রাজ্যগুলির ই-গভর্ন্যান্স উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে নীচের সারণিতে রাজ্যের নামে ক্লিক করুন।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ |
|
দাদার ও নগর হাভেলিi |
|
লাক্ষাদ্বীপ |
|
পুদুচেরি |
|
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tsu.trp.nic.in/hms/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tsu.trp.nic.in/hms/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://agartalacity.tripura.gov.in/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tsu.trp.nic.in/highcourt/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://ermstripura.nic.in/erollsearch/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tsu.trp.nic.in/blood/
দশম, দ্বাদশ এবং জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার ফল অনলাইনে জানা যায়
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tripuraresults.nic.in/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tsu.trp.nic.in/transport/
প্রাপ্ত সুবিধা
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: http://tsu.trp.nic.in/esuvidha/
ত্রিপুরা ই-গর্ভন্যান্স উদ্যোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাতে ক্লিক করুন:http://negp.gov.in/service/finalservices.php?st=-2:25&cat=-2:1
সূত্র :
২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারত পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ব্যবহারকারী দেশ। দেশে প্রায় বিরানব্বই কোটিরও বেশি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। তাই মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি পরিষেবা পৌঁছে কেন্দ্রীয় সরকারে নেওয়া ‘ডিজিটাল ভারত’ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেগুলিও আর্থিক পরিষেবা সহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে মোবাইলকে ব্যবহার করার রাস্তা হাঁটছে। এ ব্যাপারে অগ্রণী ভুমিকা নিয়ে কর্ণাটক চালু করেছে ‘মোবাইল ওয়ান’ পরিষেবা। ভারতে প্রথম। উদ্দেশ্য মোবাইলের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পরিষেবাকে এক মঞ্চে এনে বাঁধাহীন ভাবে আমজনতার কাছে পৌঁছে দেওয়া।
মোবাইল ওয়ানের মাধ্যমে তারা সরকারি-বেসরকারি ডোমেনের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৪,৫০০ পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড সহ মোবাইলের প্রায় সব প্লাটফর্মে পরিষেবাগুলি পাওয়া যাবে। যে সমস্ত পরিষেবা পাওয়া যায় তার মধ্যে থাকছে বিল প্রদানের সুবিধা, সম্পত্তি কর জমা, রেলওয়ে টিকিট বুকিং এবং আয়কর জমা। মোবাইল ওয়ানে বিভিন্ন পরিষেবা পেতে প্রমাণীকরণের জন্য আধার কার্ড নম্বরকেই উপযুক্ত মনে করছে কর্ণাটক সরকার। কারণ শুরুতে যে পদ্ধতিতে প্রমাণীকরণ করা হত, তা বেশ সময় সাপেক্ষ। অনেক সময় সেই পদ্ধতিতে গ্রাহক একাধিক বার চেষ্টা করেও ঢুকতে পারতেন না। তা ছাড়া প্রমাণীকরণের পদ্ধতি হিসাবে আধার কার্ড অনেক বেশি নিরাপদ।
এই প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহও যথেষ্ঠ। পরিষেবা চালু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি মানুষ মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করছে। শুরুর পর থেকে সাধারণ মানুষ ই-মেল, এসএমএস এবং টুইট করে এই পরিষেবা নিয়ে তাদের মত দিচ্ছে। মোবাইল ওয়ানে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য টাকা দিতে ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড-এর ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া পেমেন্ট ওয়ালেট যেমন রুপে বা কর্ণাটক ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে। এর জন্য বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
দেশের মধ্যে প্রথম সংশোধানাগারে ই-গভর্ন্যান্স উদ্যোগ চালু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সংশোধনাগারের পরিচালন ব্যবস্থাকে আর বেশি মানবিক এবং দুর্নীতি মুক্ত করে তুলে এই উদ্যোগ এক কথায় অভিনব। সংশোধনাগারের এই ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্পের নাম প্রিজমস। