা যায়। পেমেন্ট করার সময় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডটি এবং মোবাইল হাতের কাছে নিয়ে বসুন। পেমেন্ট করার সময় এগুলি কাজে লাগবে। পেমেন্টের ক্ষেত্রে অনেক সময় ‘ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড’ চায় (এই পাসওয়ার্ড একবার ব্যবহার করলে এক কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যায়)। এই পাসওয়ার্ডটি মোবাইলে পাঠায় ব্যাঙ্ক। তাই অনলাইনে পেমেন্ট করার সময় মোবাইল হাতের কাছে নিয়ে বসতে হয়। ক্রেডিট/ডেবিট বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে টাকা দিতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  • ধাপ-১ :‘সিডিউল অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে, সেখানে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট কোটা’ বেছে নিতে হবে (যেমন, তৎকাল বা সাধারণ কোটা)। পছন্দ মতো পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বেছে নিয়ে ‘নেক্সট’-এ ক্লিক করতে হবে।
  • ধাপ-২ : এর পর ‘পে অ্যান্ড বুক অ্যাপয়েন্টমেন্ট’-এ ক্লিক করলে আপনি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাল্টি অপশন পেমেন্ট সিস্টেমে চলে যাবেন
  • ধাপ-৩ :টাকা দেওয়ার পদ্ধতি (নেট ব্যাঙ্কিং অথবা কার্ড পেমেন্ট) বেছে নিতে হবে।এর পরই বেশ কতগুলি নির্দেশ আসবে (কার্ড পেমেন্ট বা নেট ব্যাঙ্কিং-এর জন্য পৃথক রৃথক নির্দেশ সেই নির্দেশ মেনে টাকা পেমেন্ট করুন। ‘ব্যাক’ বোতামে ক্লিক অথবা পেজ ‘রিফ্রেশ’ করবেন না। করলে লেনদেনটি বাতিল হয়ে যাবে। একবার বাতিল হয়ে গেলে আবার আপনাকে নতুন করে গোটা প্রক্রিয়াটা করতে হবে।
  • ধাপ-৪ : পেমেন্ট হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বাছাই করা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে সাক্ষাৎকার বুক হবে। পিএসপি পোর্টাল স্ক্রিনে ‘অ্যাপয়েমেন্ট কনফারমেশন’ দেখাবে।
  • ধাপ-৫ : আবেদনের রিসিটের (এআরএন) প্রিন্ট আউট নিন। যখন নির্দিষ্ট পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে সাক্ষাৎকারের জন্য যাবেন, তখন এই প্রিন্টটি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।

মনে রাখার বিষয়

  • পেমেন্ট করার সময় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল হাতের কাছে নিয়ে বসুন।
  • অনলাইন পেমেন্ট প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যাক বা রিফ্রেশ বোতাম টিপবেন না।
  • পেমেন্ট ‘কনফারমেশন’-এর পর অবশ্যই আবেদনের রিসিটের প্রিন্ট আউট নিন এবং সাক্ষাৎকারের দিন অবশ্য প্রিন্ট আউটটা নিয়ে যাবেন।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন : passportindia.gov.in

চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া

পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদনের পেমেন্ট চালানের মাধ্যমেও করা যায়। সাধারণ পাসপোর্টের পাশপাশি তৎকালের ক্ষেত্রেও অনলাইনে চালানের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়।

  • ধাপ-১ : ‘পে ইউসিং চালান’-লিঙ্কে ক্লিক করে এসবিআই ব্যাঙ্ক চালান তৈরি করুন এবং সেটির প্রিন্ট নিন।
  • ধাপ-২ :ব্যাঙ্ক চালান তৈরি হওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা পরে নিকটবর্তী এসবিআই শাখায় আবেদনের নির্দিষ্ট ফি সহ সেটি জমা করুন।
  • ধাপ-৩ :টাকা ব্যাঙ্কে জমা করার কমপক্ষে দু’টি কাজের দিনের পর আপনার পেমেন্টটি কার্যকর হবে। পেমেন্টের অবস্থা জানার জন্য ‘ট্রাক পেমেন্ট স্ট্যাটাস’-এ ক্লিক করুন।
  • ধাপ-৪ :যদি পেমেন্ট সফল ভাবে হয়েছে দেখায় তবে ‘সিডিউল অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এ’ ক্লিক করুন আপনার সাক্ষাৎকারের সময় নির্দিষ্ট করার জন্য।
  • ধাপ-৫ : সাক্ষাৎকারের কোটা (যেমন, তৎকাল কোটা, সাধারণ কোটা) বাছুন। আপনার সুবিধাজনক পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রটি বেছে নিয়ে ‘বুক অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ বোতামে ক্লিক করুন। বাছাই করা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আপনার সাক্ষাৎকারটি (যদি পাওয়া যায়) ‘বুক’ হবে।
  • ধাপ-৬ : আবেদনের রিসিটটির (এআরএন) প্রিন্ট আউট নিন। এটি সাক্ষাৎকারের সময় পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

