দেশীয় মোবাইল ফোনে সুবিধা দেশে মোবাইল ফোন এবং ট্যাবলেটের উৎপাদন বাড়াতে শুল্ক সুবিধার কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ মোবাইল ও সেলুলার ফোনের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুল্ক হচ্ছে ১শতাংশ সেনভ্যাট ক্রেডিট ছাড়া অথবা ১২.৫শতাংশ সেনভ্যাট ক্রেডিট নিয়ে৷
ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুল্ক হবে ২শতাংশ সেনভ্যাট ক্রেডিট ছাড়া অথবা ১২.৫শতাংশ সেনভ্যাট ক্রেডিট নিয়ে৷ আগে সেনভ্যাট ক্রেডিট নিয়ে উৎপাদন শুল্কের হার ছিল ৬শতাংশ৷ অর্থাৎ সেনভ্যাট ক্রেডিটের পরিমাণ বাড়াল সরকার৷ সেনভ্যাট মানে সেন্ট্রাল ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স৷ কোনও তৈরি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে উৎপাদক কাঁচামাল কেনেন৷ সেই কাঁচামালের উৎপাদকেরা আবার তাঁদের তৈরি জিনিসের ওপর ভ্যাট দেন এবং বিক্রির সময়ে সেই ভ্যাটের পরিমাণ চূড়াম্ত দামে যুক্ত করে নেন৷ এবার তৈরি জিনিসের উৎপাদক তাঁদের জিনিস বিক্রির সময়ে আবার ভ্যাট দেন৷ সেক্ষেত্রে তৈরি জিনিসের উৎপাদকেরা কাঁচামালের ওপর দু’বার কর দিচ্ছেন৷ সেনভ্যাট ক্রেডিটের মাধ্যমে তৈরি জিনিসের উৎপাদকেরা কাঁচামালের ওপর আগে দেওয়া ভ্যাটটাই ফেরত পান৷ এই ক্রেডিটের পরিমাণটাই বাড়িয়েছে কেন্দ্র৷ পাশাপাশি মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটে লাগে এমন পপুলেটেড পি সি বি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) ছাড়া অন্যান্য আমদানি করা কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্কও কমিয়েছে৷ তাছাড়া সরকার সেনভ্যাট ক্রেডিট বাড়িয়ে ১২.৫শতাংশ করা মাত্র মোবাইল ফোন এবং ট্যাবলেটের ওপর কাউন্টারভেলিং ইম্পোর্ট ডিউটি বেড়ে হচ্ছে ১২.৫শতাংশ৷ অর্থাৎ আমদানি করার চেয়ে এই দুই পণ্য এখন দেশে উৎপাদন করা সুবিধাজনক৷ পি সি বি-র ওপর আমদানি শুল্ক না কমায় সেটাও দেশে উৎপাদন করা লাভজনক হতে পারে৷ সরকারের এই সিদ্ধাম্তে দেশে ইলেকট্রনিক শিল্প লাভবান হবে বলেই আশা করা হচ্ছে৷
সূত্র : আজকাল, ১ মার্চ,২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020