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ওয়ার্ধা সংশোধনাগারে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। এই প্রকল্পে অনলাইন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বন্দিদের যাবতীয় তথ্য তোলা থাকবে। এর মধ্যে থাকছে বন্দিদের নাম, ছবি, পরিবারের সদস্য-সহ অন্যান্য তথ্য। রাজ্যের আটটি কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের পাশাপাশি ২৭ জেলা সংশোধনাগারেও এই সফটওয়্যার ইনস্টল করা হবে। জেল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও রাজ্যের প্রায় ২৮,০০০ জেল বন্দি এই সফটওয়্যারকে ব্যবহার করতে পারবেন। সংশোধানাগারের মধ্য থাকা কিয়স্ক থেকে তাঁদের স্বাস্থ্য ইতিহাস, কী পরিমাণ মজুরি তিনি রোজগার করেছেন এবং কবে তিনি ছাড়া পাবেন — এই সব তথ্য জানতে পারবেন। গোয়া ইলেকট্রনিক্সের তৈরি এই সফটওয়্যারের ব্যবহার সম্পর্কে জেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বড় সংশোধনাগাররে ক্ষেত্রে ২৪ মডিউলের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) এবং ছোট জেলা সংশোধনাগারের ক্ষেত্রে ৮ মডিউলের ল্যান ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি জেলে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ার বসানোর জন্য ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এর ফলে সংশোধনাগারের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতি হিসাব রাখার ফলে যেসব ভুল হতো সেগুলি এড়ানো যাবে যেমন, একজন বন্দি কবে ছাড়া পাবেন তার হিসাব ইত্যাদি।
সুত্রঃ পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ, কল্যাণী, নদিয়া
সম্পত্তির নিবন্ধীকরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতে ২০১৪ অগস্ট মাসে মহারাষ্ট্র সরকার চালু করেছে ই-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি। প্রাথমিক ভাবে এই সুবিধা পাওয়া যাবে ২০০ বাড়ি সম্বলিত হাউজিং সোসাইটিগুলোর ক্ষেত্রে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসে বা আবাসন নির্মাতার অফিস থেকেই সদস্যরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রশনের ক্ষেত্রে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েরই আধার কার্ড থাকতে হবে। মহারাষ্ট্রের সব শহরেই এই সুবিধা মিলবে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই অনলাইন পদ্ধতিতে ফ্ল্যাট কেনার দিনই তা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এর আগে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে দালাল রাজ সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছিল। জমি, বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাধারণ মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ে নাজেহাল হতেন। নয়া এই ব্যবস্থায় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য কোনও দালালের সহায়তার প্রয়োজন পড়ছে না।
এই প্রক্রিয়া এক দিকে যেমন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনবে, তেমনি সরকারের আয় বাড়বে। ডিপার্টমেন্ট অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প এবং ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার যৌথ ভাবে এই ই-রেজিস্ট্রশন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। নতুন এই পদ্ধতিতে জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যাওয়ার ঝক্কি এড়ানো যাবে।
তবে এই নয়া পদ্ধতি চালু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যারও মুখোমুখি হতে হয়েছে। যেমন, অনেকই অনলাইন ব্যবস্থায় তেমন সড়গড় নন। ফলে তাদের কাছে এই পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন বেশ ঝামেলারই। তবে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সরকার এই বিষয়টি মাথায় রেখেছে।
এই অ্যাপ্লিকেশনটি গ্রাহক যাতে রেজিস্ট্রেশনের সময় সফল ভাবে ব্যবহার করতে পারে তার জন্য ‘হেল্প ডেস্ক’ তৈরি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে এ ব্যাপারে পরার্মশ নেওয়া যেতে পারে। ‘হেল্প ডেস্ক’ থেকেই বলে দেওয়া হবে কীভাবে অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তবে সব ডেভলপাররা অনলাইনে রেজিস্ট্রশন করতে পারবেন না। যে সমস্ত ডেভেলপার আবাসন নির্মাণের সংশ্লিষ্ট সমস্ত সরকারি দফতর থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে তারাই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে।
সূত্র : ফার্স্ট পোস্ট
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শংসাপত্র, ডিগ্রি ইত্যাদি নিরাপদ রেখে দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার চালু করেছে ডিজিট্যাল লকার। চাকরি এবং অন্যান্য কাজে বিভিন্ন সময় এই সব গুরুত্বপূর্ণ নথির প্রয়োজন হয়। এই সব শংসাপত্র, ডিগ্রির সার্টিফিকেট নিয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝক্কি কমাতে মহারাষ্ট্র সরকার চালু করেছে ‘মহা ডিজিট্যাল লকার’। বয়স, বিবাহ, আয় ইত্যাদির শংসাপত্র আপলোড করা থাকলে চাকরি বা অন্য প্রয়োজনে এগুলি নিয়ে বেড়ানোর প্রয়োজন হবে না। এই ডিজিটাল লকারকে আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। ই-লকারে লগ ইন করতে হলে আধার নম্বর লাগবে।elocker.maharashtra.gov.in এই সাইটে গিয়ে শংসাপত্র স্ক্যান করে তুলে রাখা যাবে। এর ফলে নিয়োগকর্তারা এই পোর্টালে মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রার্থীর শংসাপত্রগুলি যাচাই করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ ডিগ্রি এবং শংসাপত্র কী ভাবে ই-লকারে সুরক্ষিত থাকবে?