বিঃদ্রঃ:তৎকাল আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে যে ফি দিতে হয় অনলাইনে সেটাই দিতে হবে। তবে যদি পাসপোর্টের আবেদনটি গ্রাহ্য হয় তবে তৎকালের জন্য প্রযোজ্য বাকি ফি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বা পাসপোর্ট অফিসে নগদে দিতে হবে। অনলাইনে জমা দেওয়া টাকা বৈধ থাকে প্রথম সাক্ষাৎকারের দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত। যদি এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদনকারী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আবদেন জমা না দেন তবে তাঁর টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।

টাকা ফেরত

পাসপোর্ট সংক্রান্ত পরিষেবার ফি হিসাবে জমা দেওয়া টাকা ফেরত বা বিনিময় হবে না। যদি সহায়ক পরিষেবা সহ পাসপোর্ট পরিষেবার ক্ষেত্রে একটি এআরএনের জন্য একাধিক পেমেন্ট করা হয়ে থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালন নীতি অনুসারে টাকা ফেরতের দাবিটি বিবেচনা হবে।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সাক্ষাৎকার বাতিল/সাক্ষাৎকারের সময় বদলের আবেদন

অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার বাতিল এবং সাক্ষাৎকারের জন্য ফের সময় চাওয়া যেতে পারে। প্রথম সাক্ষাৎকারের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে কেবল মাত্র দু’বার সাক্ষাৎকার বাতিল/সাক্ষাৎকারের জন্য ফের সময় চাইতে পারেন। দু’বার সাক্ষাৎকারের সময় নেওয়া হয়ে গেলে অথবা প্রথম আবেদনের পর এক বছর কেটে গেলে আগের এআরএন-এর জন্য অনলাইন বুকিং হবে না।

অ্যাপলিকেশন রেফারেন্স নম্বরের (এআরএন) প্রিন্ট আউট নিন এবং নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে সাক্ষাৎকারে ওই এআরএন-এর কপি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যান।

  • ধাপ-১ :আপনার সমস্ত নথির আসল এবং ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে যান। কী কী নথি নিয়ে যেতে হবে তার তালিক ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
  • ধাপ-২ :চহিদা মতো নথি না পাওয়ার জন্য যে সব আবেদনকারীর ‘টোকেন’ কাহ্রিজ করা হয়, তাঁরা আগে থেকে সাক্ষাৎকারের সময় নেওয়া ছাড়াই পরবর্তী তিনটি কর্মদিনে পিএসকে-তে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্টে স্লিপে’ দেওয়া সময়ে সাক্ষাৎকারের জন্য, আসতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ জরুরি নয়।
  • ধাপ-৩ : কিছু আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ‘ওয়াক-ইন’ সাক্ষাৎকার গ্রাহ্য করা হয়। এর জন্য অনলাইনে আবেদন বাধ্যতামূলক নয়।
  • ধাপ-৪ : যদি কোনও কারণে আপনি অনলাইনের সাক্ষাৎকারের সময় নিতে না পারেন বা যদি আপনি ‘ওয়াক ইন’ বিভাগে না পড়েন, তা হলে আপনি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস গিয়ে হাতে হাতে আবেদন জমা দিতে পারেন, যদি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস তা অনুমোদন করে। বিকল্প হিসাবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস তাদের আওতাধীন কোনও পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের চাপ এবং ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে খেপে খেপে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তৎকাল বা অন্য জরুরি আবেদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই পথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। এই ধরনের আবেদনকারীকে অনলাইনে আবেদন পূরণ করে ‘অনলাইন রেফারেন্স নম্বর’ নম্বর নিতে হবে। তার প্রিন্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট আরপিওতে সাক্ষাৎকারের জন্য যেতে হবে।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