যেহেতু শংসা পত্র এবং ডিগ্রিগুলি একজন মানুষের জীবনে খুব গুরুত্ব নথি, তাই একে সুরক্ষিত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিরাপত্তার জন্য সমস্ত নথি ওয়ান-টাইম-পাসওর্য়াডের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ ব্যবহারকারী লগ-ইন করলে প্রতি বার তাঁর রেজিস্ট্রার করা মোবাইলে একটি করে পাসওয়ার্ড যাবে। সেই পাসওয়ার্ড দিলে তবেই প্রবেশ করা যাবে।
কী ভাবে নিয়োগকারী বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ই-লকার ব্যবহার করবে?
ই-লকারকে ব্যবহার করতে নিয়োগকারী বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে একটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক এবং ‘টু ওয়ে পাসওয়ার্ড’ দেওয়া হবে। যাতে তারা চাকরি প্রার্থী বা ছাত্রদের শংসাপত্র দেখতে পারে। ওই নির্দিষ্ট ওয়েব লিঙ্কে গিয়ে তাদেরকে দেওয়া পাসওয়ার্ডটি নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হবে। এরপরই সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থী বা শিক্ষার্থীর শংসাপত্র দেখতে পারবে।
এই অভিনব উদ্যোগে চাকরিপ্রার্থী বা শিক্ষার্থীর শংসাপত্র হারিয়ে যাওয়ার বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় নেই। পরীক্ষামূলক ভাবে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলায় এই ‘মহা ই-লকার চালু করা হয়েছে। এই পরীক্ষারহ ফলের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে সারা রাজ্যে এই ই-লকার ব্যবস্থা চালু করা হবে।
সূত্র : ফার্স্ট পোস্ট
পরিবহণ কর সঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে কিনা, গাড়ি বিমা করা হয়েছে কিনা এবং সেই বিমার প্রিমিয়াম ঠিক সময় দেওয়া হচ্ছে কিনা, ইত্যাদি তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষর (আরটিএ) উদ্যোগে তেলঙ্গানায় চালু হয়েছে এসএমএস পরিষেবা। বর্তমানে মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তাই এই মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য দ্রুত সড়ক পরিবহণ কর্মী এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই পরিষেবা। নাগরিকরা সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন লেনদেন, কর দেওয়া হয়েছে কিনা বা নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সহ নানা তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এটি সড়ক পরিবহণ কর্মীদের নানা প্রয়োজনে সহায়তা করবে। তারা এর মাধ্যমে বিভিন্ন নথি সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। সঠিক সময়ে কর দেওয়া হয়েছে কিনা, নাকি বাকি রয়েছে তা জানতে পারবেন। ২০১৪-র ডিসেম্বর মাসে এই পরিষেবা চালু হওয়ার পর পরই বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত এক লাখ এসএমএস পাঠানো হয়েছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে কর জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমার এক সপ্তাহ আগে এসএমএস করে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হয়। যারা এই এসএমএস পরিষেবা পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করবেন, তাঁদের নিয়মিত আপডেট পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
এই এসএমএস পরিষেবাকে আরও বিস্তৃত করে রাজ্যের সব ক’টি বিমা সংস্থার ডেটা বেসের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভুয়ো বিমা সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যাবে। বিভিন্ন সময় বিমা সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য যাচাই করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিমা কোম্পানিগুলির সঙ্গে গ্রাহকের তথ্য জুড়ে দেওয়ার ফলে দ্রুত বিমা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা যাবে। এ ছাড়া, বিমা পুনর্নবীকরণের সময় আসার আগেই গ্রাহকরা এসএমএস অ্যালার্ট পেয়ে যাবেন। পরিবহণ ব্যবস্থায় ই-গর্ভন্যান্সকে আরও জোরালো করতে তেলঙ্গানা পরিবহণ সংস্থা বিশেষ মোবাইল অ্যাপও তৈরি করেছে। গ্রাহকরা এই মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে আরটিএ-র বিভিন্ন তথ্য খুব সহজেই পেতে পারবে।