অনলাইন নিবন্ধনের সঙ্গে ওয়াক-ইন-অ্যাপয়েন্টমেন্ট

পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে অনলাইন নিবন্ধনের সঙ্গে ওয়াক-ইন-অ্যাপয়েন্টমেন্টেরও সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রগুলিতে পাসপোর্টের আবেদন জমা সহজতর করার জন্য কয়েকটি পরিষেবার ক্ষেত্রে যেমন, তৎকাল, পুলিশের ছাড়পত্র দেওয়া ক্ষেত্রে ওয়াক-ইন-অ্যাপায়েন্টমেন্টের সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া কিছু ধরনের বিভাগের ক্ষেত্রে যেমন, প্রবীণ নাগরিক, ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি ও নাবালক-নাবালিকাকে ‘ওয়াক-ইন-অ্যাপ্লিকেন্ট’ হিসাবে এআরএন নম্বর সহ অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধরনের আবদেনকারীরা অনলাইনে আবেদনের পর এআরএন নম্বর নিয়ে নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে যাবেন (এর জন্য পূর্ববর্তী কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই)। উপরন্ত, আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের জারি করা নির্দেশেরও উল্লেখ করতে পারবেন। বর্তমানে নিম্নলিখিত শহরগুলিতে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে অনলাইন আবেদনের সুবিধা পাওয়া যায়। তাই পাসপোর্টের জন্য আবেদনের আগে আপনার নির্দিষ্ট সেবা কেন্দ্রটি খুঁজে নিন। এই তালিকা থেকে আপনার শহরের পাসপোর্ট কেন্দ্রের নামে ক্লিক করুন। নামের সঙ্গে দেওয়া লিঙ্কের সাহায্যে আপনি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে যাতে পারবেন। ওই পাসপোর্ট কেন্দ্রের দেওয়া লিঙ্ক থেকে আপনি আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্টে সেবা কেন্দ্রের সাইটে গিয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আহমেদাবাদ

অমৃতসর

বেঙ্গালুরু

বরেলি

ভূপাল

ভুবনেশ্বর

চণ্ডীগড়

চেন্নাই

কোচিন

কোয়েম্বটুর

দেরাদুন

দিল্লি

গাজিয়াবাদ

গোয়া

গুয়াহাটি

হায়দরাবাদ

জয়পুর

জলন্ধর

জম্মু

কলকাতা

কোঝিকোড়

লখনউ

মাদুরাই

মালাপুরম

মুম্বই

নাগপুর

পাটনা

পুণে

রায়পুর

রাঁচি

সিমলা

শ্রীনগর

সুরাত

থানে

ত্রিচি

তিরুঅনন্তপুরম

বিশাখাপত্তনম

আন্দামান-

নিককোবর

 

বিঃদ্রঃ নতুন নিয়ম অনুযায়ী নাবালক-নাবালিকা সহ প্রত্যেক আবেদনকারীকে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে তাদের বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) এবং ছবি দেওয়ার জন্য।

পাসপোর্ট অফিস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য  Passportindia.gov.in দেখুন।

সুত্রঃ Passportindia.gov.in

পাসপোর্টের ফি

পাসপোর্টে তৈরির জন্য ফি অনলাইনে জমা দিতে হবে। তৎকাল হিসাবে যাঁরা আবেদন করছেন তাঁদেরও সাধারণ পরিষেবার মতোই অনলাইনে টাকা জমা দিতে হবে। তবে এই পরিষেবার ফি সাধারণ পরিষেবার চেয়ে কিছুটা বেশি। তৎকালের জন্য নির্ধারিত বাকি টাকা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র/ পাসপোর্ট অফিসে দিতে হবে। এক বার তৎকাল আবেদন গ্রাহ্য হয়ে গেলে অনলাইন পেমেন্ট আগামী এক বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় যে ফি লাগবে তার বিস্তারিত নীচে সংশ্লিষ্ট বক্সে দেওয়া হল। তবে টেবিলে দেওয়া ফি-এর পরিমাণ সাধারণ বিভাগের জন্য। তৎকাল স্কিমে যদি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয় তবে আবেদন ফি-র বাইরে আলাদা তৎকাল ফি দিতে হবে। পাসপোর্ট হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে, নাম ঠিকানা পরিবর্তন হলে তার কী ফি দিতে হয় তার তালিকাও নিচে দেওয়া হল। তৎকালের জন্য পিএসকে-তে গিয়ে ফি-র বাকি টাকা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে, সমস্ত ব্যাঙ্ক কার্ডের জন্য পিএসকে-তে এটিএমের সুবিধা আছে।