সূত্র : ফার্স্ট পোস্ট
দিল্লির ‘হিম্মত’ হায়দরাবাদের ‘হক আই’, মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করতে দুই রাজ্যের পুলিশ চালু করেছে নয়া অ্যাপ। হায়দরাবাদে অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়তে থাকায় কপালে ভাঁজ পড়ে পুলিশের। গোটা শহর সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে দিয়েও সমাধান মেলেনি। মহিলাদের উপর অপরাধমূলক কাজকর্মের পাশাপাশি চলেছে নানান ধরনের আইনভাঙার কাজ। আইনরক্ষার কিছুটা দায় নাগরিকের হাতে তুলে দিয়েই সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজেছে। সেই লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই ‘হক আই’ অ্যাপ। মূলত মহিলাদের নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করতে হায়দরাবাদ পুলিশের এই অ্যাপ। তবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে এই অ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মহিলা নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন বেআইনি কাজ বন্ধ করতে নাগরিকদের ‘নাগরিক পুলিশের’ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে এই অ্যাপ। শুধু তাই নয় পুলিশ ব্যবস্থাকে কী ভাবে আরও উন্নত করা যাবে তারও পরামর্শ দিতে পারবেন নাগরিকেরা। এই অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশি ব্যবস্থায় নাগরিকে অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে চাইছে হায়দরাবাদ পুলিশ। তবে শুধু নাগরিকের আই ভাঙা নয় পুলিশ যদি আইন ভাঙে তবে তাও দেখিয়ে দিতে নাগরিককে সাহায্য করবে এই নয়া অ্যাপ।
সাধারণ নাগরিককে ‘নাগরিক পুলিশ’ হিসাবে তৈরি করতে এই অ্যাপ যে ভূমিকা নেবে তা হল :
বাসে বা অন্য গাড়িতে কোনও মহিলার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীমূলক আচরণ করা হলে, গাড়ির ছবি এবং ভিডিও তুলে, নম্বর লিখে অনলাইনে পুলিশকে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এর ফলে পুলিশ দ্রুত গাড়িটিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
এফআইআর দায়ের করে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ পদ্ধতিকে আরও সহজ করতে ওড়িশা সরকার থানাগুলিতে চালু করেছে ই-এফআইআর পদ্ধতি। অপরাধ এবং অপরাধী চিহ্নিতকরণ নেটওয়ার্ক এবং পদ্ধতির (সিসিটিএনএস) মাধ্যমে দেশ জুড়ে পুলিশ স্টেশনগুলির যাবতীয় তথ্য সহজে আদান-প্রদান করা যাবে। রাজ্যে বর্তমানে ৭৮৪ পুলিশ স্টেশন রয়েছে। প্রথম দফায় ওড়িশার ৫৫০ পুলিশ স্টেশনে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বাকি স্টেশনগুলি এই ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে। সিসিটিএনএস-এর মাধ্যমে ডিএসপি/এসডিপিও, এসপি, ডিআইজি এবং ডিজি-র অফিসের সঙ্গে সংযোগ সাধন করা যাবে। কোনও অপরাধের তদন্তকে সুষ্ঠভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে এই সংযোগসাধন গুরুত্বপূর্ণ। পাইলট প্রকল্প হিসাবে দু’টি পুলিশ জেলা — আঙ্গুল এবং ভুবনেশ্বরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই দু’টি জেলায় ৪৬ পুলিশ স্টেশন রয়েছে।
অপরাধের তদন্ত অনুসন্ধান, অপরাধীর খোঁজ করা ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা হিসাবে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য, অপরাধীর আঙুলের ছাপ, পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাচাই ইত্যাদি করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে অভিযোগ দায়ের করার জন্য থানা যেতে হবে না অনলাইনে ঘরে বসেই অভিযোগ জানাতে পারবেন। এ ছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে তদন্তের অগ্রগতিও তাঁরা দেখে নিতে পারবেন। যাঁদের কমপিউটার নেই তাঁরা থানায় এসে এফআইআরর দায়ের করলে কম্পিউটারে তৈরি এফআইআর কপি পাবেন। তদন্তের সুবিধার জন্য অন্যান্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি পুলিশ স্টেশনের সঙ্গেও সংযোগ সাধন করা হবে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যেম তাঁরা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। সারা দেশে ১৪,০০০ পুলিশ স্টেশন এবং ৬,০০০ উচ্চ স্তরের পুলিশ অফিসের সঙ্গে এই পদ্ধতির মাধ্যমে সংযোগ সাধন করা সম্ভব হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হল যে সব এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা নেই সেখানে কীভাবে এই ব্যবস্থা চালু করা যাবে? এজন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে সমস্ত জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা নেই সেখানে এই সুবিধার জন্য ভি-স্ট্যাট ব্যবহার করা হবে। সিসিটিএনএস ব্যবহারের জন্য পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : ফার্স্ট পোস্ট
ই-গভর্ন্যান্সের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ই-ক্যাবিনেট। মন্ত্রিসভার বৈঠকে চলেছে অথচ একটা কাগজেরও ব্যবহার হচ্ছে না। মিনিটসও লেখা হচ্ছে কম্পিউটারে। ই-গভর্ন্যান্সের এই প্রথম পদক্ষেপটি করে ফেলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ। ২০১৪-র সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম কাগজহীন মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে।
সমগ্র প্রক্রিয়াটি সফলভাবে পরিচালনা করতে রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রত্যেক মন্ত্রীর ল্যাপটপ বা আইপ্যাডে ভরে দেওয়া হয়েছিল ই-ক্যাবিনেট অ্যাপ।এই ই-ক্যাবিনেট অ্যাপ ব্যবহার করে রাজ্যের মন্ত্রীরা সমস্ত ডাটা এবং বৈঠকের আলোচ্যসূচি ডিজিটাল মাধ্যমে পেয়ে যান। ল্যাপটপ বা আইপ্যাডে ডাউনলোড করা এই অ্যাপে লগ ইন করে মন্ত্রীরা সমস্ত তথ্য ব্যবহার করতে পেরেছেন।
মন্ত্রিসভার আলোচ্যসূচি বা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যাতে বাইরে প্রকাশ হয়ে না যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেদিক থেকে দেখলে এই অ্যাপ যথেষ্ট নিরাপদ। এটি ব্যবহার করে কেবল নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যেই ডেটা ভাগ করে নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যকেউ ডেটা নিতে পারবে না।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচি ছাড়াও মিনিটস লেখা হয়েছে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে। বৈঠক চলাকালীন নানা সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার প্রয়োজন হয়েছে। সেই আলোচনা চালাতে কাগজ ব্যবহার না করে পাওয়ার-পয়েন্ট-এর মাধ্যমে উপস্থাপনা করা হয়েছে।
আলোচনা চলাকালীন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ফাইল আদান-প্রদানেরও প্রয়োজন পড়েছে। ই-ক্যাবিনেটে মন্ত্রী এবং আমলাদের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদানের জন্য নতুন ফাইল-শেয়ারিং পদ্ধতি ‘ফাইল-ক্লাউড’ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হঠাৎ করে ই-ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভার বৈঠকে চালু করা হয় নি। তারর আগে একধিকবার গোটা বিষয়টি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তারপরই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ই-ক্যাবিনেট অ্যাপটি কাউকে শেয়ার করা যাবে না। এটি পাসওয়ার্ডের দ্বারা সুরক্ষিত। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে কেউ মন্ত্রিসভার সদস্যের টেবিল থেকে সহজে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র সরিয়ে নিতে পারতেন। এই পদ্ধতিতে তা করা সম্ভব হবে না।
সূত্র : ফার্স্ট পোস্ট
রেজিস্ট্রশনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে। স্ট্যাম্প নিয়ে শুধু দুর্নীতির নয় এর ফলে সরকারের ঘরে রাজস্বও কম আসে। তাই রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতে ই-স্ট্যাম্পিং প্রকল্প চালু করল পঞ্জাব সরকার। এর ফলে রাজস্ব সংক্রান্ত লেনদেন স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে করা সম্ভব হবে।
এই নতুন ব্যবস্থায় প্র্ত্যেকে তার নিকটবর্তী এলাকার ব্যাঙ্কে রেজিস্ট্রেশনের ফি জমা দিতে পারবে। এর ফলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে জনগণ স্ট্যাম্প কিনতে পারবে। লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। বেশির ভাগ সময়ই স্ট্যাম্প কেনার জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয়। কৃত্রিম অভাব দেখিয়ে স্ট্যাম্প পেপার দিয়ে বাড়তি টাকা নেয় কিছু অসাধু ব্যক্তি। এর সঙ্গে রয়েছে অযথা হয়রানি। নয়া এই ব্যবস্থায় বাড়তি টাকা দিতে হবে না। অযথা হয়রানিও হবে না। নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহক তার স্ট্যাম্প ফি ড্রাফট অথবা চেকের মাধ্যমে দিতে পারবে। এর জন্য বাড়তি কোনও অর্থ লাগবে না।
প্রতিটি স্ট্যাম্প পেপারে একটি নির্দিষ্ট আইডি থাকবে। যেটি অনলাইনে যাচাই করে নেওয়াও যাবে। নিরাপত্তার জন্য ২ডি বারকোডে আল্ট্রা ভায়লেট, মাইক্রো ফিল্ম, থার্মাল ফিক্সচার এনক্রিপ্ট করা থাকবে। আগে রাজ্যে এই স্ট্যাম্প পেপার একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখা থেকে পাওয়া যেত। তবে এখন রাজ্যের ২২ স্বীকৃত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে স্ট্যাম্প পেপার পাওয়া যাবে। ফলত সাধারণ মানুষ তার নিকটবর্তী শাখা থেকে স্ট্যাম্প কিনতে পারবেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পাঁচটি জেলা, মোহালি, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা এবং ভাটিন্ডায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ই-স্ট্যাম্পিং ব্যবস্থা চালু করেছে পাঞ্জাব সরকার। চালুর পর থেকে সাফল্য মিলতে শুরু করেছে। সরকারের রাজস্ব বেড়েছে। যারা স্ট্যাম্প কিনতে টান তাদেরও অযথা হয়রানি কমেছে। এই সাফল্যে পঞ্জাব সরকার তাদের লক্ষ্যের বিস্তার ঘটিয়েছে। আগামীদিনে রাজ্যের বাকি সব ক’টি জেলায় এই উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নজরদারির প্রয়োজন। নাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা দুর্নীতির পাঁকে আকটে পড়ে বা নজরদারি না থাকায় গতি হারায়। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্মে নজরদারির জন্য জিপিআরএস নির্ভর মোবাইল পর্যবেক্ষণ পরিষেবা চালু করল রাজস্থানের জালোর জেলা কর্তৃপক্ষ। জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস এর সংক্ষিপ্ত নাম জিপিআরএস। এটি তারবিহীন মোবাইল টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত এক ধরনের ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উপর নজরদারি চালানো হবে। এর মূল লক্ষ্য হল বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন তরাণ্বিত করা । দুর্নীতি রোধে এই ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
জেলা কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হল সমস্ত সরকারির প্রকল্পগুলোকে এই পরিষেবার আওতায় আনা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়নের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হবে। উন্নয়নমূলক বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাস্তবোচিত এবং তথ্য নির্ভর সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রশাসন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে এবং বিভিন্ন বস্তবোচিত, তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অর্থাৎ উন্নয়নের কাজে দু’দিক থেকে সহায়তা করবে এই জিপিআরএস প্রযুক্তি নির্ভর মোবাইল নজরদারি ব্যবস্থা। প্রথমত এটি বিভিন্ন সরকারি কাজের উপর লাগাতার নজরদারি চালাবে যাতে কাজটি দ্রুত এবং দুর্নীতি মুক্তভাবে করা সম্ভব হয়, দ্বিতীয়ত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নিতে সহায়তা করবে এই পদ্ধতি। জালোর জেলা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি কাজে একে ব্যবহার করেছে। সাফল্যও আসছে। আগামীদিনে একে ব্যাপক হারে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020