ক্রমিক নং

বিবরণ

ফি

নতুন পাসপোর্ট (৩৬পাতা) দশ বছর পর্যন্ত বৈধ (নাবালক-নাবালিকা ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়স, যারা ১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদে পাসপোর্ট চায়)

,৫০০ টাকা

নতুন পাসপোর্ট (৬০পাতা) দশ বছর পর্যন্ত বৈধ

২০০০ টাকা

নতুন পাসপোর্ট ১৫ বছরের নীচে বয়সীদের

 

১০০০ টাকা

হারিয়ে বা চুরি গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পাসপোর্টের প্রতিলিপি (৩৬ পাতা)

 

৩০০০টাকা

হারিয়ে বা চুরি গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পাসপোর্টের প্রতিলিপি (৬০ পাতা)

 

,৫০০টাকা

পুলিশের ছাড়পত্র/ইসিএনআর/অতিরিক্ত পৃষ্ঠাঙ্কন

 

৫০০টাকা

কোনও কারণে ঠিকানা, নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, চেহারা, স্বামী বা স্ত্রীর নাম, বাবা-মা, অভিভাবক/ আইনত অভিভাবক, ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন হলে।

 

,৫০০ টাকা (নতুন পাসপোর্ট বুকলেট ইস্যু হবে)

 

আরও তথ্যের জন্য দেখুন Fee Calculator for Passport Seva

উপস্থিত হয়ে আবেদন জমা

সাধারণ ভাবে অনলাইনেই পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়। কারণ এটি ঝামেলা হীন পদ্ধতি। তবে মাঝে মাঝে পাসপোর্টের জন্য অতিরিক্ত চাহিদার চাপ তৈরি হয়। অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতে অন্তর্বতীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে পাসপোর্ট অফিস উপস্থিত হয়ে আবেদন জমা দেওয়ার ছাড়পত্র দেয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে যে নির্দেশ এবং বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আবেদনকারীকে আবেদনের সময়ে সেই বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে হবে।

এই জন্য পাসপোর্টের আবদেন জমা দেওয়ার পদ্ধতি নিম্নলিখিত:

  • (ক) উপস্থিত হয়ে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম পূরণ করে, প্রয়োজনীয় নথির ফটোকপিতে স্বাক্ষর করে, আসল নথি সহ, সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ নিজের ৪.৫সেমি X ৩.৫সেমি রঙিন ফটো নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে হাজির হতে হবে। প্রয়োজনীয় ফি সহ আবেদনকারীকে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্যwww.passportindia.gov.inক্লিক করুন।
  • (খ) ডিপিসি কাউন্টারের আধিকারিকরা আবেদনপত্র, ছবি এবং নথি যাচাই করে দেখবেন। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবে ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে ফি-র টাকা জমা দিন।
  • (গ) আবেদনের ফি জমা দেওয়ার পর স্বীকৃতি চিঠি সংগ্রহ করুন। এই চিঠিতে একটি ফাইল নম্বর দেওয়া থাকবে। এই ফাইল নম্বরটি আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে সাহায্য করবে। পাসপোর্ট সেবা পোর্টালের হোম পেজে গিয়ে ‘ট্রাক আপ্লিকেশন স্ট্যাটাস’-এ ক্লিক করে আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে সাহায্য করবে।

মনে রাখতে হবে

পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম নির্দিষ্ট নির্দেশ মেনেই পূরণ করতে হবে। নাহলে ফর্মটি বাতিল হয়ে যাবে। সে কারণে পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের প্রতিটি ক্ষেত্রের উপর নির্দেশাবলীর জন্য, ফর্মের সঙ্গে যুক্ত পুস্তিকা পড়ুন বা http://passportindia.gov.in/AppOnlineProject/pdf/ApplicationformInstructionBooklet-V3.0.pdf এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

সূত্র : পাসপোর্ট সেবা ওয়েব সাইট http://www.passportindia.gov.in/AppOnlineProject/welcomeLink

সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/11/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate